ফল আর সবজির ভিতরের অংশই নয়, বাইরের আবরণও উপকারী। তাই কিছু ফল ও সবজি খোসাসহ খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পুষ্টিবিদরা বলেন, “ফলের পরিপূর্ণ পুষ্টি পেতে চাইলে কিছু ফলের রসালো অংশের পাশাপাশি খোসাও খেতে হবে।” এমনই কিছু ফলের নাম উল্লেখ করা হয়, যেগুলো খোসাসহ খাওয়া বেশ উপকারী।
আপেল: আপেলের আঁশ ৫০ শতাংশ রয়েছে এর খোসায়। তাছাড়া এই ফলের আরও কিছু ভিটামিন, যেমন এ, সি এবং কে জমে থাকে খোসাতে। তাছাড়া আপেলে রয়েছে ‘কোরসেটিন’ নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। যা বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় আপেলের খোসাতেই। এই উপাদান মস্তিষ্ক এবং ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আলু: আলু রান্না করার আগে স্বাভাবিকভাবেই খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। তবে আলুর খোসাতেও রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। ভিটামিন সি, বি সিক্স, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন পাওয়া যায় আলুর খোসায়। মিষ্টি আলু খাওয়ার সময় খোসাসহ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কারণ মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, কোষ গঠন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
কিউইস: কিউই ফলের খোসা খাওয়া সম্ভব নয় মনে হলেও, মূলত এই ফলের খোসা পাকস্থলী সহজেই হজম করে ফেলতে পারে। আর কিউইর খোসায়ও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণের পুষ্টি উপাদান। কিউই-এ থাকা ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভানয়েডসের অনেকটাই পাওয়া যায় কিউইর খোসায়।
শসা: শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আর এর খোসাতেও রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, পটাসিয়াম এবং ডায়েট্রি ফাইবার। আর খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তারুণ্য ধরে রাখতেও সাহায্য করে।
গাজর: গাজরের খোসায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং বি সিক্স রয়েছে। তাই খোসাসহ গাজর খাওয়া ভালো। বিশেষজ্ঞরা জানান, গাজরের খোসায় রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। এই উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
বেগুন: ঘন বেগুনি রংয়ের খোসায় পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ কম নয়। রয়েছে নাসুনিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের কোষ বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া বেগুনের খোসায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা শরীরের জন্য উপকারী।