না পাখি, না সরীসৃপ। বরং বলা যায় উভয়েরই মাঝামাঝি। উচ্চতায় প্রায় একজন মানুষের সমান। দেখতে অনেকটা সত্যজিৎ রায়ের ‘চঞ্চু’র মতো। বিজ্ঞানীরা জানালেন, পাখির মতো দেখা গেলেও আসলে এটি ডাইনোসর। কানাডার আলবার্টায় এমনই এক অদ্ভুত দর্শন শিকারির সন্ধান পেলেন জীবাশ্মবিদ ফিলিপ জে কুরি। নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়েই এই প্রজাতির নাম রাখলেন আলবার্টাভেনাটর কুরি, অর্থাৎ ‘কুরির আলবার্টা শিকারি। ’
বর্তমানে কানাডার যেখানে রেড ডিয়ার নদী উপত্যকা, সেখানেই প্রায় সাত কোটি বছর আগে অবাধে ঘুরে বেড়াত এই প্রাণী। গবেষক জানাচ্ছেন, এ প্রাণীর সঙ্গে সাদৃশ্য আছে ট্রোডনের। বরং বলা যায় আলবার্টাভেনাটর কুরি আদতে ট্রোডনেরই তুতো ভাই। তবে ট্রোডনেরা রাজত্ব করত সাড়ে সাত কোটি বছর আগে। ফসিল বলছে, বাহ্যিক গঠনে উভয়ের মধ্যেই আশ্চর্য মিল আছে। উভয়েই দুই পায়ে হাঁটে। শরীর পালকে ঢাকা। ফিলিপ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে হাড়ের গঠন দেখে ট্রোডন আর আলবার্টাভেনাটরকে একই প্রাণী বলে মনে করেছিলেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীরা জানান, আলবার্টায় নতুন জীবাশ্ম আবিষ্কারের পর ট্রোডন ও আলবার্টাভেনাটরের খুলির গঠন পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা গেছে, আলবার্টাভেনাটরের খুলি অনেক ছোট, কিন্তু তুলনায় খুব শক্ত। রয়াল ওন্টারিও মিউজিয়ামের শীর্ষ গবেষক ডেভিড ইভানের কথায়, ‘ভবিষ্যতে আলবার্টাভেনাটরের পরিপূর্ণ জীবাশ্ম আবিষ্কারের অপেক্ষায় রয়েছি। তা হলেই এই প্রাণীটি সম্পর্কে আরো বিশদ জানা যাবে। ’ সূত্র : আনন্দবাজার। Source: কালের কণ্ঠ ডেস্ক ২১ জুলাই, ২০১৭