মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় এক হাজার কর্মী চাকরি হারাতে পারেন। বিপণন বিভাগের কর্মীরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন। মাইক্রোসফট বলছে, এই বিভাগটিকে ঢেলে সাজাতে চাইছে তারা। জোর দিতে চাইছে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে।
মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও পরিবর্তন আনার বিষয়টি বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছে।
মাইক্রোসফটের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গ্রাহক ও সহযোগীদের আরও উন্নত সেবা দিতে পরিবর্তন কার্যকর করতে যাচ্ছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ক্লাউড কম্পিউটিং ও ব্যবসায়িক সেবার ওপর জোর দিতে বলেছেন।
মাইক্রোসফট এ বছরের শুরুতে ক্লাউড ও ব্যবসা পরিচালনা সেবা থেকে মুনাফা করার কথা জানায়। অপর দিকে ব্যক্তিগত কম্পিউটিং বিভাগ থেকে মুনাফা কমতে দেখা যায়। এর মধ্যে একসময়ের জনপ্রিয় উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমও রয়েছে। মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ বলেছে, এক বছর আগের তুলনায় ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউড থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত আয় বাড়তে দেখা গেছে। এ ছাড়া অফিস বাণিজ্যিক পণ্য ও ক্লাউড সেবার আয় ৭ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া অফিস গ্রাহক পণ্য ও ক্লাউড সেবার আয় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে অফিস ৩৬৫ সেবাগ্রাহক ২ কোটি ৬২ লাখ ছাড়িয়েছে।
মাইক্রোসফটের ক্লাউড সেবা অ্যাজিউরকে বর্তমানে আমাজন ও গুগলের ক্লাউড সেবার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। বড় বড় সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর বিনিয়োগ করছে।
গত কয়েক বছর থেকে মাইক্রোসফটের কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি চোখে পড়ার মতো। ২০১৪ সালে নকিয়াকে কেনার পর ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল মাইক্রোসফট। ২০১৫ সালে ৭ হাজার ৮০০ এবং ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে মাইক্রোসফট।
বর্তমানে মাইক্রোসফটে কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৮৪৯ জন।