Faculty of Allied Health Sciences > Public Health

ফাস্টফুড কেন খাবেন না

(1/1)

Md. Alamgir Hossan:
বার্গার, স্যান্ডউইচ, পেস্ট্রি, কেক, বিস্কুট, শিঙাড়া, সমুচাসহ মুখরোচক সব খাবার ফাস্টফুড নামে পরিচিত। চটজলদি খিদে মেটালেও এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই তথ্য সবার জানা। তবে মুখরোচক ফাস্টফুড ঠিক কতটুকু ক্ষতিকর এই তথ্য অনেক সময় আমাদের মাথায় থাকে না। ওজন বাড়ার সমস্যা, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, পেটের সমস্যাসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির প্রধান কারণ ফাস্টফুড ও কোমল পানীয়তে আসক্তি। পাশ্চাত্যের বহু দেশে মুটিয়ে যাওয়া বা ওবিসিটি রোগ এখন মহামারি আকারে রূপ নিয়েছে। আর এর জন্য ফাস্টফুডকে দায়ী করছেন পুষ্টিবিদেরা।
ফাস্টফুড অসম্পৃক্ত চর্বি বা ট্রান্স ফ্যাটসমৃদ্ধ। এ ধরনের চর্বি রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিয়ে ধমনিতে ব্লক সৃষ্টি করে। পাশাপাশি উচ্চমাত্রার লবণ, টেস্টিং সল্ট বা মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট ও কৃত্রিম রং থাকায় ফাস্টফুড উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে। সমান ঝুঁকি থাকে ডুবো তেলে ভাজা ফাস্টফুডেও।
এতে ফাইবার বা আঁশ থাকে না বলে শরীরে ক্ষতিকর মুক্তকণিকা বা ফ্রি-র্যা ডিক্যাল বাড়িয়ে দেয়। অপর দিকে শাকসবজি বা ফল–জাতীয় আঁশযুক্ত খাবারে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট শরীর থেকে ফ্রি-র্যা ডিকেল দূর করে।
ফাস্টফুডের আরও একটি বিপদ হলো, এ থেকে নানা ধরনের পেটের রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বেশির ভাগ ফাস্টফুডে ক্ষতিকর রং ও প্রিজারভেটিভ থাকে।
আসুন, দেখে নেওয়া যাক ফাস্টফুডের সঙ্গে কী ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক জমা হচ্ছে আমাদের শরীরে।
১. টারট্রাজিন: হলুদ রঙের এই রাসায়নিক থাকে কোল্ড ড্রিংকস, কেক, বিস্কুট, পুডিং, সস ও মাংসের খাবারে। এর প্রভাবে শিশুদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যঁারা নিয়মিত অ্যাসপিরিন–জাতীয় ওষুধ খান তাঁদের মাথা ঘোরা, মাথা ধরা ও অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
২. কুইনোলিন ইয়েলো: হলুদ এই উপাদান ভাপা ও সেঁকা খাবারে ব্যবহার করা হয়। এটি শিশুদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করে।
৩. সানসেট ইয়েলো: বহুল ব্যবহৃত হলুদ রঙের এই প্রিজারভেটিভ চকলেট, অরেঞ্জ ড্রিংকস, স্যুপ ও বিস্কুটে ব্যবহার করা হয়। এর প্রভাবে শিশুদের অস্থিরতা, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি দেখা দেয়।
৪. কারমোসিন: লালচে এই রাসায়নিক কোমল পানীয়, জ্যাম, পেস্ট্রি, সস ও স্যুপে ব্যবহৃত হয়। এর প্রভাবে শিশুদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
৫. ইনডিগো কারমিন: নীল রঙের এই রাসায়নিক নানা রকম মাংসের খাবারে ব্যবহার হয়। এর প্রভাবে শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জি দেখা দেয়।
৬. কার্বন ব্ল্যাক: কালো রঙের এই রাসায়নিক জুস, জ্যাম, জেলি, বাদামি সসে ব্যবহার করা হয়। এর প্রভাবে অ্যালার্জি হতে পারে।
৭. বেনজোয়িক অ্যাসিড: টিনের ফল, আচার, টিনের মাছ প্রভৃতি সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়। এর প্রভাবে হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং ক্যানসার হতে পারে।
এসব রাসায়নিক যকৃতেরও ক্ষতি করে। ক্যানসার সৃষ্টির কারণও এসব উপাদান।
তাই ফাস্টফুড না খেয়ে রান্না খাবার যেমন ভাত, রুটি, ডাল, তরকারি, মাছ, বাদাম, শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। পাশাপাশি টক দই, সালাদ ও ফল খেতে হবে। ৪০ বছর বয়স পার হলে ডিম, মাংস, মাখন, ঘি, মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দিন।

Sumon Mazumder:
It's very important to know and I appreciate the person who posted it...

Navigation

[0] Message Index

Go to full version