১৯৯২ সালের জুন মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষে ছাত্র হিসেবে আমি ভর্তি হই। আর ২০০১ সালের জুন মাসে ঢাকা কমার্স কলেজের মার্কেটিং বিভাগে প্রভাষক দিসেবে শিক্ষকতা শুরু করি। এ হিসেবে বিগত দুই দশক ধ’রে আমি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মার্কেটিং-র থিওরী ও চর্চা’র সাথে মূলতঃ একজন পর্যবেক্ষক হিসেবে যুক্ত আছি। এই সুদীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতায় এটুকু বলতে পারি যে ‘মার্কেটিং’-কে কেউ পছন্দ করুক আর না করুক মার্কেটিং ছাড়া বর্তমান আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা একদিনও চলতে পারবে না। মার্কেটিং’য়ের বিরুদ্ধে প্রধান সমালোচনা হলো এটা ক্রেতা তথা বৃহত্তর সমাজের জন্য ক্ষতিকর তৎপরতা পরিচালনার মাধ্যমে কোম্পানীগুলোকে অতি মুনাফা অর্জনে সাহায্য ক’রে থাকে। পাশাপাশি এটা সত্য যে, সীমিত পরিসরে হলেও আমাদের সমাজে মার্কেটিং’য়ের অনেক ইতিবাচক প্রভাব আমরা দেখতে পাবো। আমাদের দেশে ‘মার্কেটিং এথিক্স’ সম্পর্কে সচেতনতা এখনও যথেষ্ট জোরালো নয়। মার্কেটিং থিওরী চর্চার একজন প্রান্তিক অংশীদার হিসেবে নিজের করণীয় নির্ধারণ আজ তাই অত্যন্ত জরুরী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, আমরা কি কোম্পানীসমূহের ক্রীড়ণক হবো, নাকি বৃহত্তর সমাজের মঙ্গলচেষ্টায় নিজেদের নিয়োজিত করবো? এ প্রসঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার অবস্থান জানিয়ে রাখিঃ কোম্পানীসমূহ কিভাবে আরও ‘প্রফিট’ করবে সেটা দেখানো আমার কাজ না। সেটা দেখানোর জন্য কোম্পানীপ্রদত্ত বিভিন্ন সুবিধা-প্রত্যাশী অনেক ‘স্কলার’ এদেশে আছেন। বিপরীতে, আমার কাজ হবে কোম্পানীসমূহের বল্গাহীন অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে সমাজ কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবে তা দেখিয়ে দেয়া।...