পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য পালনে মহানবী (ছাঃ)-এর বহু মূল্যবাণ উপদেশ বাণী রয়েছে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন,
جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَحَقُّ بِحُسْنِ صَحَابَتِى قَالَ أُمُّكَ. قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ أُمُّكَ. قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ أُمُّكَ. قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ ثُمَّ أَبُوكَ.
‘একদিন একজন লোক রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দরবারে হাযির হয়ে আরয করল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমার কাছে সবচেয়ে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিকারী কে? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি জিজ্ঞেস করল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে লোকটি আবারও প্রশ্ন করলো, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি আবারও জিজ্ঞেস করল, তারপর কে? তিনি বললেন, তারপর তোমার পিতা’ (বুখারী হা/৫৯৭১; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৯১১)।
অন্য আর এক হাদীছে তিনি বলেন,
إِنَّ مِنْ أَكْبَرِ الْكَبَائِرِ أَنْ يَلْعَنَ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ. قِيْلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَكَيْفَ يَلْعَنُ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ قَالَ يَسُبُّ الرَّجُلُ أَبَا الرَّجُلِ، فَيَسُبُّ أَبَاهُ، وَيَسُبُّ أَمَّهُ ‘সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ হচ্ছে কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা। বলা হ’ল হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! মানুষ তার পিতা-মাতাকে কি ভাবে অভিশাপ করে? তিনি বললেন, কোন ব্যক্তি অপরের পিতা-মাতাকে গালি দেয়। ফলে সেও তার পিতা-মাতাকে গালি দেয়।’ (বুখারী, হা/৫৯৭৩; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৯১৬)।
নবী করীম (ছাঃ) আরও বলেন,
رَغِمَ أَنْفُ ثُمَّ رَغِمَ أَنْفُ ثُمَّ رَغِمَ أَنْفُ. قِيلَ مَنْ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ مَنْ أَدْرَكَ أَبَوَيْهِ عِنْدَ الْكِبَرِ أَحَدَهُمَا أَوْ كِلَيْهِمَا فَلَمْ يَدْخُلِ الْجَنَّةَ. ‘ঐ লোক হতভাগ্য! ঐ লোক হতভাগ্য! ঐ লোক হতভাগ্য! জিজ্ঞেস করা হ’ল, হে আললাহর রাসূল (ছাঃ)! কার শানে একথা বললেন? নবী করীম (ছাঃ) বললেন, যে লোক পিতা-মাতার একজন কিম্বা দু’জনকে তাদের বৃদ্ধ বয়সে পেল অথচ জান্নাতে দাখিল হল না, সে হতভাগ্য’ (মুসলিম হা/২৫৫১)।
অর্থাৎ তাদের সাথে সে সময় ভাল ব্যবহার করলে সে জান্নাতে যেত। সে জান্নাত পেয়েও জান্নাতে গেল না, সে বড় হতভাগ্য।
আসুন, আমরা পবিত্র কুরআন ও হাদীছের আলোক পিতা-মাতার সঙ্গে সন্তোষজনক ব্যবহারের দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অকৃত্রিম ব্রতগ্রহণ করি।