Faculties and Departments > Department of Innovation & Entrepreneurship
চাকরি খুঁজব না চাকরি-দেবছাত্রাবস্থায় উদ্যোক্তা তৈরি করছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
(1/1)
Sultan Mahmud Sujon:
দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক পেয়ে মাস্টার্স পাস করেছেন আমার বোন। দারুণ ফলের পরও ভালো একটি চাকরির জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে বছর তিনেক। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টার থেকেই স্বাবলম্বী 'এই আমি' নিজের পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছি। পরিবারকেও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের কর্মসংস্থান নিজেই করতে পেরেছি।
নিজের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার কথা এভাবেই বলছিলেন আত্মপ্রত্যয়ী তিশা ফারহানা। ছোট বেলা থেকে নিজেই কিছু করতে চেয়েছেন। সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণে ভর্তি হয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) এন্টারপ্রেনিউরশিপ বিভাগে। এখন তিনি দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। পড়ালেখার পাশাপাশি 'ক্রাফটিক্স' নামের এক উদ্যোগ গড়ে তোলার কাজ করছেন। গৃহিণী মাকে সঙ্গে নিয়ে পাট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন রকমের কারুপণ্য তৈরি করছেন। অফিস সাজানোর এসব পণ্যের বড় ক্রেতা বিভিন্ন কোম্পানি। তিশার মতো তরুণ উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন সফল করতে ডিআইইউতে ২০১৫ সালে চালু করা হয়েছে এন্টারপ্রেনিউরশিপ নামের এ বিভাগ। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটাই প্রথম। 'চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব'_ এমন লক্ষ্য নিয়েই এখানে পড়তে আসেন শিক্ষার্থীরা, যারা স্বপ্ন বুনে চলেন উদ্যোক্তা হওয়ার।
বিভাগটির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখন অষ্টম সেমিস্টারে পড়ছেন। তাদের অনেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি ছোট পরিসরে নিজেরাই কিছু করতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে খাবারের দোকানের ব্যবসা শুরু করেছেন মো. তানজুমুল ইসলাম তারেক। কিছুদিন আগে মাত্র ভর্তি হয়েছেন। জটিল রোগ ইমোফ্লিয়ায় আক্রান্ত এ তরুণ এরই মধ্যে হাত লাগিয়েছেন এক উদ্যোগে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করলেও আশাহত হননি। ভরসা রেখেছেন নিজের ওপর। তিনি সমকালকে জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি খাবারের দোকান চালান তিনি। যৌথ উদ্যোগের এ দোকান চালাতে বিনিয়োগসহ সব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিভাগে বিদেশি শিক্ষার্থীও রয়েছেন। সোমালিয়া থেকে পড়তে এসেছেন আহমেদ ইব্রাহিম। তিনি সমকালকে জানান, তাদের পারিবারিক ব্যবসা আছে। সেটির পরিসর বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সূত্র ধরেই এখানে পড়তে আসা।
বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মারুফ রেজা এ বিভাগ চালু সম্পর্কে বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে এ বিভাগ খোলা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য উদ্যোক্তা তৈরি করা। পাঠ্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রচলিত ধারার শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে শিক্ষার্থীদের সপ্তম সেমিস্টার থেকেই নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান সমকালকে বলেন, একজন উদ্যোক্তা নিজের সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে যে কোনো জায়গায় ভালো কাজ করতে পারবে। এ বিভাগের মাধ্যমে উদ্যমী তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এন্টারপ্রেনিউরশিপ বিভাগ 'আর ইউ দ্য নেক্সট স্টার্টআপ' শীর্ষক এক কর্মসূচির আওতায় পাঁচ বছরে ৫০০ উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছর কর্মসূচির তৃতীয় মৌসুম চলছে। এর আওতায় যোগ্য ও উদ্যমী তরুণ-তরুণীদের পূর্ণাঙ্গ বৃত্তিসহ এ বিভাগে চার বছরের স্নাতক কোর্স করার সুযোগ দেওয়া হয়। উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
Source: http://www.samakal.com/todays-print-edition/tp-taka-ana-pai/article/1709865/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%9C%E0%A6%AC-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC
Navigation
[0] Message Index
Go to full version