History of Muslim'S

Author Topic: History of Muslim'S  (Read 14699 times)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #30 on: October 02, 2022, 03:03:22 PM »
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, "তোমাদের ভালোবাসা যেন নির্বুদ্ধিতায় পরিণত না হয়, তোমাদের ঘৃণা যেন ধ্বংসে পরিণত না হয়।"
তাকে প্রশ্ন করা হলো, "সেটা কীভাবে হয়?"
তিনি উত্তর দিলেন, "যখন তোমরা ভালোবাসো, তোমরা শিশুদের মতন নির্বোধ হয়ে যাও। আর যখন ঘৃণা করো, তখন তোমরা তোমাদের সঙ্গীদের ধ্বংস কামনা করতে ভালোবাসো।"
[আল-বুখারী, আল-আদাব আল-মুফরাদ -১৩২২]

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #31 on: October 08, 2022, 02:58:09 PM »
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব, কখনও ভয়ভীতি, কখনও অনাহার দিয়ে, কখনও তোমাদের জানমাল ও ফসলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। (এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ করতে হবে) তুমি ধৈর্যশীলদের (জান্নাতের) সুসংবাদ দান করো।’ –সূরা বাকারা: ১৫৫

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে মানুষ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। ধনসম্পদ সংগ্রহে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। কেননা কেউ তার রিজিক পরিপূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না। যদিও তা অর্জনে বিলম্ব হোক না কেন।’ –সুনানে ইবনে মাজাহ

