Career Development Centre (CDC) > Various Resource for Career Development

10 ways to control your EMOTIONAL ANGER

<< < (2/2)

Shamim Ansary:
ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করবেন কিভাবে

প্রায়শই হতাশা এবং ক্রোধ জন্ম নেয় কিছু বাস্তব অপরিবর্তনীয় সমস্যা থেকে। এসব হতাশা বা ক্রোধ অস্বাভাবিক নয়। একটা সাধারণ বিশ্বাস বা চিন্তা প্রায়শই কাজ করে যে সব সমস্যারই সমাধান আছে। আসলে বাস্তবে তা সবসময় সত্য নয়। এক্ষেত্রে শুধু সমাধানের পথ না খুঁজে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই শ্রেয়।

কোনো সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা ও তার প্রয়োগিক অগ্রগতি যাচাই করা উচিত। এক্ষেত্রে সময় ব্যবস্থাপনা ও সংগঠন জ্ঞান সহায়ক হতে পারে। সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান না হলেও প্রাথমিকভাবে সমস্যা মোকাবেলা করে সমাধানের পদ্ধতিগুলো অনুসন্ধান করে তার বিশ্লেষণের মাধ্যমে উপযুক্ত কৌশল প্রয়োগ করলে সমস্যা সমাধানে অগ্রগতি হয় এবং স্থিরতা আসে।

ভালো যোগাযোগ

ক্রোধ প্রবণ লোকেরা সাধারণত চট করে সিদ্ধান্ত নেয় যা প্রায়শই ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই কিছুটা সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। পাশাপাশি অন্যের মতামতের প্রতিও মনোযোগী হওয়া উচিত। ধরা যাক; আপনার স্বাধীনতা ও চলার গতি ও চেতনাকে কেউ যদি সমালোচনা করে বা খর্ব করার চেষ্টা করে, তবে উত্তেজিত না হয়ে মনোযোগ সহকারে তার এরূপ তৎপরতার মর্মার্থ উপলব্ধি করে কোনো সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এতে অনেক সমস্যারই শান্তিপর্ণ সমাধান হবে।

হাল্কা ঠাট্টা করা

হাল্কা রসিকতা ক্রোধ দমনে সহায়ক করতে পারে, বরং স্থিতিশীল চিন্তায় সহায়ক হয়। ক্রোধানুভূতির সময় চটুল বা আকর্ষণীয় আলাপচারিতা, কল্পনা ক্রোধ দমনে সহায়ক করে। কর্মক্ষেত্রে আপনার সহকর্মীদেরকে কল্পনাপ্রসত অদ্ভুত চরিত্রে রূপায়ন করে বাস্তবে এরূপ কল্পনা করলে, মানসিক এমন একটি অবস্থা তৈরি হতে পারে যা আপনার উত্তেজিত প্রশমিত করতে ও ক্রোধ দমনে সহায়ক হবে।

রাগী লোকেরা নীতিগতভাবে প্রায় সকল সময়ই নিজেদেরকে সঠিক বলে চিন্তা করে এবং তাদের পরিকল্পনা ও চিন্তায় কারো হস্তক্ষেপ সহ্য করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনি ক্রোধ দমনে যে কৌশলটি ব্যবহার করবেন তা হলো-আপনার সাথে কেউ যদি কোনো কিছুতে দ্বিমত পোষণ করে তবে নিজেকে দেবতা হিসেবে কল্পনা করুন এবং ভাবুন আপনিই সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। এরূপ চিন্তার ফলে ক্রোধের কারণগুলো আপনার কাছে তুচ্ছ বলে মনে হবে।

ক্রোধ দমনে রসিকতা করার সময় মনে রাখতে হবে; কোন সমস্যাকে ঠাট্টার ছলে উড়িয়ে দিলেই চলবে না বরং কারণমূলকভাবে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে হবে। আরেকটা বিষয় হলো যে, নিতান্তই শ্লেষাত্মক বা আক্রমণাত্মক ঠাট্টা ক্রোধ প্রকাশেরই একটি ভূমিকা। আসলে ক্রোধ দমনে রসিকতা পদ্ধতি ক্রোধের কারণগুলোকে অবহেলা করারই কৌশল। কারণ অনেক ক্রোধই পরবর্তী পর্যায়ে অযৌক্তিক হাসির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পরিবেশের পরিবর্তন

