DIU Activities > Permanent Campus of DIU
Topic teaches us a lot.
(1/1)
Reza.:
আমার ছেলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পড়তে বসে। আজকে দেখলাম পড়তেছে - "বাবার নিকট টাকা চাহিয়া পত্র লিখ।"
চিঠির শেষে তাদের একটি খাম আঁকতে হয়। যার উপরের কোনায় একটি ডাক টিকেট।
স্বাভাবিক ভাবেই খাম বা ডাকটিকেট কি সে তা জানে না। কিন্তু খুব যত্ন নিয়ে তা আকে।
আমরাও আমাদের ছাত্র জীবনে এইরকম বহু চিঠি পড়েছি ও লিখেছি।
যাই হোক তার এই চিঠি পড়া দেখে অনেক স্মৃতি মনে ঝপিয়ে পড়লো। মনে পড়লো পাবনা ক্যাডেট কলেজের সেই দিন গুলি। যখন মোবাইল বা কম্পিউটার ছিলো না। এমনকি আমাদের পুরা কলেজে একটি মাত্র ল্যান্ড ফোন ছিল।
ক্লাস এইটে আমাদের নতুন প্রিন্সিপাল স্যার নিয়ম করলেন প্রতি সপ্তাহে সবাইকে বাসায় চিঠি লিখতে হবে। প্রতি সপ্তাহের শুরুর দিন অর্থাৎ শনিবারে ফর্ম মাস্টার স্যার আমাদের চিঠি চেক করে পাঠিয়ে দিতেন।
আমাকে একবার তিনি দাড় করিয়েছিলেন সব থেকে ছোট চিঠি লেখার কারনে। আমার ব্যাখ্যা হল সাত দিন পর পর চিঠি লিখতে হলে এর থেকে আর বেশী কি লিখবো।
আমরাই শেষ জেনারেশন যারা জানি যে চিঠির মর্ম কি?
যোগাযোগের ক্ষেত্রে গত ১০ - ১৫ বছরে রেভুলুশন ঘটে গেছে। এখন আর কেউ চিঠি বা পত্র লিখে উত্তরের অপেক্ষায় বসে থাকে না।
আমার ছেলেকে চিঠি লিখতে হচ্ছে - যাতে তাদের বাংলায় দক্ষতা আসে।
আমার মনে হয় চিঠির বিষয়টি যদি এমন হত তাহলে ভালো হত। তা হল " পাঠানো টাকা তোমার প্রয়োজন নাই তাই তা ফেরত নিয়ে যেতে বাবার নিকট পত্র লিখ।"
এই চিঠিটি লিখতে হলে তাকে মিতব্যয়ীতার বিভিন্ন দিক নিয়ে ভাবতে হত। যা অদূর ভবিষ্যতে তার জন্য কল্যাণই বয়ে আনতো।
(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে)
Anuz:
কথাটা সঠিক স্যার । আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত..................
Reza.:
Thank you.
Navigation
[0] Message Index
Go to full version