History of Muslim'S

Author Topic: History of Muslim'S  (Read 14809 times)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
History of Muslim'S
« on: August 08, 2017, 04:43:45 PM »
দুঃখের সাথেই রয়েছে সুখ
إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
অবশ্যই দুঃখের সাথে সুখ আছে।” (৯৪-সূরা আল ইনশিরাহ: আয়াত ৬)
আহার করার পর পুনরায় ক্ষুধা লাগে, পান করার পর পুনরায় পিপাসা জাগে। অস্থিরতার পর ঘুম আসে। অসুস্থতার পর সুস্থতা আসে, পথ হারার পর পথ খুঁজে পাবে আর রাতের পর দিন আসবে এটাই নিয়ম।
"সম্ভবত আল্লাহ বিজয় ঘটাবেন অথবা তার ইচ্ছানুযায়ী কোন সিদ্ধান্ত নিবেন।" (সূরা-৫ মায়িদা: আয়াত-৫২)
অন্ধকার রাত্রিতে এক আলোকিত সুপ্রভাতের আগমনের সংবাদ জানাও, যে প্রভাতের আলো পাহাড় ও উপত্যকাসমূহে ছড়িয়ে পড়বে। দুঃখ-পীড়িতদেরকে এমন ত্বরিত প্রশান্তির শুভসংবাদ দাও যা নাকি তাদের কাছে আলোর গতিতে বা একপলকে পৌঁছে যাবে, যদিও বা আপনি মরুভূমিকে মাইলকে মাইল বিস্তৃত দেখছেন, তবুও জেনে রাখুন যে, এই দূরত্বের পরেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ছায়াঘেরা অনেক সবুজ অবারিত মাঠ রয়েছে।
আপনি যদি দেখেন যে, রশি শুধু কষছে আর কষছেই তবে জেনে রাখুন যে, এটা অচিরেই পটু করে ছিড়ে যাবে। কান্নার পর হাসি, ভয়ের পর সান্ত্বনা এবং উদ্বিগ্নতার পর প্রশান্তি আসে। যখন ইব্রাহীম (আঃ)-কে আগুনে ফেলা হল তখন তার প্রভুর সাহায্য পাওয়ার কারণে তিনি আগুনের তাপ অনুভব করেননি।
قُلْنَا يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ
“আমি (আল্লাহ) বললাম: হে আগুন! তুমি ইব্রাহীমের জন্য শীতলতা প্রদানকারী ও নিরাপত্তা দানকারী হয়ে যাও।” (২১-সূরা আল আম্বিয়া: আয়াত-৬৯)
সাগরতো মূসা (আঃ)-কে ডুবাতে পারেনি; কেননা, তিনি অত্যন্ত আত্মপ্রত্যয়ী দৃঢ় ও সৎভাবে বলেছিলেন-
كَلَّا إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهْدِينِ
“কখনও নয়; নিশ্চয় আমার সাথে আমার প্রভু আছেন, তিনি আমাকে পথ দেখাবেন।” (২৬-সূরা আশ শোয়ারা: আয়াত-৬২)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর (রাঃ)-কে গুহাতে বলেছিলেন যে, আল্লাহ তাদের সাথে আছেন, তারপর তাদের উপর শান্তি ও প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়েছিল।
যারা দুর্দিনের শিকার তারাতো শুধু দুর্দশা ও দুর্ভাগ্যই দেখে। এর কারণ এই যে, তারা কেবল ঘরের দেয়াল ও দরজাই দেখতে পায়, যখন নাকি তাদের সামনে যে বাধার প্রাচীরসমূহ আছে সেগুলোর বাইরে তাদের তাকানো উচিত।
অতএব, হতাশ হবেন না; অবস্থা একই রকম থাকা অসম্ভব। দিনগুলো ও বছরগুলো পালা করে ঘুরে ঘুরে আসে, ভবিষ্যৎ অদৃশ্য আর প্রতিদিনই আল্লাহ্ তায়ালার কিছু কাজ করার থাকে। আপনি তো এটা জানেন না, তবে এমনটা হতে পারে যে, আল্লাহ তায়ালা পরবর্তীতে নতুন কিছু আনবেন। আর অবশ্যই, কষ্টের সাথে আরাম আছে।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #1 on: November 21, 2017, 09:56:31 AM »
ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট(TFT)
------------------------------------------

একদিন সক্রেটিসের কাছে তার এক পরিচিত লোক এসে বলল, আপনি কি জানেন আপনার বন্ধু সম্পর্কে আমি কি শুনেছি!

