Health Tips > Skin

ত্বকের যত্নে

(1/1)

Mafruha Akter:
যত্নের অভাবে পুরুষের ত্বক হতে পারে অমসৃণ ও অনুজ্জ্বল।  তাই পুরুষের ত্বকের সুরক্ষার জন্য ঠিকঠাক পরিচর্যার প্রয়োজন।

নারীদের তুলনায় পুরুষের ত্বক বেশি পুরু ও শক্ত। কেলাজেন ও স্থিতিস্থাপকতার পরিমাণও বেশি। ফলে পুরুষের ত্বকে বয়সের ছাপ দেরিতে পড়ে। তারপরও নিয়মিত পরিষ্কার করার মাধ্যমে পুরুষের ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত।

ভারতের ‘সার গঙ্গা রাম হসপিটাল’য়ের ত্বকবিশেষজ্ঞ রহিত বত্র এবং 'ড্রিমওয়ার্ল্ড স্কিন ও হায়ার ক্লিনিক’য়ের এসথেটিক ও কসমেটিক চিকিৎসক নেহা মিতাল পুরুষের ত্বকের যত্নে কয়েকটি বিষয় নজর দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছেন।

ত্বকের ধরণ জানা: ত্বক পরিচর্যার প্রাথমিক ধাপ হল নিজের ত্বক সম্পর্কে ধারণা থাকা। টিস্যুর সাহায্যে ত্বকের ধরন অর্থাৎ ত্বক তৈলাক্ত, শুষ্ক না মিশ্র তা পরীক্ষা করা যায়।

সাধারণত যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের মুখের টি-জোন অর্থাৎ কপাল, নাক ও থুতনির অংশে তেল চিটচিটে ভাব থাকে। থাই টিস্যু ব্যবহার করে ত্বকের ধরন পরীক্ষা করে নিন।

ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনী নির্বাচন: নারী ও পুরুষের ত্বকের ধরনের পার্থক্য আছে। তাই নারী ও পুরুষের জন্য আলদাভাবে তৈরি করা প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। আপনার ত্বকের ধরন ও পুরুষের জন্য তৈরি এমন প্রসাধই ব্যবহার করুন।

'ক্লিঞ্জিং রুটিন' মেনে চলুন: ত্বকের সঙ্গে মানানসই হালকা ফেইসওয়াশ দিয়ে দিনে কমপক্ষে দুবার ত্বক পরিষ্কার করা উচিত। যেহেতু সারা দিনে ত্বক বার বার তৈলাক্ত হয় ও লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায় তাই নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বা 'ক্লিঞ্জিং রুটিন' মেনে চলা উচিত। আর ত্বকের ধরন যদি শুষ্ক হয় তাহলে সে অনুযায়ী প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।

এক্সফলিয়েশন: ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও তেলের কারণে ব্ল্যাক এবং হোয়াইট হেডস’য়ের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া এর কারণে ত্বকে মৃতকোষের স্তরও জমে। এক্সফলিয়েশনর মাধ্যমে ত্বকের মৃতকোষের স্তর দূর হয়। ফলে ত্বক কোমল ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়।

ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে স্যালিসিলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্ক্রাব ব্যবহার করেতে পারেন। এছাড়াও গ্লায়কোলিক ফেইসওয়াশ বেছে নিতে পারেন যা ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি এক্সফলিয়েটও করবে।

সানব্লক ব্যবহার: ত্বকের যত্নে নিয়মিত সানব্লক ব্যবহার করতে হবে। এটা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। অন্যথায় রোদপোড়াভাব ও পরে বয়সের ছাপ পড়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।

পুরুষের জন্য এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানব্লক নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। আর একবার মেখে এর উপর আরেকবার মাখুন। এতে কার্যকরীতা বাড়বে।

ময়েশ্চারাইজার: মুখের ত্বক পরিষ্কার ও এক্সফলিয়েট করার পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা আবশ্যক। এতে ত্বক মসৃণ ও কোমল হয়। ময়েশ্চারাইজার উপাদান সমৃদ্ধ ক্রিম ত্বক আর্দ্র ও সুস্থ রাখে। এক্ষেত্রে হ্যান্ড ক্রিম বা বডিলোশন- ভালো উদাহরণ।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version