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #32 on: October 17, 2022, 05:12:28 PM »
‘আল্লাহু আকবার’ অর্থ কী?
মহান আল্লাহর তাসবিহ বা প্রশংসা বাক্যের মধ্য সবচেয়ে মর্যাদাবান তাসবিহ হলো- (اللَّهُ أَكْبَرُ) আল্লাহু আকবার। মর্যাদাসম্পন্ন জিকির ও তাকবিরের মধ্যেও এটি সবচেয়ে বড়। এ তাকবিরের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর একান্ত কাছাকাছি হয়।
‘আল্লাহু আকবার’ (اللَّهُ أَكْبَرُ) অর্থ হচ্ছে- হাকিকত এবং আক্ষরিক অর্থে আল্লাহ তাআলা সব কিছুর চেয়ে বড় এবং মহান। তিনি ইলম (জ্ঞান), কুদরাত (ক্ষমতা), সামি (শোনা), বাসির (দেখা) এবং কর্তৃত্বে সব কিছুর চেয়ে বড়। এমনকি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সত্ত্বাগত দিক থেকেও সবচেয়ে বড়। কিন্তু তিনি কত বড়? সাত আসমান এবং সাত জমিন পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার হাতের তালুতে কীসের মতো?
মহান আল্লাহর কাছে এসব (এতোই ছোট); যেন আমাদের কারো হাতের তালুতে একটা সরিষার দানার মতো! কেননা আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেন-
১. وَ مَا قَدَرُوا اللّٰهَ حَقَّ قَدۡرِهٖ وَ الۡاَرۡضُ جَمِیۡعًا قَبۡضَتُهٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وَ السَّمٰوٰتُ مَطۡوِیّٰتٌۢ بِیَمِیۡنِهٖ ؕسُبۡحٰنَهٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ
‘ওরা আল্লাহর যথোচিত কদর করেনি। তেয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী তাঁর হাতের মুঠোয় থাকবে এবং আকাশমন্ডলী থাকবে তাঁর ডান হাতে গুটানো। পবিত্র ও মহান তিনি, ওরা যাকে অংশী করে, তিনি তার উর্ধ্বে।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৬৭)
২. یَوۡمَ نَطۡوِی السَّمَآءَ کَطَیِّ السِّجِلِّ لِلۡکُتُبِ ؕ کَمَا بَدَاۡنَاۤ اَوَّلَ خَلۡقٍ نُّعِیۡدُهٗ ؕ وَعۡدًا عَلَیۡنَا ؕ اِنَّا کُنَّا فٰعِلِیۡنَ
‘সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে ফেলব, যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দপ্তর; যেভাবে আমি সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। প্রতিশ্রুতি পালন আমার কর্তব্য; আমি এটা পালন করবই।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ১০৪)
আল্লাহ সবকিছুর চেয়ে বড়, যেমন- তাঁর আসমা (সুন্দরতম নামসমূহ) ও সিফাত (সুমহান গুণাবলীতে); একইভাবে তিনি নিজেও সবকিছুর চেয়ে বড়। আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ত্বের প্রকৃত বাস্তবতা অনুধাবন করা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা আরশ সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, আরশ কত বড় সেটা মানুষের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয়। তাহলে চিন্তা করে দেখুন, আরশের সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ) কত বড় সেটা বুঝা মানুষের জন্য কতটা সম্ভব! ত্বইয়্যিব!
সুতরাং তুমি যখন বলো- ‘আল্লাহু আকবার’ (اللَّهُ أَكْبَرُ) তখন তুমি এটা অনুভব করবে যে, আল্লাহ সবকিছুর চেয়ে বড়। তিনি ইলম, ক্বুদরত, হিকমত, সমস্ত কাজ পরিচালনার দিক থেকে সবচেয়ে মহান, অনুরূপভাবে তিনি নিজে সমস্ত কিছুর চেয়ে বড়।
যারাই মহান আল্লাহর প্রশংসায় অন্তর থেকে আল্লাহর জন্য এ তাকবির দেবেন; আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও পরকালে তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন। কেননা ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবির, তাকবিরে তাশরিক ও জিকিরের ফজিলত থেকেই তা প্রমাণিত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় উচ্চকণ্ঠে ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবিরের ঘোষণা দেওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহু আকবারের অর্থ ও মহত্ব বুঝার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর প্রশংসা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #33 on: November 16, 2022, 02:56:59 PM »
মুমিন কখনো হতাশ হয় না :-
আল্লাহ তাআ’লা তাঁর সৃষ্টি এ মহাবিশ্বকে বানিয়েছেন একটা বিশাল পরিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে, আল্লাহ তাআ’লা কুরআনে বলেন- আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব ভয়, ক্ষুধা এবং তােমাদের) জানমাল ও ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে। আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৫৫)।
 মুমিনদের জন্য পরিক্ষা আসবেই যে পরিক্ষা থেকে বাদ পরেননি কোনো নবী ও রাসূলগন ।আমরা যদি শিশু নবী মূসা (আ.) জীবনী দেখি জন্মের পর তার মাকে নির্দেশ করা হল তাকে যেন একটি বাক্সে ভরে ভাসিয়ে দেয়া হয়, পবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী - আর আমি মুসার মায়ের নিকট এই মর্মে নির্দেশ পাঠালাম যে, তুমি তাকে দুধ পান করাও । অত:পর যখন তুমি তার ব্যাপারে আশঙ্কা করবে তখন তাকে নদীতে নিক্ষেপ করবে। (সুরা কাসাস : আয়াত ০৭)
একদিকে ফিরাউন বাহিনী অন্য দিকে সন্তানকে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া এ যেন স্থলের সিংহের ভয়ে জলের কুমিরের মুখে সন্তানকে ঠেলে দেওয়ার মত কিছু। আমার/আপনার মনে যে ভয় তা কি মুসা আ. এর মায়ের মনে উদয় হয়নি? হয়েছে তবে তাকে হতাশা কিংবা ভয় গ্রাস করতে পারেনি তিনি আল্লাহ তাআলা’র উপর পরিপূর্ণ ভরসা করেছেন,তখন আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করলেন- আর একদম ভয় করবে না এবং চিন্তাও করবে না। নিশ্চয়ই আমি তােমার। সন্তানকে তােমার নিকট ফিরিয়ে দেবো এবং তাকে রাসুলদের অন্তর্ভুক্ত করব। (সুরা কাসাস : আয়াত ০৭)।।
দুনিয়া হলো মুমিনের জন্য কারাগার (সহীহ মুসলিম : ২৯৫৬)। দুঃখ কষ্ট বেদনা যন্ত্রণার জায়গা। থাকা খাওয়ার কষ্ট, ভাল না লাগা প্রিয় মানুষ হারানোর যন্ত্রণা, নিজের স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবায়ন করতে না পারার অসীম বেদনা, মনের গহিনে লুকাইত সুপ্ত যন্ত্রণা যা হয়তবা এ পৃথিবীর কেউ জানেনা।
অতএব যারা মুমিন আল্লাহর প্রকৃত মুমিন বান্দা তাদের জন্য তো দুনিয়া কারাগার। আর কারাগার মানেই তো দুঃখ আর কষ্টের জায়গা। মুমিনের জন্য দুনিয়াতে দুঃখ কষ্ট থাকবে এটাই স্বাভাবিক তবুও মুমিনে কখনো হতাশ হবে না। মুমিন এই সমস্যা গুলোকে সাথে নিয়েই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা’র উপর ভরসা করে হতাশ না হয়ে আমৃত্যু জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে, আর এটাই হল একজন প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #34 on: November 17, 2022, 03:16:01 PM »
লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ)
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন, "আমি উচিৎ  কথা বলতে কাউকে ছাড়ি না!
আমি উচিৎ  কথা মুখের উপর বলে দেই"!
আপনি অনেক স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড!
যা মনে আসে তাই বলেন!
গালাগাল সহ সরাসরি মুখের উপর সব বলে দেন!
সব মহলে ঠোটকাটা স্বভাবের হিসেবে আপনি পরিচিত!
সবাইকে একদম সামনেই ধুয়ে দেন এবং এটা নিয়ে আপনি বেশ গর্বও করেন!