সক্রেটিস তেমন আগ্রহী না হয়ে বললেন, এক মিনিট থামেন। আমাকে কিছু বলার আগে আপনার ছোট একটা পরীক্ষা পার হতে হবে, এই পরীক্ষার নাম ‘ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট’।

লোকটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করল, ট্রিপল ফিল্টার?

সক্রেটিস বললেন, ঠিক তাই। আমার বন্ধু সম্পর্কে আমাকে কিছু বলার আগে আপনি যা বলবেন তা ফিল্টার করে নেওয়া ভালো। তিন ধাপে ফিল্টার হবে বলে আমি এটাকে ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট বলি।

১. প্রথমটি হলো ‘সত্য’ ফিল্টার। আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি যা বলবেন তা সত্য?

লোকটা বলল, না, আমি শুধু শুনেছি আর…সক্রেটিস বললেন, ঠিক আছে। তাহলে আপনি জানেন না এটা সত্য কিনা।

২. এবার দ্বিতীয় ফিল্টার। এই ফিল্টারের নাম হল ‘ভালোত্ব’। আমার বন্ধু সম্পর্কে আপনি কি ভালো কিছু বলবেন?

লোকটা একটু আমতা আমতা করে বলল, না, বরং উলটা…

সক্রেটিস বললেন, তার মানে আপনি আমার বন্ধু সম্পর্কে খারাপ কিছু বলবেন এবং আপনি নিশ্চিতও না যে তা সত্য কিনা। আপনি হয়ত এখনো পরীক্ষাটা পার হতে পারেন, কারণ তিন নাম্বার ফিল্টার বাকি আছে।

৩. তৃতীয়টি হল ‘উপকারিতা’ ফিল্টার। আপনি আমার বন্ধু সম্পর্কে যা বলবেন তা কি আমার কোনো উপকারে লাগবে?

লোকটি বলল, না, সেরকম না।

সক্রেটিস তখন শান্তভাবে বললেন, বেশ, আপনি যা বলতে চান তা সত্য না, ভালো কিছুও না, আবার আমার কোনো উপকারেও আসবে না। তাহলে আমাকে কেনই বা তা বলবেন?

ঠিক তেমনভাবে ব্যক্তিজীবনে কাউকে কিছু বলার বা শোনার আগে বা কিছু শেয়ার করার আগে করিয়ে নিন সক্রেটিসের 'ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট'। আখেরে কাজে দেবে।

(Iftekhar Mahmud এর পোস্ট থেকে পাওয়া)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #2 on: January 06, 2018, 05:14:46 PM »
তওবাঃ-
তওবা আরবি শব্দ। তওবা শব্দের আভিধানিক অর্থ হ’ল প্রত্যাবর্তন করা, ফিরে আসা। পবিত্র কোরআন এবং হাদীসে শব্দটি আল্লাহর নিষেধকৃত বিষয়সমূহ ত্যাগ করা ও তার আদেশকৃত বিষয়সমূহর দিকে ফিরে আসা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। ইসলামী ধর্মমতে তওবা শব্দটি নিজের কৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, তার জন্য আল্লাহ নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা, এবং তা পরিত্যাগের দৃঢ় সংকল্পকে বুঝায়। তওবা ব্যাতিরেকে কবিরা গুনাহ মাফ হয় না। যে তওবার পর পাপকর্মের পুনরাবৃত্তি হয় না, তাকে বলে তওবাতুন নাসুহা বা খাঁটি তওবা।

