মক্কায় এক ভাই বলছিলেন, তার এক আত্মীয়া বাড়িতে খুব গুরুত্বের সঙ্গে পর্দা করেন, শুধু নামের পর্দা নয়, শরয়ী পর্দা। কিন্তু হজ্ব করতে এসে পর্দা বাদ দিয়েছেন। তার কথা এই যে, ‘হজ্বের সময় মেয়েদের পর্দা করা লাগে না।’
অনেক দ্বীনদার মহিলা এ ধারণা পোষণ করেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। এটা একটা ভুল ধারণা। ইহরামের হালতেও গায়রে মাহরামের সঙ্গে মেয়েদের পর্দা করা অপরিহার্য। এটা ঠিক যে, ইহরামের হালতে মুখমন্ডলে কাপড় লাগানো নিষেধ, কিন্তু মুখে কাপড় লাগানো এবং গায়রে মাহরামের সামনে ইচ্ছা করে মুখ খোলা রাখা এক বিষয় নয়।
হযরত আয়েশা রা. বলেন, ইহরামের হালতে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। লোকেরা যখন আমাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করত তো আমরা আমাদের চাদর মাথার সামনে ঝুলিয়ে দিতাম। চলে যাওয়ার পর সরিয়ে ফেলতাম। (সুনানে আবু দাউদ)
এরপর মুখে কাপড় না লাগানোর বিধান তো শুধু ইহরামের হালতে প্রযোজ্য। উমরায় খুব বেশি হলে এক দুই দিন এবং হজ্বে তিন চার দিন। (তবে যদি কেউ ইফরাদ বা কিরানের নিয়তে ইহরাম বাঁধে তার বিষয় ভিন্ন) এই দিনগুলো ছাড়া যারা বেপর্দা ঘুরাফেরা করে তাদের তো ইহরামেরও অজুহাত নেই।
তাছাড়া মদীনা মুনাওয়ারার সফরে তো ইহরামের প্রশ্ন নেই। এই সফরে এবং মদীনা মুনাওয়ারায় অবস্থানের দিনগুলোতে মুখ খুলে রাখা এবং সকল গায়রে মাহরামকে মাহরাম মনে করা অবশ্যই অজ্ঞতার পরিচায়ক এবং অযথা গুনাহগার হওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এই মোবারক সফরের পূর্ণ বরকত লাভের জন্য সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। (কিতাবুল হজ্ব, মাওলানা আশেকে ইলাহী বুলন্দশহরী পৃ. ২৮-২৯)
http://www.alkawsar.com/article/1445