১। ব্যায়ামের শুরু করুন সোমবার থেকে
ব্যায়াম শুরু করুন সোমবার থেকে। মনোবিজ্ঞানীরা এই দিনটি থেকে ব্যায়াম শুরু করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সপ্তাহের এই দিনটি থেকে ব্যায়াম শুরু করলে সারা সপ্তাহ এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সম্ভব হবে।
২। সকালবেলা ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন
দিনের শুরুতে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। ঘুম থেকে উঠে নাস্তার খাওয়ার পূর্বে ব্যায়ামটি করে ফেলুন। প্রতিদিন এই কাজটি করার চেষ্টা করুন। একটা সময়ে এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।
৩। খুব বেশি দিন ব্যায়ামে বিরতি না দেওয়া
পর পর দুই দিন ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকবেন না। আজকে হয়তো আপনি ব্যায়াম করছেন না, কিন্তু পরের দিন অব্যশই ব্যায়াম করবেন। ব্যায়ামে খুব বেশি দিন বাদ দেওয়া হলে সেটি তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলবে।
৪। নিজেকে ঘুষ দিন
নিজের ছোটখাটো অর্জনের জন্য নিজেকে নিজে উপহার দিন। যেমন ১০ মিনিট ব্যায়াম করলেন। এটি যদি টানা তিনদিন করতে পারেন তবে নিজেকে ছোট একটা উপহার দিন। তা হতে পারে পছন্দের কোনো খাবার। এতে আপনার ব্যায়াম করার আগ্রহ থাকবে।
৫। নিয়মিত ব্যায়াম করুন
ব্যায়াম হিসেবে আপনি যদি সুইমিং অথবা সাইকেলিং করেন, তবে তা নিয়মিত করুন। মাসে একবার বা দুইবার করলে সেটি থেকে উপকার পাবেন না।
৬। ব্যায়ামকে আনন্দময় করে তুলুন
বিরক্তিকর ব্যায়ামকে আনন্দময় করে তুলুন ছোটখাটো বিষয়ের মাধ্যমে। প্রয়োজনে ব্যায়াম করার জন্য পছন্দের কোনো ব্যায়ামের মেশিন ক্রয় করুন। একটু টাকা খরচ হলেও এটি ব্যায়ামের প্রতি আগ্রহ তৈরি করবে।
৭। ব্যায়ামকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করা
ব্যায়ামকে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করুন। সকালের নাস্তা খাওয়ার মতো ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন। ব্যায়ামকে বিকল্প মনে না করে অব্যশই করণীয় মনে করুন।
ব্যায়াম মানে ৫ মাইল হাঁটা কিংবা দীর্ঘ সময় জিমে সময় কাটানো তা কিন্তু নয়। প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০-৪০ মিনিট হাঁটাও ব্যায়ামের অংশ। তাই বড় বড় ব্যায়াম করার পরিবর্তে ছোট কোনো ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন।
সূত্র: হাফিংটন পোস্ট