পবিত্র কুরআনের একটি পূর্ণাঙ্গ সূরার নামকরণ করা হয়েছে সূরা তওবা। এছাড়াও বিভিন্ন সুরার বিভিন্ন স্থানে তওবা এবং এর গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন,
****** “আর হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন (তওবা) কর, যেন তোমরা সফলকাম হতে পার।”
(সূরা নুরঃ আয়াত ৩১ এর অংশ)।

সুরা তাহরিমে আল্লাহ বলেন,
********* “হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর সমীপে খাঁটি তওবা কর, এই আশায় যে তোমাদের প্রভু তোমাদের সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন আর তোমাদেরকে এমন উদ্যানসমূহে উপবিষ্ট করবেন যার নিম্নদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত থাকবে”.(সূরা তাহরিমঃ আয়াত ৮)

সুরা বাকারায় আল্লাহ বলেন,
********** “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন যারা তাঁর কাছে তওবা করে, এবং তিনি তাদেরকে ভালবাসেন যারা নিজেদেরকে পবিত্র করে।”
(সূরা বাকারাঃ আয়াত ২২২)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #3 on: June 21, 2018, 09:32:14 AM »
দৃষ্টি সংযত রাখার মাহাত্ম্য ও মর্যাদা
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেছেন,
“(হে নবী) আপনি  মু’মিন পুরুষদের বলুন, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের  লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয়ই তারা যা করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ্  সম্যক অবহিত।
(সূরা আন-নূর; ২৪ : ৩০)
অতএব, আল্লাহ্ পবিত্রতা ও আত্মিক উন্নয়নকে দৃষ্টি সংযত রাখার এবং লজ্জাস্থান হিফাযত করার প্রতিদান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ নিষিদ্ধ বস্তু থেকে নিজের দৃষ্টি সংযত করার ফলে তিনটি উপকার হয় যেগুলো ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত মূল্যবান।
প্রথমত : ঈমানের মধুরতা আস্বাদন করা
দ্বিতীয়ত : আলোকিত হৃদয়, স্বচ্ছ উপলব্ধিবোধ এবং তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি
তৃতীয়ত : হৃদয় হবে শক্তিশালী, দৃঢ় এবং সাহসী

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #4 on: June 24, 2018, 04:31:52 PM »
একবার এক ইহুদি রসুলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপরে এসে চড়াও হলো। তার জামা আর চাদর টেনে ধরে খুব রুক্ষ ভাবে বলল,
"এই মুহাম্মাদ, আমার ঋণ শোধ করো না কেন?"
এরপরেও আরো কিছু কড়া এবং কটু কথা বলতে থাকল।

দৃশ্যটা উমার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা দেখলেন। তিনি ইহুদিকে বললেন, তুমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে যে ব্যবহার করলে, আল্লাহর কসম, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাধা না দিলে তোমার কল্লা নামিয়ে ফেলতাম।

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শান্তভাবে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমার কাছ থেকে এমন কথা তো আশা করিনি উমার। তুমি আমাকে বলবে ঋণ তাড়াতাড়ি শোধ করে দিতে আর তাকে বলবে ভালো ব্যবহার করতে। যাই হোক, লোকটাকে আমার ঋণ শোধ করে দাও আর অতিরিক্ত বিশ সা’ খেজুর দিয়ে দাও।
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তাই করলেন।

ইহুদি জিজ্ঞেস করল, বেশি দিলে কেন উমার?
- রাগের জন্য।
ইহুদি জিজ্ঞেস করল, আমাকে চিনতে পেরেছ?
- না।
- আমি যায়েদ বিন সু’নাহ।
- ওহ, তুমি সেই ইহুদি পাদ্রী?
- হ্যাঁ।
- তুমি আমাদের রসুলের সাথে এত দুর্ব্যবহার করেছিল কেন?
- আমি তাঁর মধ্যে নবুওয়াতের সব আলামত পেয়েছি, খালি দুটি জিনিসের জন্য পরীক্ষা করছিলামঃ

১) তাঁর সহিষ্ণুতা অজ্ঞতার উপর অগ্রগামী কিনা
২) মুর্খতা বশত তাঁর সাথে কেউ অসদাচরণ করলে তার ধৈর্য বাড়ে কিনা।