 ইসলাম ধর্মে এটাকেই "লুমাযাহ" বলা হয় ।
◾যে ব্যক্তি:-
★ সরাসরি কাউকে লাঞ্চিত ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
★ কাউকে তাচ্ছিল্য ভরে কোনকিছু নির্দেশ করে (আঙুল,চোখ, মাথা বা ভ্রু দ্বারা) ।
★ কারও অবস্থান বা পদবি নিয়ে তাকে ব্যাঙ্গ করে।
★ কারো বংশের নিন্দা করে বা বংশ নিয়ে কথা বলে।
★ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলে, অপমান করে।
★ কারও মুখের উপর তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে।
★ সরাসরি বাজে কথা দিয়ে কাউকে আঘাত করে।
★ কাউকে এমন কোনো কথা বললো যাতে আরেকজন কষ্ট পাবে।
★ অসন্মান করে কথা বললো।

উপরোক্ত ব্যক্তিরাই মূলতঃ "লুমাযাহ" এর অন্তর্ভুক্ত।

আল্লহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এই মানুষদেরকে পরিবর্তন হতে বলেছেন। নয়তো তাদের জন্য অনিবার্য ধ্বংসের সতর্ক বাণী দিয়েছেন।
আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর লানত করেছেন।

নবী (সাঃ) বলেছেন, "যার ভিতরে নম্রতা নেই, সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত"।

আসুন, আমরা একটু নরম হই, একটু সহনশীল হই, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করি।
মনে রাখবেন- আল্লাহ যাকে নম্রতা দিয়েছেন, তিনি দুনিয়ার সেরা নিয়ামাহ পেয়ে গেছেন।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
আমীন।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #35 on: January 09, 2023, 01:35:01 AM »
হাসিমুখে কথা বলা: সুন্নাহ
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো ভালো কাজকে তুচ্ছ ভেবো না, যদিও তা তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করার বিষয় হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদিস: ২৬২৬)
অন্যত্র এক হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রতিটি ভালো কাজ সদকা স্বরূপ। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। (তিরমিজী শরীফ)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #36 on: March 11, 2023, 02:39:54 PM »
অপচয় রোধে ইসলাম :
অপচয়ের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, তোমরা  অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। ( সুরা আরাফ, ৩১)
কোরআনে আরো বলা হয়েছে,  ‘আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন, যারা ব্যয় করার ক্ষেত্রে মধ্যবর্তিতা অবলম্বন করে- প্রয়োজনের থেকে বেশী ব্যয় করে না এবং কমও করে না।’ (সূরা আল-ফুরকান, ৬৭)
 হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, কেয়ামতের দিন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হওয়ার আগে কোনো বান্দার পা-ই নড়বে না-তার জীবন সে কীসে ব্যয় করেছে, তার ইলম অনুসারে সে কী আমল করেছে, তার সম্পদ সে কোত্থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে আর তার শরীর কীসে নষ্ট করেছে? -(জামে তিরমিজি, হাদীস ২৪১৭)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #37 on: March 16, 2023, 03:05:26 PM »
সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াত
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৮।
 লাক্বদ্ জ্বা – য়াকুম্ রসূলুম্ মিন আনফুসিকুম্ ‘আযীযুন্ ‘আলাইহি মা-‘আনিত্তুম্ হারীছুন ‘আলাইকুম্ বিল্মুমিনীনা রাঊর্ফু রহীম্।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৮
 নিশ্চয় তোমাদের নিজদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তা তার জন্য কষ্টদায়ক যা তোমাদেরকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু।
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৯।
 ফাইন তাঅল্লাও ফাকুল্ হাস্বিয়াল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা-হূ; ‘আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু অহুঅ রব্বুল ‘র্আশিল্ ‘আজীম।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৯
 অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রবসূরা তাওবার শেষ দুই আয়াত
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৮।
 লাক্বদ্ জ্বা – য়াকুম্ রসূলুম্ মিন আনফুসিকুম্ ‘আযীযুন্ ‘আলাইহি মা-‘আনিত্তুম্ হারীছুন ‘আলাইকুম্ বিল্মুমিনীনা রাঊর্ফু রহীম্।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৮
 নিশ্চয় তোমাদের নিজদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তা তার জন্য কষ্টদায়ক যা তোমাদেরকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু।
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৯।
 ফাইন তাঅল্লাও ফাকুল্ হাস্বিয়াল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা-হূ; ‘আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু অহুঅ রব্বুল ‘র্আশিল্ ‘আজীম।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৯
 অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #38 on: March 27, 2023, 02:47:50 PM »
•হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর; তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজকর্ম সম্পর্কেই অবগত। [ সুরা নিসা-১৩৫ ]

