Faculty of Science and Information Technology > Environmental Science and Disaster Management
Water at the center of the moon!
(1/1)
rumman:
একদিন মানুষ চাঁদে বসতি গড়বে—বহুদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা এ কথা বলে আসছেন। কিন্তু সেখানে কি বেঁচে থাকার অন্যতম উপাদান পানি আছে? কয়েক বছর আগে চন্দ্রাভিযানের পর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, চাঁদের পিঠে পানির আলামত মিলেছে। আর এবার বিজ্ঞানীরা জানালেন, কেবল চাঁদের পিঠ আর দুই মেরুই নয়, চন্দ্রপৃষ্ঠের নিচে একেবারে এর প্রাণকেন্দ্রও যে তরল পানিতে ভরপুর, সেই আলামত তাঁরা পেয়েছেন। চাঁদে বৃষ্টি না হলেও সেটি ক্রমেই পানিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
চাঁদকে শুষ্কই মনে করে আসা হচ্ছিল কয়েক দশক ধরে। এরপর দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে বিপুল পরিমাণ পানির (আইস ওয়াটার) সন্ধান পায়। এরপর ভারতীয় একটি মহাকাশযান চাঁদের পিঠে পানির সন্ধান পায়। কিন্তু এবার চাঁদের একেবারে ভেতরে যে পানি আছে তারও আলামত পাওয়া গেল।
স্যাটেলাইটে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে চাঁদে পানির এ সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। আর তরল অবস্থায় এ পানির আলামত পাওয়ার পর চাঁদে প্রাণের সম্ভাবনা কেবল নয়, প্রাণ বা জীবনের অস্তিত্ব নিশ্চিতভাবে আছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
কোটি কোটি বছর আগে চাঁদের আগ্নেয়গিরিগুলোর জ্বালামুখ থেকে যে গরম লাভা স্রোত ম্যাগমা বেরিয়ে এসেছিল তার মধ্যে ছিল ‘ভলক্যানিক গ্লাসেস’ বা কাচের টুকরোর মতো পদার্থ। চাঁদের পিঠজুড়ে এখনো ছড়িয়ে আছে সেই কাচের টুকরোগুলো। টুকরোগুলো তখন ভেজা দেখে বিজ্ঞানীদের ধারণা হয়েছিল, চাঁদের পিঠে কোনো কোনো অংশে থাকা পানিতেই টুকরোগুলো ভিজেছে।
কিন্তু এবার গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, চাঁদের পিঠে এখন পর্যন্ত যেসব জায়গায় পানি পাওয়া যায়নি সেখান থেকে পাওয়া ভলক্যানিক গ্লাসেস বা কাচের টুকরোর মতো পদার্থগুলোও ভেজা। ফলে গবেষকদের ধারণা, চাঁদের পিঠের পানির কারণে ওই টুকরোগুলো ভেজেনি। টুকরোগুলো উঠে এসেছে চন্দ্রপৃষ্ঠের নিচে একেবারে অন্তঃপুর থেকে। ফলে চাঁদের প্রাণকেন্দ্রেও যে পানি আছে সে ধারণাই এ থেকে সুদৃঢ় হয়েছে। কাচের টুকরোগুলো চাঁদের পিঠে প্রায় সবখানেই ছড়িয়ে থাকায় গবেষকদের বিশ্বাস, চাঁদের ভেতরে তরল অবস্থায় প্রচুর পানি আছে। আর তা আছে অনেকটা জায়গা জুড়েই। সূত্র : সিএনএন।
Source: কালের কণ্ঠ ডেস্ক ২৭ জুলাই, ২০১৭
Navigation
[0] Message Index
Go to full version