এ দুটি বিষয় পরীক্ষার জন্যই আমি এ আচরণ করেছি। উমার শোনো, তোমাকে সাক্ষী করে বলছি: আল্লাহ তা‘আলা আমার রব্ব হওয়াতে, ইসলাম আমার দ্বীন হওয়াতে ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নবী হওয়াতে আমি সন্তুষ্ট।
আমি তোমাকে এও সাক্ষী রাখছি যে, আমার অর্ধেক সম্পদ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের জন্য দান করে দিলাম।
তারপর যায়েদ রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গিয়ে বললেন,

" আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।"

ভাইয়েরা - এই মানুষটা আমাদের রসুল ছিলেন। আমরা কীভাবে অধৈর্য হব, অসহিষ্ণু হব বলেন?

যারা আমাদের ভুল ধরেন তারা আমাদের ভালোর জন্যই ধরেন, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তাদের মাকাম অনেক উন্নত করুন।আমরা যেন তাদের শত্রু মনে না করি। আমরা যেন আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করে নিতে সচেষ্ট হই।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাওফিক দিন।

Offline Abdus Sattar

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 483
  • Only the brave teach.
    • View Profile
    • https://sites.google.com/diu.edu.bd/abdussattar/
Re: History of Muslim'S
« Reply #5 on: June 24, 2018, 07:01:08 PM »
Thanks for sharing.
Abdus Sattar
Assistant Professor
Department of CSE
Daffodil International University(DIU)
Mobile: 01818392800
Email: abdus.cse@diu.edu.bd
Personal Site: https://sites.google.com/diu.edu.bd/abdussattar/
Google Scholar: https://scholar.google.com/citations?user=DL9nSW4AAAAJ&hl=en

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #6 on: June 25, 2018, 04:55:54 PM »
ক্বিয়ামতের মাঠে কাফেদের অবস্থা

কাফেদের জন্য ক্বিয়ামতের মাঠ হবে অতীব কঠিন ও জটিল জায়গা। মহান আল্লাহ তা‘আলা কাফেদের অবস্থা সম্পর্কে ইরশাদ করেন, إِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَوْ أَنَّ لَهُمْ مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيْعًا وَمِثْلَهُ مَعَهُ لِيَفْتَدُوْا بِهِ مِنْ عَذَابِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَا تُقُبِّلَ مِنْهُمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ- ‘নিশ্চয়ই যারা কাফের, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমুদয় সম্পদ এবং তৎসহ আরও তদনুরূপ সম্পদ থাকে আর এগুলোর বিনিময় দিয়ে ক্বিয়ামতের শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়, তবুও তাদের কাছ থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’ (মায়েদাহ ৩৬)।
মহান আল্লাহ আরও বলেন, تَقُوْمُ السَّاعَةُ يُبْلِسُ الْمُجْرِمُوْنَ- وَلَمْ يَكُنْ لَّهُمْ مِّنْ شُرَكَائِهِمْ شُفَعَاءُ وَكَانُوْا بِشُرَكَائِهِمْ كَافِرِيْنَ- ‘যেদিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা হতাশ হয়ে যাবে। তাদের দেবতাগুলোর মধ্যে কেউ তাদের জন্য সুপারিশ করবে না এবং তারা তাদের দেবতাকে অস্বীকার করবে’ (রূম ১২-১৩)।
ক্বিয়ামতের মাঠে কাফেদের অবস্থা এতই কঠিন হবে যে, তাদেরকে আল্লাহ পায়ের দ্বারা না হাঁটিয়ে মুখের মাধ্যমে হাঁটাবেন। হাদীছে এসেছে,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَجُلًا قَالَ يَا نَبِيَّ اللهِ يُحْشَرُ الْكَافِرُ عَلَى وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ أَلَيْسَ الَّذِيْ أَمْشَاهُ عَلَى الرِّجْلَيْنِ فِي الدُّنْيَا قَادِرًا عَلَى أَنْ يُمْشِيَهُ عَلَى وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ قَتَادَةُ بَلَى وَعِزَّةِ رَبِّنَا-
আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ)! ক্বিয়ামতের দিন কাফেরদেরকে কিভাবে মুখের মাধ্যমে হাঁটিয়ে একত্রিত করা হবে? নবী করীম (ছাঃ) বললেন, যিনি দুনিয়াতে মানুষকে পায়ের মাধ্যমে চালাতে সক্ষম, তিনি কি ক্বিয়ামতের দিন তাকে মুখের মাধ্যমে চালাতে সক্ষম হবেন না? ক্বাতাদাহ বলেন, আমাদের রবের কসম! তিনি তা করতে সক্ষম’।(১০. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৩০৩।)