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #39 on: May 02, 2023, 03:33:31 PM »
আর যখন ইবরাহীম বলল ‘হে, আমার রব! আমাকে দেখান, কিভাবে আপনি মৃতদেরকে জীবিত করেন। তিনি বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করনি?' সে বলল, ‘অবশ্যই হ্যাঁ! কিন্তু আমার অন্তর যাতে প্রশান্ত হয়।’ তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি চারটি পাখি নাও। তারপর সেগুলোকে তোমার প্রতি পোষ মানাও। অতঃপর প্রতিটি পাহাড়ে সেগুলোর টুকরো অংশ রেখে আস। তারপর সেগুলোকে ডাক, সেগুলো দৌড়ে আসবে তোমার নিকট। আর জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।" ❤️❤️
-----[সূরা বাকারাঃ ২৬০]

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #40 on: May 09, 2023, 03:10:01 PM »
"হতাশ হয়ো না। উঠো! সিজদাহ করো এবং কাঁদো!"
--সূরা ইউসুফ : ৮৬
"আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দিবেন।"
--সূরা ত্বলাক : ৭
"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।"
--সূরা ইনশিরাহ : ৬
"আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি।"
--সূরা ইউসুফ : ৮৬
"জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটে।"
--সূরা বাক্বারা : ২১৪
"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।"
--সূরা ইউসুফ : ৮৭
"আল্লাহ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না।"
--সূরা বাক্বারা : ২৮৬
"এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।"
--সূরা বাক্বারা : ১৫৫
"হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।"
--সূরা বাক্বারা : ১৫৩
"হে আল্লাহ, আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি।"
--সূরা মারইয়াম : ৪
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন--
"মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক! তার প্রতিটা অবস্থাই তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। আর এটা কেবল মুমিনের জন্যই নির্ধারিত, অন্য কারো জন্য নয়। মুমিনের কাছে সুখের কিছু এলে শুকরিয়া আদায় করে। এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। অনুরূপভাবে যখন কোনো দুঃখ তাকে স্পর্শ করে, তখন সে ধৈর্যধারন করে। আর এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়।"
--সহীহ মুসলিম : ২৯৯৯
অতএব, কোনো হতাশা আমার জন্য নয়। 'আলহামদুলিল্লাহি আ'লা কুল্লি হাল।' (আমি সকল অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করি।)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #41 on: May 30, 2023, 03:39:40 PM »
ইসলামে আইনের শাসন ও সুবিচার
নিসফ অর্থ সমান অর্ধেক। আর ইনসাফ অর্থ সমান দুই ভাগ করা, বেশি বা কম না করা। আল্লাহ তাআলার একটি নাম হলো ‘আদল’ অর্থাৎ ন্যায়বান, ন্যায়পরায়ণ। আদালত অর্থ ন্যায়ের স্থান। মুমিন জীবনের পূর্ণতার জন্য তাকওয়া বিশেষ শর্ত; তাকওয়ার পরিচায়ক হলো ন্যায়বিচার।

মানবজীবনে ন্যায়বিচারের গুরুত্ব অত্যধিক। পবিত্র কোরআন কারিমে প্রথম সুরা ফাতিহার তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ তাআলার পরিচয় দেওয়া হয়েছে, ‘তিনি বিচার দিবসের মালিক,’ যা আমরা প্রত্যহ দিবারাত্রি বহুবার পাঠ করে থাকি।

সভ্য সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের কোনো বিকল্প নেই। সুবিচারপ্রাপ্তি সব নাগরিকের অধিকার এবং ন্যায়বিচার আল্লাহর হুকুম। এটি ফরজ ইবাদত। কোরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে, কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদের যেন কখনো সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে, সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করবে, তোমরা যা করো নিশ্চয় আল্লাহ তার সম্যক খবর রাখেন।’ (সুরা-৫ মায়িদা, আয়াত: ৮)।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #42 on: June 13, 2023, 03:00:34 PM »
জিল হজ্জের প্রথম ১০দিনের ফযিলত
১-.একদিনের রোজা ১ বছরের সমান
২.এক রাতের ইবাদাত ১ বছরের সমান
৩.পূর্বের ও পরের ১ বছরের সমান গোনাহ মাফ
৪.এক রাতের নামাজ কদরের নামাজের সমান

