Career Development Centre (CDC) > Be a Leader
এত ফেলের পরও কত সফল!
(1/1)
Anuz:
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির নাম নিশ্চয়ই জানেন? তিনি চীনের জ্যাক মা। অনলাইনভিত্তিক পৃথিবীর অন্যতম বড় কোম্পানি আলিবাবা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান তিনি। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ৮৩০ কোটি মার্কিন ডলার। জ্যাক মার আসল নাম মা ইয়ুন, জন্ম চীনের জিজিয়াং প্রদেশে ১৯৬৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। সে হিসেবে আজ তাঁর বয়স ৫৩ বছর পূর্ণ হলো। জ্যাক মার জন্মদিনে তাঁর সম্পর্কে বিশেষ কয়েকটি তথ্য জেনে নিন।
গণিতে পেয়েছিলেন ১
ফেল করা কাকে বলে সবচেয়ে ভালো জানেন জ্যাক মা। ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি হংকংয়ে অনুষ্ঠিত ‘অ্যান ইভিনিং উইথ জ্যাক মা’ অনুষ্ঠানে তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, আজকালকার তরুণদের যেসব যোগ্যতা থাকে, আমার সেসবের কিছুই ছিল না। লোকে আমাকে বলত, ‘কী যোগ্যতা আছে তোমার? তুমি কখনো অ্যাকাউন্টিং শেখনি, ম্যানেজমেন্ট শেখনি। এমনকি কম্পিউটার সম্পর্কেও তেমন কিছু জানো না। তুমি কেন ব্যবসা করবে?’ সবাই জানে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবার গণিতে আমি ১ পেয়েছিলাম। তিনবার পরীক্ষা দিয়েও ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাইনি। শেষ পর্যন্ত যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি, সেটার তেমন কোনো নাম ছিল না—হ্যাংঝোউ নরমাল ইউনিভার্সিটিকে তখন ‘চতুর্থ শ্রেণির’ বিশ্ববিদ্যালয় ধরা হতো।
মারামারিতে ওস্তাদ
সহপাঠীদের সঙ্গে তাঁর প্রায়ই বেধে যেত। হ্যাংলা-পাতলা ছিলেন বলেই অন্যদের সঙ্গে মারামারি বেধে যেত তাঁর। জ্যাক মার বরাত দিয়ে লিউ শিয়িং ও মার্থা অ্যাভারির লেখা ‘আলীবাবা’ বইতে বলা হয়েছে, তার চেয়ে বড়সড় কারও সঙ্গে মারামারি বাধাতে ভয় পেতেন না তিনি।
ঝিঁঝিপোকা সংগ্রহ
একেক মানুষের শখ একেক রকম। ছোটবেলা থেকে জ্যাক মার শখ ছিল ঝিঁঝিপোকা সংগ্রহ করা। আলীবাবাতে জ্যাক মার ব্যক্তিগত সহকারী চেন উই তাঁর ‘জ্যাক মা: ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও অব দ্য আলীবাবা গ্রুপ’ বইতে লিখেছেন, ঝিঁঝিপোকা সংগ্রহ আর তাদের মধ্যে মারামারি বাধানোর শখ ছিল মার। তিনি এতটাই ঝিঁঝিপোকা বিশারদ হয়ে উঠেছিলেন যে এর শব্দ শুনে আকার বলে দিতে পারতেন।
জ্যাক নামটি পর্যটক বন্ধুর দেওয়া
মা ইয়ুন হিসেবে পরিচিত জ্যাক ইংরেজি শেখানোর বদলে নিজ শহর হ্যাংঝুতে পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানোর প্রস্তাব দিতেন। সে রকম এক পর্যটকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন তিনি। সেই বন্ধুই তাঁকে জ্যাক নাম দেন।
কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল
হাইস্কুলের গণ্ডি কোনোমতে পার করতে পারলেও উচ্চশিক্ষার জন্য কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে বিপদে পড়েন জ্যাক। দুই-দুইবার ভর্তি পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। তৃতীয়বারে কোনো রকমে পাস করে হ্যাংঝু টিচার্স ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন।
চাকরিতে ফেল
১৯৮৮ সালে স্নাতক শেষ করতে পারলেও প্রায় ৩০টি চাকরির পরীক্ষায় ফেল করেন তিনি। যে চাকরির জন্যই আবেদন করেছেন, সেখানেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। চীনে যখন প্রথম ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি চালু হয়, তাতে যে ২৪ জন আবেদন করেছিল, তাঁদের মধ্যে জ্যাক মা ছিলেন। সেই ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনের চাকরি হলেও জ্যাক মার চাকরি হয়নি। তবে স্থানীয় এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে চাকরি হয় তাঁর।
হার্ভার্ডেও প্রত্যাখ্যাত
২০১৬ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে জ্যাক মা বলেছিলেন, দশবার চেষ্টা করেও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি।
নতুন কিছু শেখার আগ্রহ
যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় প্রথম ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচয় ঘটে তাঁর। এর আগে তিনি একটি অনুবাদ সেবার ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে ওই ব্যবসার সূত্র ধরে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে যান তিনি। দেশে ফিরে ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসায় মনোযোগী হন।
প্রথম কোম্পানি ফেল
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে ইন্টারনেটভিত্তিক নতুন কোম্পানি তৈরি করলে তা-ও ব্যর্থ হয়। তিনি চায়না পেজেস নামে ইন্টারনেটে বিভিন্ন চীনা কোম্পানির ডিরেক্টরি চালু করেছিলেন। চায়না পেজ ব্যর্থ হলেও দমে যাননি তিনি। এর চার বছর পরেই শুরু করেন আলীবাবা।
সিইও পদ ছেড়ে নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে
আলীবাবাকে সফলভাবে দাঁড় করানোর পর ২০১৩ সালে তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ ছেড়ে দেন। এরপর থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে কাজ করে যাচ্ছেন।
Nujhat Anjum:
Thanks for your post.
Ms Jebun Naher Sikta:
Really inspiring...
Md. Saiful Hoque:
Inspiring indeed
Navigation
[0] Message Index
Go to full version