ক্বিয়ামতের মাঠে এ এক আশ্চর্য দৃশ্য যে কাফেররা মুখের মাধ্যমে চলাচল করবে।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #7 on: July 02, 2018, 05:45:49 PM »
1⃣ – বিজ্ঞান আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে জেনেছে চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে বা ভেসে চলে, পবিত্র কোরআনে
সূরা আম্বিয়ার ৩৩ নং আয়াতে এবং সূরা ইয়াসিন এর ৪০ নং আয়াতে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।
2⃣ – সম্প্রতি মানুষের ভ্রুন বিকাশের বিভিন্ন পর্যায় ও ধাপ সম্পর্কে
বিজ্ঞান আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে জেনেছে, আর কোরআনে এই বিষয়ে যথাযথ ও সঠিক বর্ণনা প্রদান করা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।
( ২৩নং সূরা মুমিনুন এর ১২-১৪ নং আয়াত, ৫৩নং সূরা নাজম এর ৪৫-৪৬ নং আয়াত, ৩৯ নং সূরা জুমার ৬ নং আয়াত ) ও আরও অনেক আয়াতে বলা হয়েছে।
3⃣ – বিজ্ঞান সম্প্রতি জেনেছে খাদ্য সংগ্রহ ও মধু তৈরির সাথে স্ত্রী মৌমাছি জড়িত, সূরা নাহল এর (৬৮-৬৯)নং আয়াতে
কোরআনে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে। এই আয়াতে কুরআন স্ত্রীবাচক ক্রিয়াপদ ব্যবহার করেছে। তাই এর দ্বারা কুরআন ইস্পস্ত ভাবে বর্ণনা দেয় খাদ্য সংগ্রহ ও মধু তৈরির সাথে স্ত্রী মৌমাছি জড়িত।
️4️⃣ – সম্প্রতি বিগ ব্যাং’ থিওরি আবিষ্কার হয় । আর সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতে কোরআনে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।বিস্তারিত ভাবে দেওয়া নিচে দেওয়া বইয়ে রয়েছে।
5️⃣ – বিজ্ঞান জেনেছে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। কোরআনে সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে। বিস্তারিত ভাবে নিচে দেওয়া বইয়ে রয়েছে।
⏹️ এখানে মাত্র ৫ টি মুজিজা দেওয়া হল।
কিন্তু কোরআনে শত শত মুজিজা এবং অনেক ভবিষ্যৎবাণী ও রহস্য রয়েছে।
যা আপনি কোরআন নিয়ে লেখা ইসলামিক বই গুলো পড়লে প্রমান সহ এবং বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।

