Health Tips > Health Tips
কাশি থেকে নিস্তার চান?
(1/1)
Karim Sarker(Sohel):
কাশির সমস্যা কখনো কখনো সারতেই চায় না। কথা বলা দায়, রাতের ঘুমও নষ্ট। কারও কাশতে কাশতে বমি হয়ে যাচ্ছে, কখনো হচ্ছে পেটব্যথা। এ রকম পরিস্থিতিতে কেউ নিজে নিজে কাশির সিরাপ কিনে খান, কেউ অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ পেতে ডাক্তারকে চাপ দেন। কিন্তু ওষুধ কি সত্যিই খুব জরুরি?
চিকিৎসা গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, কাশির অসুখে আক্রান্ত অর্ধেক রোগীর কোনো অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন নেই। সমস্যাটা দীর্ঘমেয়াদি হলে চিন্তার বিষয় বটে। তবু কাশি নিয়ে মানুষের নানা ভুল ধারণা আছে। এ বিষয়ে কয়েকটি তথ্য—
* কাশি মানেই রোগজীবাণুর সংক্রমণ নয়। তাই কাশি কমাতে সব সময় অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না। অ্যালার্জি, সংবেদনশীলতা, হাঁপানি, ধূমপান, নানা ধরনের রাসায়নিক ও ধোঁয়ার কারণে কাশি হয়। এমনকি নাকের পেছনে সর্দি জমা, গলনালিতে অ্যাসিড উঠে আসা বা কিছু ওষুধের জন্যও কাশি হতে পারে।
* কাশির সিরাপ আসলে কাশি কমাতে তেমন কাজে আসে না। কখনো বরং এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
* কাশি প্রচণ্ড বা দীর্ঘমেয়াদি হলে বুকের এক্স-রে, কফ ও রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে তবেই অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হবে।
* কাশি কমাতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি বেশ কার্যকর। প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল পান করুন। এতে জমে থাকা কাশি তরল হবে ও বেরিয়ে আসবে। গরম পানির ভাপ কাশি বের হতে সাহায্য করে। শুকনো কাশি বা গলা খুসখুস হলে গরম লবণপানি দিয়ে কুলকুচি বা গড়গড়া করুন। কাশির দমক কমাতে মুখে আদা, লবঙ্গ বা মিন্ট লজেন্স রাখতে পারেন।
* কাশির সঙ্গে রক্তক্ষরণ, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড জ্বর, প্রলাপ, ধূমপায়ীর সাধারণ কাশির হঠাৎ পরিবর্তন ইত্যাদি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দুই সপ্তাহের অধিক কাশি থাকলে যক্ষ্মার পরীক্ষা করা উচিত।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
Navigation
[0] Message Index
Go to full version