আশঙ্কা ছিলই। এবার বিষয়টি নিশ্চিত করল মহাকাশ গবেষণাবিষয়ক মার্কিন প্রতিষ্ঠান নাসা। গত সপ্তাহেই সূর্যে বিশালাকার একটি দাগ (স্পট) চিহ্নিত করেছিল নাসার সোলার ডায়নামিকস অবজারভেটরি। রহস্যের জট খুলতে ওই দাগের ওপর নজরদারি আরো বাড়ানো হয়েছিল। নাসার মহাকাশবিজ্ঞানীরা জানান, ওই দাগ আসলে সূর্যের গায়ে তৈরি হওয়া প্রায় ৭৫ হাজার মাইল দীর্ঘ একটা গর্ত। মহাকাশবিজ্ঞানের ভাষায় ‘এআর ২৬৬৫’ বা সূর্যে তৈরি হওয়া গর্তটি এতটাই বড় যে পৃথিবী থেকেও তার দেখা মিলবে বলেই জানিয়েছে নাসা। শুধু রহস্যের জটমুক্তি নয়, একই সঙ্গে আসন্ন বিপদের আশঙ্কাও করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। কারণ, সৌরমুলুকে তৈরি হওয়া ওই গর্ত জন্ম দিতে পারে ভয়ানক সৌরঝড়ের, যা পৃথিবীর পক্ষে মোটেও মঙ্গলদায়ক হবে না। ওই ঝড় পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণরত সব কৃত্রিম উপগ্রহকে তছনছ করে দিতে পারে।
নাসা জানিয়েছে, গর্ত থেকে ‘এম ক্লাস’ সোলার ফ্লেয়ার বা শক্তিশালী সৌর বিকিরণ তৈরি হতে পারে; যার ফলে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পৃথিবীর অনেক জায়গা ঢেকে যাবে অন্ধকারে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।Source:কালের কণ্ঠ ডেস্ক ১৫ জুলাই, ২০১৭