« on: August 05, 2017, 12:17:21 PM »
গাব একটি সুস্বাদু, মিষ্টি ও কোষযুক্ত ফল। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম ‘তিন্দুকা’, হিন্দি ভাষায় ‘গাব’ এবং তামিল ভাষায় ‘তুম্বিকা’। গাবের আদি নিবাস ফিলিপাইন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।
গাব কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে পাকলে হলুদ হয়ে যায়। গাব কার্বহাইড্রেট ও মিনারেল সমৃদ্ধ একটি ফল। বীজ খোসা বাদে এর মাংস মাখনের ন্যায় নরম, সাদা অংশ হালকা মিষ্টি স্বাদের এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফ্রস ফল হিসেবে খাওয়া যায়।
আমাদের দেশে দুই ধরনের গাব পাওয়া যায়, দেশি ও বিলাতি। দেশি পাকা গাবের ভেতরটা আঠালো ও চটচটে হয়।
আর বিলাতি গাবের খোসার রঙ লাল, খয়েরি, বাদামি বা ধূসর এবং আকৃতি গোলাকার, লম্বাটে বা ওভাল হয়ে থাকে। খোসার ওপরটা মখমলের মতো। ফলের ভেতরটা সাদা।
আমাদের দেশে বেশ কয়েক ধরনের গাব ফল বৃক্ষ দেখা যায়। এ ফলটি খুবই ফলনশীল। প্রায় সব ধরনের সুনিষ্কাশিত মাটিতেই গাব গাছ জন্মে। সমুদ্র সমতল থেকে ২৪০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত এ ফলটি জন্মাতে দেখা যায়।
একটি গাবে ( ১০০ গ্রাম) খাদ্যোপযোগী অংশের পুষ্টিমান ফ্যাট ০.২২-০.৩৮ গ্রাম, প্রোটিন ০.৭৫ গ্রাম, চিনি ১১.৪৭ গ্রাম, কার্বহাইড্রেট ৫.৪৯- ৬.১২ গ্রাম, পটাশিয়াম ৩০৩ মি. ৩০৩মি. গ্রাম, সোডিয়াম ১১০ মি. গ্রাম, আঁশ ০.৭৪-১.৭৬ গ্রাম ও ক্যালরি ৫০৪ থাকে।
গাবের পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণ:
* গাবের পাতা সিদ্ধ করা কাথ চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। এই ফলের পাতা সিদ্ধ করা গরম পানি দিয়ে গার্গল করলে ঠাণ্ডা কাশি কমে যায়।
* দেশি গাব তেমন একটা খাওয়া হয় না, ভেষজ চিকিৎসায় এর ছাল ও কাঁচা ফলের কিছু ব্যবহার আছে। এই গাব হতে ট্যানিন জাতীয় আঠা প্রস্তুত করা হয়। যা জালে, পশুর চামড়ায় এবং নৌকায় মাখানো হয়।
* গাব গাছের কাঠ কালচে, ঘন ও শক্ত যা ঘরবাড়ি তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।

Logged
Md. Abdur Rumman Khan
Senior Assistant Registrar