অনেক সময় আপনার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি আপনার জন্য বিরক্তি ও উত্তেজনার কারণ হতে পারে। আপনার চারপাশের লোকজন ও পরিবেশ আপনাকে ক্রোধের ফাঁদে ফেলতে পারে, এক্ষেত্রে আপনার নিতান্তই ব্যক্তিগত সময় বের করে আত্ম চিন্তায় ও কর্মে ব্যস্ত থাকুন। পরিবেশের পরিবর্তন আত্মোন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কর্মজীবি মা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ থেকে বাড়ি ফিরে প্রথম সময়টাতেই সে তার সন্তান পরিচর্যায় বেশি মনোযোগী হয়।

ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে আরো কিছু কৌশল

সময় নির্র্ধারণ রাতের একটা নির্দিষ্ট সময়ের কথোপকথন যদি আপনার এবং আপনার স্ত্রীর মধ্যে উত্তেজনা বা বিতর্কের সৃষ্টি করে। কারণ হতে পারে ক্লান্তি বা অভ্যাস। তবে কথোপকথনের অন্য সময় নির্ধারণ করুন যা উত্তেজনা প্রশমনে সহায়ক হবে।

পরিহারকারী এড়িয়ে চলা

কোনো কিছু নিতান্তই অপছন্দনীয় হলে তা এড়িয়ে চলা উত্তম, যদি আপনার সন্তানের আগোছালো কক্ষ আপনাকে প্রচন্ড ক্রুদ্ধ করে তবে দরজা বন্ধ রাখুন এবং নিজেকে শান্ত রাখুন।

বিকল্প অনুসন্ধান

যদি আপনার যাতায়াত প্রচন্ড যানজট আপনার চলার গতিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে তবে বিকল্প পথ খুঁজে নেয়া উচিত। এক্ষেত্রে যানবাহন ও রুট পরিবর্তন করা সমীচীন।

আপনার কি পরামর্শ দরকার?

ক্রোধ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং আপনার সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাহলে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ গ্রহণ করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আপনাকে আপনার ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ কৌশল উদ্ভাবনে সহায়তা করতে পারেন।

চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করার সময় আপনার নিজের সমস্যা ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন এবং ক্রোধ ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকের মতামত নিন। এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন ক্রোধ ব্যবস্থাপনা শুধু আপনার ক্রোধানুভূতি প্রকাশেরই কৌশল নয় বরং আপনার ক্রোধজনিত সমস্যা সমাধানকরণ পদ্ধতি। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে একজন উগ্র ক্রোধপ্রবণ লোকও ৮ থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যে মধ্যমানের ক্রোধপ্রবণ লোকে পরিণত হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে পরিবেশ পরিস্থিতিও অনেকগুলো বিবেচ্য বিষয়।

প্রত্যয়ী প্রশিক্ষণ সম্পর্কে কি ভাবছেন?

এটা সত্য যে, ক্রোধপ্রবণ লোকদের উগ্রতার চেয়ে প্রত্যয়ী হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বেশিরভাগ বই এবং প্রশিক্ষণ সাধারণত মাঝারি মানের ক্রোধপ্রবণ লোকদের মধ্যে প্রত্যয় মনোভাব বিকাশে সহায়ক। এ ধরনের লোক আপেক্ষিকভাবে বেশি সক্রিয় বা অপ্রতিরোধ এবং প্রশ্রয়প্রবণ। তারা অন্যের সিদ্ধান্তকে প্রায়শই বিনা বাধায় মেনে নেয়। তবুও কিছু চূড়ান্ত হতাশ মুহর্তে কিছু কৌশল সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

মনে রাখতে হবে ক্রোধকে বর্জন করা যায় না বা উপেক্ষাও করা যায় না এবং তা করা বুদ্ধিমানের কাজও নয়। আপনার সব রকমের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু কিছু বিষয়ে হতাশা বা বিষণ্ন হওয়া স্বাভাবিক। জীবনের মুহর্তগুলো কোনো না কোনোভাবে বিষণ্নতা, হতাশা, দুঃখ বেদনা দ্বারা আচ্ছন্ন। আপনি ইচ্ছা করলেই এগুলো পরিবর্তন করতে পারেন না। আপনি যা করতে পারেন তা হলো আপনার প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা। আপনার উত্তেজক প্রশমন করে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বরং জীবন সুখী এবং সুন্দর হয়।


অধ্যাপক ডাঃ এএইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি

sadique:
wow......nice sharing...both in  bangla and english  are very useful and it should be used in our practical life in every moment........

Shabnam Sakia:
Very effective  method for the practical life.....Thanks for the information's.

Muntachir Razzaque:
Very good posts....................

Navigation

[0] Message Index

[*] Previous page

Go to full version