কিছু নাস্তিক ও অন্য ধর্মের মানুষ কোরআন এর মুজিজা ঠিক ভাবে না বুজে ভুল কমেন্ট করে তাই ঠিক ভাবে বা বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে বই গুলো অবশ্যই পড়বেন।
বই কিনে বা ডাউনলোড করে পড়তে পারেন।
বই গুলোর মধ্যে একটি বই এর নাম হল আল কোরআনের ১৬০ মুজিজা ও রহস্য,লেখক ড.মাজহার কাজি। এই বইটিতে রয়েছে ১৬০ টি মুজিজা।
আমার কাছে এই বইটির pdf ফাইল রয়েছে যাদের লাগবে মেসেজ করে নিতে পারেন ফ্রি।
🌠 কোরআনের অনেক ভবিষ্যৎ বানীর মধ্যে একটি বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হল।
ফ্রান্স এর প্রধান মমি সার্জন ছিলেন ডা.মরিস বুকাইলি তাকে ফেরাউন এর মমি পরীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তিনি ফেরাউন এর মমি পরীক্ষা করেন। এবং তিনি জানতে পারেন একমাত্র কোরআনে ফেরাউনের লাশ সংরক্ষনের ব্যাপারে ভবিষ্যৎবাণী রয়েছে। (সূরা ১০ আয়াত ৯২)।
তিনি তখন অবাক হয়ে যায় কারন ফেরাউন এর মমি পাওয়া যায় ১৮৮১ সালে আর কোরআন নাজিল হয় ১৪০০ বছর আগে।
এরপর তিনি কোরআন ও বিজ্ঞান নিয়ে অনেক সময় ধরে বহু গবেষণা করেন এবং অনেক কিছু জানতে পারেন।
তারপর তিনি একটি বই লিখেন যার নাম বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান, আর এই বইটিতে তিনি প্রমান করেন কোরআনে একটি শব্দও নেই যা আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলে না, এবং বর্তমান বাইবেল এর মধ্যে এমন অনেক কিছু আছে যা বিজ্ঞানের সাথে কোনোভাবেই মিলে না।
এবং জানা যায় মৃত্যুর আগে তিনি ইসলাম গ্রহন করেন।
এই বইটি অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটি বাংলা ভাষায় ও রয়েছে।
🚨 মনে রাখবেন ইসলামের দুশমনরা মানুষদের ভুল বুজিয়ে বিভিন্ন ভাবে ধোঁকা দিচ্ছে এবং তারা মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে ।
এমনকি ইসলামের দুশমনরা মুসলিম সেজেও কোরআন ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে ধোঁকা দিচ্ছে।
আর কোরআন ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা ধরা বেশির ভাগ মুসলিমদের পক্ষে সম্ভব নয় কারন এর জন্য ইসলাম সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হয়।
আর মনে রাখবেন একজন আলেম বহু বছর সময় দিয়ে এত বড় কোরআন বাংলা সহ মুখস্থ করে ও অগনিত সহীহ হাদিস মুখস্ত রাখে,এবং
ইসলাম সম্পর্কে বহু জ্ঞান অর্জন করে।
তাই ইসলাম সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে ভালো কোনো আলেম থেকে জেনে নিতে হবে।
আর আলেমদের অবশ্যই ইন্টারনেট সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ইসলাম সম্পর্কে জানাতে হবে কারন
এর মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে জানানো সম্ভব।
🌍 পৃথিবীতে ইসলামের দ্রুত প্রসার ঘটছে এবং বেড়ে চলেছে নওমুসলিমদের সংখ্যা।
কিন্তু মুসলিমদের একটি বড় সমস্যা হল তারা ঐক্যবদ্ধ নয় তাই মুসললিমরা এখন নির্যাতিত হচ্ছে।
মনে রাখবেন ইসলামের বিজয় তখনি হবে, যখন ইসলামী শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হবে,
আর জনগন তখনি শান্তিতে থাকতে পারবে যখন পবিত্র কুরআন এর আইন দ্বারা দেশ চলবে...
কারণ আল্লাহ্‌ হলেন সবথেকে বড় আইন প্রনেতা।
আজকে আমাদের নিজেদের কারনেই মুসললিমরা ঐক্যবদ্ধ নয়। তাই আমাদের নিজ থেকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ্‌ আমাদের কবুল করুক।(আমিন)
🌠 একবার ভেবে দেখুন মহান আল্লাহ্‌ এত কিছু সৃষ্টি করলো কিন্তু আমাদের গুনাহ করা ও নিজের ইচ্ছা মত চলার ক্ষমতা কেন দিল ? তাহলে এই দুনিয়ার জীবন কি একটি পরীক্ষা নয়?
আর আমি আজ যতো মজা করি আর গুনাহ করি না কেন আমি একদিন মারা যাবো, মৃত্যুর পর আমি কি পারবো জাহান্নাম এর কঠিন আজাব সহ্য করতে?

