শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদেই শান্তি খুঁজে নিলেন অনিল কুম্বলে। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ নিয়ে যে ঝামেলা হচ্ছিল, সেটির শেষ টেনে দিলেন ভারতের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে। গতকালই নিজের পদত্যাগপত্র ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে জমা দিয়েছেন কুম্বলে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগেই কোহলি-কুম্বলের বিরোধের গুঞ্জন ওঠে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজে একাদশ সাজানো, দল ব্যবস্থাপনা, চোট বা ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে খেলোয়াড়দের প্রতি কুম্বলের দৃষ্টিভঙ্গি—এসব নিয়েই দেখা দেয় মতবিরোধ। সেটির জেরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে নতুন কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপনও দেয় বিসিসিআই। কুম্বলের মূল চুক্তিটা শেষ হওয়ার কথা ছিল গতকালই।
অথচ কদিন আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন্ত কুম্বলেকে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। ২৩ জুন থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ ওয়ানডে ও এক টি-টোয়েন্টির সিরিজটি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষে লন্ডন থেকেই কোহলিসহ ভারতীয় দল সেখানে চলেও গেছে। তবে কুম্বলে যাননি। আইসিসির ক্রিকেট কমিটির সদস্য তিনি, গত পরশু শুরু হওয়া আইসিসির বার্ষিক সভায় থাকবেন বলেই দলের সঙ্গে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। এরই মধ্যে কাল দিয়ে দিলেন ইস্তফা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়ে গঠিত বিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা কমিটি চেষ্টা করেছিল কোহলি ও কুম্বলের মধ্যে এই বিবাদ মেটানোর। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চলার সময়ে দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছে কমিটি। তবে কোহলি নাকি তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কুম্বলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা ভাঙনের ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ এসে পৌঁছেছে।
সাফল্যের হিসাবে ভারতের কোচের পদে অবশ্য দারুণ করেছেন কুম্বলে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারলেও, গত এক বছরে তাঁর অধীনে মাত্র একটি সিরিজেই হেরেছে ভারত। টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেকান ক্রনিকল।