সাফল্যে মা-বাবার ভূমিকা

Author Topic: সাফল্যে মা-বাবার ভূমিকা  (Read 694 times)

Offline SabrinaRahman

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 333
  • Never give up because great things take time
    • View Profile

সাফল্যে মা-বাবার ভূমিকা


জীবনে সাফল্য অর্জনের নির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি কি আসলেই আছে? সাফল্য অর্জন করা এবং তা ধরে রাখার ওপর অনেক গবেষণা অবশ্য করা হয়ে গেছে এবং হচ্ছেও। তবে একটু ভিন্নভাবেও চিন্তা করা যায়। যাঁরা সফল হচ্ছেন, তাঁদের সাফল্যে কি মা-বাবার অবদান যুক্ত হয়? গবেষণায় সফল ব্যক্তিদের মা-বাবার মধ্যে কিছু কিছু বৈশিষ্ট্যের মিল থাকতে দেখা গেছে।

পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব বোঝে
ভালো খাদ্যাভ্যাস প্রতিদিনের কাজগুলোতে মনোযোগী করে তোলে সবাইকে। কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। খাওয়া ও খাবারের প্রতি আগ্রহ মা-বাবার কাছ থেকেই শেখে শিশুরা। ভালো ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নিজেদের শরীরের প্রতিও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে শিশুরা।

ভালো নাম নির্বাচন
গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনের উন্নয়নে আপনার নাম বড় ভূমিকা পালন করে। ছোট, সাবলীল, উচ্চারণে সহজ নামের অধিকারীরা পেশাগত জীবনে সুনাম অর্জন করে বেশি।

ভবিষ্যতের চিন্তা
শিশুদের কল্পনাশক্তি বাড়ানো, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং ভবিষ্যতে নিজেকে কী হিসেবে গড়ে তুলতে চায়—সে সম্পর্কে চিন্তা করার স্বাধীনতা দিতে হবে অভিভাবকদের।

কর্মজীবী নারী, মেধাবী সন্তান
হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মজীবী মায়েদের সন্তানেরা বেশি মেধাবী হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মজীবী মায়েদের মেয়ে সন্তানেরা পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী হয়। কর্মক্ষেত্রেও নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। পাশাপাশি বেশি উপার্জনেও আগ্রহী হয়। অপর দিকে ছোটবেলা থেকে মাকে বাড়ির বাইরে দেখার অভ্যাস গড়ে ওঠার ফলে পরবর্তী সময়ে ছেলেরা বাড়ির কাজে ও সন্তান দেখভালে অনীহা প্রকাশ করে না। কর্মজীবী মায়েদের ছেলেমেয়েরা ছোটবেলা থেকেই লিঙ্গবৈষম্য করা থেকে নিজেদের দূরে রাখে।

হাসিখুশি মা, আনন্দে থাকবে সন্তান
ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩ থেকে ১১ বছরের মধ্যে মায়ের সঙ্গে শিশুরা কতটুকু সময় কাটায়, তার ওপর নির্ভর করে তাদের আচরণবিধি, অর্জন ও ভালো থাকা। সন্তানদের ওপর বেশি নজর রাখার অভ্যাসটা এখানে খারাপ ভূমিকাই পালন করবে। নিজের কাজ শেষ করা ও সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টায় চাপবোধ করেন। এ ছাড়া অনেক সময় মা ক্লান্ত, খিটখিটে হয়ে থাকে। সন্তানের ওপর অনেকটাই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এ কারণে। মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে সন্তান তা সহজেই টের পায়। তারও তখন মন খারাপ হয়, ভয়ে থাকে।

মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা
সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার সুস্থ সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে অনেক কিছুই। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব সন্তান প্রথম তিন বছর মা-বাবার কাছ থেকে সংবেদনশীল যত্ন পেয়েছে, পড়াশোনার পাশাপাশি সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ মা-বাবারা এ ক্ষেত্রে সন্তানদের প্রয়োজনে দ্রুত ও উপযুক্ত আচরণ করে।

অঙ্ক শেখানো
ছোটবেলা থেকেই অঙ্কের প্রতি ভয় কাটিয়ে দিতে পারলে ভবিষ্যতে উপকারই হবে। অঙ্কের প্রতি ভালোবাসা গণিত পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার পাশাপাশি ভালোভাবে পড়তে পারাতেও সহযোগিতা করে।

উচ্চশিক্ষিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা
মা উচ্চশিক্ষিত হলে সন্তানদেরও উচ্চশিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পাশ্চাত্যের গবেষকেরা ১৪ হাজার শিশুর ওপর গবেষণা করে পাওয়া তথ্য অনুসারে জানান, যেসব মা কম বয়সে মা হওয়ার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছেন, তাঁদের সন্তানেরাও উচ্চশিক্ষায় খুব একটা আগ্রহী হয়নি।

বাড়ির কাজ করানো
বাড়ির ছোটখাটো কাজ করানোর প্রতি উৎসাহ গড়ে তুলতে হবে। এতে করে পরবর্তী সময়ে স্বাধীনভাবে জীবনযাপনের জন্য আগ্রহ জন্মাবে শিশুদের। কর্মজীবনেও সহকর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার প্রবণতা থাকে।

সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেইজার ডটকম
Sabrina Rahman
Lecturer
Department of Architecture, DIU