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #8 on: July 07, 2018, 11:00:15 AM »
আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন ,
অতঃপর তার দ্ধারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করেন । এতে ঐ সম্প্রদায়ের জন্য বহু নিদর্শন আছে যারা লক্ষ্য করে শুনে । তোমাদের জন্য গবাদি পশুতে ও অবশ্যই শিক্ষা নিহিত আছে । তোমাদেরকে পান করাই ওদের পেটের গোবর আর রক্তের মাঝ থেকে বিশুদ্ধ দুগ্ধ যা পানকারীদের জন্য খুবই সুস্বাদু । আর
খেজুর ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা   উত্তম খাদ্য প্রস্তুত কর , জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে ।

______।। সুরা নাহাল : ৬৫ ,৬৬ , ৬৭ ।। ___

Offline Abdus Sattar

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 483
  • Only the brave teach.
    • View Profile
    • https://sites.google.com/diu.edu.bd/abdussattar/
Re: History of Muslim'S
« Reply #9 on: July 07, 2018, 11:28:40 AM »
Thanks for sharing.
Abdus Sattar
Assistant Professor
Department of CSE
Daffodil International University(DIU)
Mobile: 01818392800
Email: abdus.cse@diu.edu.bd
Personal Site: https://sites.google.com/diu.edu.bd/abdussattar/
Google Scholar: https://scholar.google.com/citations?user=DL9nSW4AAAAJ&hl=en

Offline tokiyeasir

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 905
  • Test
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #10 on: September 30, 2018, 10:13:10 AM »
Thanks..........

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #11 on: October 02, 2018, 06:25:37 PM »
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন আমার উম্মাত ১০টা কাজ করবে, তখন তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে রাসূল, কী কী? তিনি বললেনঃ

▣ যখন রাস্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হবে
▣ যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল হিসাবে গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ আত্মসাৎ করা হবে)
▣ যাকাতকে জরিমানার মতন মনে করা হবে
▣ স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে
▣ বন্ধুর প্রতি সদাচারী ও পিতার সাথে দুর্ব্যবহারকারী হবে
▣ মসজিদে হৈ চৈ হবে
▣ জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যেকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী
▣ মানুষকে তার ক্ষতির আশংকায় সম্মান করা হবে
▣ গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে
▣ উম্মাতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদ অভিশাপ দেবে

তখন আগুনে বাতাস আসবে, মাটির ধস ও দেহের বিকৃতি ঘটবে।”

[সহীহ তিরমিযী হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। আততারগীব ওয়াত তারহীব- ৩য় খন্ড (১৫৪১)]

Offline monirulenam

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 295
  • Test
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #12 on: October 31, 2018, 06:00:22 PM »
Thanks for the post

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #13 on: December 06, 2018, 08:00:17 PM »
মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে
সৃষ্টি করেছি, মাটিতেই আমি তোমাদের
ফিরিয়ে নেব এবং এ মাটি থেকেই
তোমাদেরকে পুনরায় আবার বের করে আনব।
[সূরা ত্বোয়া-হা :৫৫]