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #43 on: July 10, 2023, 03:41:09 PM »
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ دَلّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ.
কেউ যখন কাউকে কোনো ভালো কাজের পথ দেখিয়ে দেয়, সে ব্যক্তি কাজটি করে যে সওয়াব পাবে, যে তাকে এর পথ দেখিয়ে দিল সেও অনুরূপ সওয়াব লাভ করবে।
 -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫১৩১

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #44 on: July 22, 2023, 10:47:42 AM »
অনেকেই বলে আল্লাহ হেদায়েত দিলে নামাজ পড়ব, পর্দা করবো, দাঁড়ি রাখবো।
আমার কথা হলো...,আল্লাহ কি আপনাকে এমনি এমনিই  হেদায়েত দিবেন?
 যদি আপনি নিজে খারাপ কাজ ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা না করেন!! কখনোই না। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন,
 ❝আমি তাকেই সাহায্য করি যে নিজেই নিজেকে সাহায্য করে❞
( সূরা হজ্জ আয়াত ৪০)
আপনি যদি জেনেও ইচ্ছে করেই খারাপ কাজ করেন তাইলে এমন কে আছে যে আপনাকে ভালো পথে ফিরে আনতে পারবে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে  সূরা আস সাজদার ১৩ নাম্বার আয়াতে বলেন,
 ❝আমি চাইলে প্রথমেই মানুষকে হেদায়েত দিতে পারতাম কিন্তু আমার এ উক্তি অবধারিত যে আমি অবশ্যই মানুষ ও জিন দাঁড়া জাহান্নাম পূর্ণ করব।❞
অর্থাৎ এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আল্লাহতালা আমাদের পরীক্ষা করছেন।
 এ সম্পর্কে কোরআনে সূরা মূলকের দুই নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,
❝ জীবন ও মরণ তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে যে, কে  কোন কর্মে উত্তম। ❞
অর্থাৎ আমাদের স্কুলে যেমন স্যার রা একটা নিদিষ্ট সময় ধরে পরীক্ষা নেন ঠিক তেমনি আমরা যারা বেচে আছি আমাদের সবার পরীক্ষা নিচ্ছেন মহান আল্লাহ তা'য়ালা  আর এ পরীক্ষার ফলাফল পাব কিয়ামতের দিন।
আর যারা মারা গেছে তাদের পরীক্ষার সময় শেষ হয়েছে ।তাদের আর ভালো বা খারাপ করার কিছুই নেই।
আর যারা বেচে আছি তাদের জন্য এখনো ভালো করার সুযোগ রয়েছে। তাই আমাদের সময়কে কাজে লাগাতে হবে।
তাই যে এই জীবনে যে ভালো কাজ করবে,আল্লাহর আনুগত্য করবে ও রাসুল (সাঃ)এর দেখানো পথে চলবে সে ই সফলকাম।
ভালো হওয়ার জন্য আপনাকে নিজেই নিজেকে সাহায্য করতে হবে।
খারাপ কাজ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে তবেই আল্লাহ তাআলা আপনাকে সঠিক পথ দেখাবেন।
এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে যে, আল্লাহ তা'আলা বলেন,
❝ হে আদম সন্তান আমার জন্য দাঁড়াও, আমি তোমার দিকে হেঁটে হেঁটে আসবো। আমার দিকে হেঁটে হেঁটে এসো, আমি তোমার দিকে দৌড়ে যাব।
( মুসনাদে আহমদ -১৫৯২৫)
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে ভালো ও মন্দের জ্ঞান দিয়ে দিয়েছেন।আর এভাবেই আমাদের পরীক্ষা করছেন। যে ভালো কাজ করবে আর মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকবে সে আল্লাহর পরীক্ষায় পাশ করবেন আর যে খারাপ কাজ করবে সে পরীক্ষায় ফেল করবে।
মেইন বিষয় হল আপনার নফস। আপনি যদি নিজের নফসকে কন্ট্রোল করতে পারেন।তাইলেই আপনি সফল হবেন ও আল্লাহ তা'য়ালার কাছে প্রিয় হবেন।
তাই সবার আগে নিজের নফসকে দমন করতে হবে। নিজেকে চেষ্টা করতে হবে তবেই না আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবে।
❝নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে।❞(সূরা বাকারা-২:২১৪)