পুবালি ও পশ্চিমা বাতাসের মিলনে কালবৈশাখী
আকাশে এই প্রখর রোদ, এই থমথমে কালো মেঘ। কখনো পাগলা হাওয়ার নাচন নিয়ে ঝড়, কখনোবা ঝেঁপে বৃষ্টি। আর বজ্রের হুংকার তো আছেই। এর মধ্যে হুট করে থাবা বসায় কালবৈশাখী। এ মৌসুমের আবহাওয়াটা এমনই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য থেকে জানা যায়, পুবালি ও পশ্চিমা বায়ুর দাপট বাংলাদেশসহ আশপাশের এলাকায়। হিমালয় থেকে আসা পশ্চিমা বায়ু কিছুটা শুষ্ক ও শীতল। আর পুবালি বায়ুর চরিত্র একেবারেই আলাদা। এটি আসে বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলের দিকে। এই বায়ু থাকে উষ্ণ। এর সঙ্গে মিশে আছে জলীয়বাষ্প। এই পুবালির সঙ্গে পশ্চিমা বায়ুর মিলন ঘটছে এখন বেশি মাত্রায়। দুই বায়ুর মিলন হলে ঝোড়ো হাওয়ার সৃষ্টি ও বৃষ্টি হয়। এ জন্য দেশজুড়ে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়ার এই অবস্থাকে অস্বাভাবিক বললেও অতীতে এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানান আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সোমবার ঝোড়ো হাওয়া ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টা থেকে এই ঝড় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বয়ে যেতে পারে ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে। এসব অঞ্চলে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বৈরী আবহাওয়ার জন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল সকাল ছয়টা থেকে আজ ছয়টা পর্যন্ত সারা দেশের মধ্যে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুতুবদিয়ায়—৬২ মিলিমিটার। একই সময়ে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহে ১, চট্টগ্রামে ৬, সিলেটে ২৪, রাজশাহীতে ১০, রংপুরে ২৬, খুলনায় ৩৭ ও বরিশালে ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।