Famous > History

History of Muslim'S

<< < (9/12) > >>

Md. Zakaria Khan:
"হতাশ হয়ো না। উঠো! সিজদাহ করো এবং কাঁদো!"
--সূরা ইউসুফ : ৮৬
"আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দিবেন।"
--সূরা ত্বলাক : ৭
"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।"
--সূরা ইনশিরাহ : ৬
"আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি।"
--সূরা ইউসুফ : ৮৬
"জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটে।"
--সূরা বাক্বারা : ২১৪
"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।"
--সূরা ইউসুফ : ৮৭
"আল্লাহ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না।"
--সূরা বাক্বারা : ২৮৬
"এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।"
--সূরা বাক্বারা : ১৫৫
"হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।"
--সূরা বাক্বারা : ১৫৩
"হে আল্লাহ, আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি।"
--সূরা মারইয়াম : ৪
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন--
"মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক! তার প্রতিটা অবস্থাই তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। আর এটা কেবল মুমিনের জন্যই নির্ধারিত, অন্য কারো জন্য নয়। মুমিনের কাছে সুখের কিছু এলে শুকরিয়া আদায় করে। এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। অনুরূপভাবে যখন কোনো দুঃখ তাকে স্পর্শ করে, তখন সে ধৈর্যধারন করে। আর এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়।"
--সহীহ মুসলিম : ২৯৯৯
অতএব, কোনো হতাশা আমার জন্য নয়। 'আলহামদুলিল্লাহি আ'লা কুল্লি হাল।' (আমি সকল অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করি।)

Md. Zakaria Khan:
ইসলামে আইনের শাসন ও সুবিচার
নিসফ অর্থ সমান অর্ধেক। আর ইনসাফ অর্থ সমান দুই ভাগ করা, বেশি বা কম না করা। আল্লাহ তাআলার একটি নাম হলো ‘আদল’ অর্থাৎ ন্যায়বান, ন্যায়পরায়ণ। আদালত অর্থ ন্যায়ের স্থান। মুমিন জীবনের পূর্ণতার জন্য তাকওয়া বিশেষ শর্ত; তাকওয়ার পরিচায়ক হলো ন্যায়বিচার।

মানবজীবনে ন্যায়বিচারের গুরুত্ব অত্যধিক। পবিত্র কোরআন কারিমে প্রথম সুরা ফাতিহার তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ তাআলার পরিচয় দেওয়া হয়েছে, ‘তিনি বিচার দিবসের মালিক,’ যা আমরা প্রত্যহ দিবারাত্রি বহুবার পাঠ করে থাকি।

সভ্য সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের কোনো বিকল্প নেই। সুবিচারপ্রাপ্তি সব নাগরিকের অধিকার এবং ন্যায়বিচার আল্লাহর হুকুম। এটি ফরজ ইবাদত। কোরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে, কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদের যেন কখনো সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে, সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করবে, তোমরা যা করো নিশ্চয় আল্লাহ তার সম্যক খবর রাখেন।’ (সুরা-৫ মায়িদা, আয়াত: ৮)।

Md. Zakaria Khan:
জিল হজ্জের প্রথম ১০দিনের ফযিলত
১-.একদিনের রোজা ১ বছরের সমান
২.এক রাতের ইবাদাত ১ বছরের সমান
৩.পূর্বের ও পরের ১ বছরের সমান গোনাহ মাফ
৪.এক রাতের নামাজ কদরের নামাজের সমান

Md. Zakaria Khan:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ دَلّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ.
কেউ যখন কাউকে কোনো ভালো কাজের পথ দেখিয়ে দেয়, সে ব্যক্তি কাজটি করে যে সওয়াব পাবে, যে তাকে এর পথ দেখিয়ে দিল সেও অনুরূপ সওয়াব লাভ করবে।
 -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫১৩১

Md. Zakaria Khan:
অনেকেই বলে আল্লাহ হেদায়েত দিলে নামাজ পড়ব, পর্দা করবো, দাঁড়ি রাখবো।
আমার কথা হলো...,আল্লাহ কি আপনাকে এমনি এমনিই  হেদায়েত দিবেন?
 যদি আপনি নিজে খারাপ কাজ ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা না করেন!! কখনোই না। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন,
 ❝আমি তাকেই সাহায্য করি যে নিজেই নিজেকে সাহায্য করে❞
( সূরা হজ্জ আয়াত ৪০)
আপনি যদি জেনেও ইচ্ছে করেই খারাপ কাজ করেন তাইলে এমন কে আছে যে আপনাকে ভালো পথে ফিরে আনতে পারবে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে  সূরা আস সাজদার ১৩ নাম্বার আয়াতে বলেন,
 ❝আমি চাইলে প্রথমেই মানুষকে হেদায়েত দিতে পারতাম কিন্তু আমার এ উক্তি অবধারিত যে আমি অবশ্যই মানুষ ও জিন দাঁড়া জাহান্নাম পূর্ণ করব।❞
অর্থাৎ এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আল্লাহতালা আমাদের পরীক্ষা করছেন।
 এ সম্পর্কে কোরআনে সূরা মূলকের দুই নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,
❝ জীবন ও মরণ তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে যে, কে  কোন কর্মে উত্তম। ❞
অর্থাৎ আমাদের স্কুলে যেমন স্যার রা একটা নিদিষ্ট সময় ধরে পরীক্ষা নেন ঠিক তেমনি আমরা যারা বেচে আছি আমাদের সবার পরীক্ষা নিচ্ছেন মহান আল্লাহ তা'য়ালা  আর এ পরীক্ষার ফলাফল পাব কিয়ামতের দিন।
আর যারা মারা গেছে তাদের পরীক্ষার সময় শেষ হয়েছে ।তাদের আর ভালো বা খারাপ করার কিছুই নেই।
আর যারা বেচে আছি তাদের জন্য এখনো ভালো করার সুযোগ রয়েছে। তাই আমাদের সময়কে কাজে লাগাতে হবে।
তাই যে এই জীবনে যে ভালো কাজ করবে,আল্লাহর আনুগত্য করবে ও রাসুল (সাঃ)এর দেখানো পথে চলবে সে ই সফলকাম।
ভালো হওয়ার জন্য আপনাকে নিজেই নিজেকে সাহায্য করতে হবে।
খারাপ কাজ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে তবেই আল্লাহ তাআলা আপনাকে সঠিক পথ দেখাবেন।
এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে যে, আল্লাহ তা'আলা বলেন,
❝ হে আদম সন্তান আমার জন্য দাঁড়াও, আমি তোমার দিকে হেঁটে হেঁটে আসবো। আমার দিকে হেঁটে হেঁটে এসো, আমি তোমার দিকে দৌড়ে যাব।
( মুসনাদে আহমদ -১৫৯২৫)
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে ভালো ও মন্দের জ্ঞান দিয়ে দিয়েছেন।আর এভাবেই আমাদের পরীক্ষা করছেন। যে ভালো কাজ করবে আর মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকবে সে আল্লাহর পরীক্ষায় পাশ করবেন আর যে খারাপ কাজ করবে সে পরীক্ষায় ফেল করবে।
মেইন বিষয় হল আপনার নফস। আপনি যদি নিজের নফসকে কন্ট্রোল করতে পারেন।তাইলেই আপনি সফল হবেন ও আল্লাহ তা'য়ালার কাছে প্রিয় হবেন।
তাই সবার আগে নিজের নফসকে দমন করতে হবে। নিজেকে চেষ্টা করতে হবে তবেই না আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবে।
❝নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে।❞(সূরা বাকারা-২:২১৪)

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version