১৯৯৪ বিশ্বকাপে বেবেতোর গোল উদ্যাপনের সেই দৃশ্যটির কথা মনে আছে? এক বাবা যেন তাঁর শিশুকে কোলে নিয়ে দোল খাওয়াচ্ছেন। গোল উদ্যাপনের অমর এক ছবি হয়ে আছে সেটি। শেষ আটে হল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলকে ২-০তে এগিয়ে দেওয়া গোলটি করার পরই এই উদ্যাপন করেছিলেন বেবেতো। সঙ্গী হয়েছিলেন রোমারিও ও মাজিনহো। সেই ম্যাচের আগেই জন্ম নিয়েছিল বেবেতোর তৃতীয় সন্তান। বিশ্ববাসীকে সেটা উদ্যাপন দিয়ে জানাতে চেয়েছিলেন ব্রাজিলের সাবেক স্ট্রাইকার।
বাবার পথ ধরে ফুটবলে পা রেখেছেন বেবেতোর সেই ছেলে ম্যাথেউস অলিভেইরা। ব্রাজিলের ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোতেই ফুটবলের হাতেখড়ি। ফ্ল্যামেঙ্গোর যুবদল আর মূল দল হয়ে পর্তুগালের এস্তোরিলে ধারে খেলতে যান ২০১৫ সালে। সেদিনের সেই শিশু এখন ২৩ ছুঁইছুঁই। যিনি নিজেই উদ্যাপনের বড় একটা উপলক্ষ পেয়ে গেছেন। এস্তোরিল থেকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে নাম লিখিয়েছেন পর্তুগালেরই আরেক ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনে।
বাবার পথ ধরে ফুটবলে এলেও বাবার মতো নন অলিভেইরা। বাবার কাজ ছিল গোল করা। আর অলিভেইরার গোল করানো। সৃজনশীল মিডফিল্ডার হিসেবে বেশ সুনামও কুড়িয়েছেন। এস্তোরিলে দুই বছর খুব ভালো খেলেছেন। ইউরোপের কিছু বড় ক্লাব তাঁকে পাওয়ার লড়াইয়েও নেমেছিল। শেষাবধি জয়ী হয়েছে স্পোর্টিংই। ২০২২ পর্যন্ত চুক্তি করেছে অলিভেইরার সঙ্গে, যে চুক্তি অনুযায়ী অন্য কোনো ক্লাব তাঁকে কিনতে চাইলে দিতে হবে ৬ কোটি ইউরো। বেবেতোর বিশ্বাস, তাঁর ছেলে স্পোর্টিংয়ের এই বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে পারবেন। অলিভেইরার জন্য শুভকামনাও জানিয়ে রেখেছেন তিনি, ‘আমি আমার ছেলেকে নিয়ে খুব গর্বিত। বিনয়ের সঙ্গে কঠিন পরিশ্রম করে যাও, অনেক দূর যেতে পারবে। স্পোর্টিংয়ের হয়ে ইতিহাস গড়তে পারবে তুমি।’
স্পোর্টিংয়ে নাম লেখাতে পেরে অলিভেইরাও খুব খুশি, ‘অসাধারণ এক ক্লাব বলেই আমি স্পোর্টিংকে বেছে নিয়েছি। এই সুযোগ পেয়ে আমি খুব খুশি। এই ক্লাবের ইতিহাস আর এখানে যাঁরা খেলেছেন, তাঁদের কথা ভেবে সুযোগটা আসার পর দ্বিতীয়বার ভাবিনি। স্পোর্টিংয়ে ইতিহাস গড়তে চাই।’