বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করবেন যে কারণে

Author Topic: বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করবেন যে কারণে  (Read 866 times)

Offline sanjida.dhaka

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 228
    • View Profile
 

সবাইকেই বিয়ে করতে হয় একসময়। আজ জেনে নেয়া যাক বিয়ের আগে একটি জরুরী স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. নাফিসা আবেদীন।

বিয়ের আগে রক্ পরীক্ষা করিয়েছেন, এ রকম লোকের সংখ্যা হাতেগোনা। পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান মেলানোর পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষাও হয়ে উঠেছে বিয়ের অনিবার্য অংশ। কেননা:

এই রক্ত পরীক্ষার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো ভবিষ্যতে সন্তান সুস্থ হবে কি-না তা দেখা। তাই হবু মা ও বাবার নির্দিষ্ট কিছু রক্ত পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। দু’জনের ব্লাড গ্রুপ এ, বি, ও পজিটিভ এবং ও নেগেটিভ না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তাই আগে থেকেই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে দেখা উচিত কার রক্তের গ্রুপ কী।

এ ছাড়া ভবিষ্যতে যদি কোনো অসুখে বা দুর্ঘটনায় হঠাৎ রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে ব্লাড গ্রুপ জানা থাকলে বাড়ির লোকজনকে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না।

টিসি. ডিসি, ইএসআর, কোলেস্টেরল, আরএইচ ফ্যাক্টর, এইচআইভি, আয়রন লেভেল ইত্যাদি কিছু রুটিন পরীক্ষা ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই করানো উচিত। তাহলে প্রথম থেকেই একটা মেডিকেল হিস্ট্রি থাকবে।

এ ছাড়াও থাইরয়েড, সুগার, থ্যালাসেমিয়া, হেপাটাইটিস বা টিউবারকিউলোসিসের মতো সমস্যা রয়েছে কি-না তা জানার জন্য বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা আবশ্যক। যদি কেউ থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার বা মেজর হন, তাহলে সে কীরকম জীবনসঙ্গী খুঁজবে এবং ভবিষ্যতে সন্তান পরিকল্পনা করতে পারবে কি-না বা সন্তান জন্মালেও সে কতটা সুস্থ হবে, সে সম্পর্কে আগে থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের গাইডলাইন থাকলে ভালো হয়।

সর্বোপরি অনেকেই হয়তো বংশানুক্রমিক (হেমোফিলিয়া, থেলাসেমিয়া, জেনেটিক ব্যাধি) কোনো রোগে আক্রান্ত। কিন্তু কোনো লক্ষণ না থাকায়, তা জানতে পারেননি। বিয়ের আগে এসব কিছুই জেনে নেওয়া প্রয়োজন। উভয়ের রোগ থাকলে এ ক্ষেত্রে অনাগত সন্তানের বিপদ আরও বেড়ে যায়।

যদি মেয়েদের তলপেটের রোগ ব্যাধির (পিআইডি) মতো কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে কিন্তু সন্তান পরিকল্পনার সময় তা টের না পাওয়া গেলে পরে মারাত্মক জটিলতা হতে পারে। তাই কোনোরকম ইগো বা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ না রেখে, বিয়ের আগেই করিয়ে নিন প্রয়োজনীয় চেকআপ।

ডায়াবেটিস বংশগত কারণে অনেক কম বয়সে দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে কম বয়সে যে কেউ হার্ট বা কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বিয়ের আগে সামান্য ব্লাড সুগার টেস্টে রোগটি ধরা পড়তে পারে।