সাইবার হামলায় আক্রান্তের তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকলেও শুক্রবার থেকে দেশটির প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি খাতে কয়েকটি র্যানসমওয়্যার আক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়।
ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখাও র্যানসমওয়্যার দিয়ে আক্রান্ত হওয়ার পর ওই এলাকায় ব্যাংকটির সব কম্পিউটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং সব কটি এটিএম বুথ বন্ধ রাখা হয় বলে খবর পাওয়া যায়। তবে নিরপেক্ষভাবে এসব খবর যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ওই ব্যাংকটিকে সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা দিচ্ছেন, এমন একজন ঘটনাটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ-ও বলেছেন, গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যাংকটি যথাসম্ভব গোপনে ও দ্রুত সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে বিনা মূল্যে সাইবার নিরাপত্তা সেবাদাতা ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন বা ক্র্যাফের মহাসচিব মিনহার মোহসিন উদ্দিন বলেছেন, শুক্রবার থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বেশ কিছু অভিযোগ তাঁরা পাচ্ছে। এমনিতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে র্যানসমওয়্যার হামলার বেশ কিছু নজির পাওয়া গেছে। তবে শুক্রবার আর গতকাল শনিবারই পাওয়া গেছে সবচেয়ে বেশি।
ঢাকার কাফরুল এলাকার মাধ্যমিক পড়ুয়া এক কিশোর বলছিল, শুক্রবার রাতে সে দেখে যে তার কম্পিউটারে রাখা ফাইলগুলো খুলছে না। খুলতে গেলেই অদ্ভুত সব বার্তা আসছে এবং একটি ঠিকানা দিয়ে বলা হচ্ছে সেখানে যদি সে ১৫০ ডলার না পাঠায় তাহলে আর এই ফাইলগুলো উদ্ধার করতে পারবে না। এটা একটা র্যানসমওয়্যার অর্থাৎ একটি ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে এই কিশোরের কম্পিউটার দখল করে নিয়েছে অজ্ঞাত হ্যাকার, এখন মুক্তিপণ চাইছে।
শুক্রবার থেকে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের লাখ লাখ কম্পিউটার এ রকম র্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হচ্ছে, সারা পৃথিবীই এখন তটস্থ হয়ে আছে এই সাইবার হামলার আতঙ্কে।