Health Tips > Food Habit

What to do to eliminate fatigue in this period

(1/1)

yousuf miah:
কয়েক বছর ধরে রমজান মাসের দিনগুলো বেশ বড়। আমাদের দেশে এ সময়টায় এখন অনেক গরম পড়ে। গরমে বেশ কষ্ট হয় রোজাদারদের। তারপরও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে রোজাদাররা এই কষ্ট হাসিমুখে সহ্য করেন। রমজান মাসে রোজাদাররা ক্লান্তিতে বেশি ভোগেন।

অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকার কারণে সাধারণত ক্লান্তি ভাব চলে আসে। পানীয় পান কম করার কারণেও ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। ক্লান্তি ভাব আসাটা এ সময়ে স্বাভাবিক। বিশেষ করে রোজার শুরুর দিনগুলোতে এ সমস্যা বেশি হয়। কিছু পরামর্শ মেনে চললে ক্লান্তি ভাব কিছুটা কমানো যায়।

প্রথমে খাবারের বিষয়ে আসা যাক। অনেকে সেহরি না খেয়েই রোজা রাখেন। সেহরি খাওয়া সুন্নত। সেহরি খেলে শরীরে অনেকক্ষণ শক্তি থাকে, ক্লান্তি ভাব কম হয়। অনেকে রাতের মাঝামাঝি সেহরি খান। এটাও ঠিক নয়। সেহরি খেতে হবে একেবারে শেষ সময়ে। সেহরিতে খুব তেল, মসলাযুক্ত খাবার না খেয়ে হালকা খাবার খান। আঁশজাতীয় খাবার বেশি করে খান। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।

আমরা সাধারণত যেভাবে ইফতার করি, সেটিও ত্রুটিপূর্ণ। আমরা একবারে বসেই পেটভর্তি না হওয়া পর্যন্ত খেতে থাকি। এতে পেটে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় এবং মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যায়। তখন ক্লান্ত লাগে। এটা না করে প্রথমে হালকা কিছু দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ পড়ার পর বাকি খাবার খেলে ক্লান্তি ভাব কম লাগে। প্রথম ইফতারিতে খেজুর ও পানীয় বেশি করে পান করুন। মাগরিবের নামাজ পড়ে অন্যান্য খাবার খেতে পারেন।

ইফতারির পর থেকে যতক্ষণ জেগে থাকবেন, পানি পান করতে হবে এবং পানীয় জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। এতে ক্লান্তি ভাব কমে যাবে।

অনেকে ইফতারি করার পরপর ঘুমিয়ে যান। এটা না করলে ভালো। এর পরিবর্তে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারেন। আবার অনেকে না ঘুমিয়ে একবারে সেহরির সময় খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। এটাও করা যাবে না। অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।


ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Navigation

[0] Message Index

Go to full version