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #14 on: February 07, 2019, 09:09:01 PM »
সালাতের ফজিলত
দুনিয়ার ভালো-মন্দ কর্মগুলো আখিরাতে পরিমাপ করা হবে। দুনিয়ায় যারা বেশি বেশি নেক আমল করবে। তারা কিয়ামতের কঠিন সময়ে সফলকাম হবে। কিয়ামত দিবসে পরিবার-পরিজন কেউ কারো কোনো উপকারে আসবে না। প্রত্যেকে নিজের হিসাব নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সে দিন শুধু দুনিয়ার নেক আমলের ওপর ভরসা করতে হবে। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যারা ঈমান এনেছ, আল্লাহ পাককে ভয় করো, প্রত্যেকের উচিত লক্ষ করা যে, আগামীকালের জন্য সে কি পেশ করতে যাচ্ছে, তোমরা আল্লাহকে ভয় করতে থাকো; অবশ্যই তোমরা যা কিছু করছ, আল্লাহ পাক তার পূর্ণাঙ্গ খবর রাখেন।’ (সূরা হাশর:১৮)। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে কুরত রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব নেয়া হবে। যদি নামাজ ঠিক থাকে তবে অন্যান্য আমলও সঠিক বলে প্রমাণ হবে। আর যদি নামাজের হিসাবে গরমিল হয়, অন্যান্য আমলও ত্রুটিযুক্ত হয়ে যাবে।’ (তিরমিজি-১:২৪৫পৃ.)।
কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা নামাজ আদায়কারী ব্যক্তিদের প্রতিদান দেবেন। যারা দুনিয়াতে নামাজ কায়েম করেছে, জাকাত প্রদান করেছে, সে দিন তারা আনন্দ-উল্লাস করতে থাকবে। তাদের জাহান্নামের কোনো ভয় থাকবে না। আর দুনিয়ার বেনামাজিরা, সে দিন হা-হুতাশ করতে থাকবে। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সালাত কায়েম করো এবং জাকাত দাও। আর তোমরা নিজেদের জন্য অগ্রে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে।’ (সূরা বাকারা:১১০)। ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সূরা ফাতির:২৯)।
পরকালে সাফল্যে লাভের চাবিকাঠি হলো নামাজ আদায় করা। পরকালে নাজাত পেতে হলে, দুনিয়ার জিন্দেগিতে নামাজের প্রতি যতœবান হতে হবে। নামাজি ব্যক্তিরাই জান্নাতের স্থায়ী বাসিন্দা হবেন। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই ওই সব ঈমানদার সফলকাম হয়েছে, যারা তাদের নামাজে খুশু-খুজুর সাথে আদায় করে।’ (সূরা মুমিনুন:১-২)। ‘যারা নিজেদের সালাতের হেফাজত করে, এরাই আল্লাহর জান্নাতে মর্যাদাসহকারে প্রবেশ করবে।’ (সূরা মা’আরিজ :৩৪-৩৫)। ‘যারা তাদের সালাতসমূহের হিফাজতকারী, মূলত এরাই হবে জান্নাতুল ফেরদাউসের উত্তরাধিকারী এবং সেখানে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে।’ (সূরা মুমিনুন: ৯-১১)।
যারা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তাদের আমলনামায় কোনো গোনাহ থাকবে না। নামাজ বান্দার আমলনামা থেকে গোনাহগুলোকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দেয়। হজরত আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা বলতো, যদি তোমাদের কারো দরজার সামনে একটি নহর থাকে যাতে সে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে, তবে তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে? সাহাবারা উত্তরে বললেন: না, কোনো ময়লাই অবশিষ্ট থাকবে না। অতঃপর রাসূল সা: বললেনÑ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত এমনই। এর বিনিময়ে আল্লাহ পাক নামাজির সব গোনাহ মাফ করে দেন।’ (বোখারি:৫০৩)।
নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে অবহেলা করলে, আখিরাতে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। হজরত নাওফেল ইবনে মুয়াবিয়া রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, ‘যার এক ওয়াক্ত নামাজ ছুটে গেল তার যেন ঘরবাড়ি, পরিবার-পরিজন ও ধন-দৌলত সবকিছু ছিনিয়ে নেয়া হলো।’ (ইবনে হিব্বান-৪:৩৩০ পৃ.)। নামাজের গুরুত্ব এতটাই যে, মুসলমান ও অন্য ধর্মের লোকদের মধ্যে পার্থক্যই হলো নামাজ। হজরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, ‘মানুষের শিরক এবং কুফরের মধ্যে পার্থক্য নামাজ ছেড়ে দেয়া।’ (মুসলিম:২৪৭)। হজরত হানজালা উসাঈদী রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথ পাবন্দীর সাথে আদায় করে, উত্তমরূপে অজু করে, সময়ের প্রতি খেয়াল রাখে, রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে এবং এভাবে নামাজ আদায়কে নিজের ওপর আল্লাহ তায়ালার হক মনে করে, তবে জাহান্নামের আগুন তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে। ( মুসনাদে আহমাদ-৪: ২৬৭পৃ.)। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাসময়ে আদায় করার জন্য আল্লাহ সবাইকে তৌফিক দান করুন।