অপলক তাকিয়ে আছে এক জোড়া চোখ। ঠিক যেভাবে সকালের স্নিগ্ধ রোদ ঘাড়ে পড়লে অনুভূতি জাগে - সিড়সিড়িয়ে উঠে সেই রকম অনুভূতি। কেউ একজন অপলক তাকিয়ে আছে স্থির দৃষ্টিতে। সকাল বিকাল কিংবা রাত - কেউ একজন তাকিয়ে থাকে। অসীম তার ধৈর্য। অপেক্ষায় আর আশায়।
কখনো মনে হয় অন্ধকারে দুটো লাল চোখ হিংস্র চোখে অপলক তাকিয়ে আছে। শুধু মুহূর্তের অসাবধান হওয়ার অপেক্ষায়। ছিন্নভিন্ন করে ছিঁড়ে ফেলবে - মুহূর্তের অসাবধানের সুযোগে।
কখনো মনে হয় এক জোড়া মমতাময়ী চোখ কি এক মমতায় অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। গাছের পাতার ফাঁকে আকাশের কাছে চাঁদের দিকে তাকিয়ে ভেবে চলি। কেউ একটা আছে - কিছু একটা আছে।
অন্ধকারে যখন হেটে চলি হঠাৎ থমকে দাড়িয়ে পিছনে ফিরে দেখি। শুনতে চেষ্টা করি প্রায় নিঃশব্দ শ্বাসের শব্দ।
কখনো মনে হয় চোখ দুটো বেদনায় নীল হয়ে আছে। শুনতে চেষ্টা করি অস্পস্ট গোঙানির আওয়াজ।
তাকিয়ে থাকে কখনো অজস্র চোখে। তারকাদের মত উপভোগ করে চলি অনুভুত সেই দৃষ্টি। কখনো মনে হয় ভয়ার্ত সেই চোখ দুটি অপেক্ষায় আছে কখন চলে যাব। কিংবা কুকুরের ঠান্ডা চোখে অনুসরন করে চলে - নিশ্চিত করে চলে আমার নিরাপত্তা।
সে থাকে সবসময় - ছায়ার মত সারাক্ষণ। কখনোবা অন্ধকার জানালার বাইরে থেকে অপলক তাকিয়ে থাকে - ঘুমিয়েও অনুভব করি নিস্পলক তাকিয়ে থাকা দুটো চোখ।
গভীর আর নিশব্দ রাতে যখন পায়চারি করি। পায়ের আওয়াজের ছন্দময় তালে আরও একাকী মনে হয়। কিন্তু জানি সাথে জেগে আছে এক জোড়া চোখ - প্রতি পদক্ষেপে সে স্থির দৃষ্টিতে অপলক তাকিয়ে আছে।
(আমার কবিতা লেখার তৃতীয় প্রয়াস।)
(ফেসবুক পোস্ট অক্টোবর ১২, ২০১৭)