Health Tips > Protect your Health/ your Doctor

আর্টিফিসিয়াল জুস খেয়ে বিপদ ডেকে আনছেন কি?

(1/1)

Sahadat Hossain:
আজকাল সবাই এত ব্যস্ত যে বাড়িতে জুস বানানোর সময় পায় না। তাই তো স্বাস্থ্যসচেতন বাঙালি এখন প্রথম পছন্দ হচ্ছে  ফলের রেডিমেড জুস। কিন্তু প্যাক বন্দি এই সব ফলের আর্টিফিসিয়াল জুস  কি আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত? শরীরকে সুস্থ এবং তরতাজা রাখতে প্রতিদিন পরিমিত পরিমানে সবজি এবং ফল খাওয়া উচিত। কিন্তু কর্মব্যস্ততার করণে অনেকেই প্যাকেটজাত সবজি এবং জুসের ওপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু একাধিক গবেষণা বলছে প্যাকেটজাত এই সব ফলের জুস শরীরের জন্য একেবারেই স্বাস্থকর নয়।

শুধু চিনি আর চিনি:

একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ প্যাকেটজাত ফলের রসেই এত মাত্রায় চিনি থাকে যে ফলের কোন গুণই আর অবশিষ্ট থাকে না। কারণ বেশি মাত্রায় চিনি মোটেই শরীরে পক্ষে ভাল নয়। এতে দেহের ভেতরে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

নকলে ভরা:

পছন্দের ফল দিয়ে বাড়িতে বানানো জুসে কেউ আর্টিফিশিয়াল রং মেশায় না। তাই তো বাড়িতে বানানো ফলের জুস স্বাস্থের জন্য নিরাপদ। অন্যদিকে প্যাকেটজাত প্রায় সব ফলের জুসেই অল্প হলেও ক্যামিকেলের মিশ্রণ থাকে যা স্বাস্থের নিরাপদ নয় । তাই দেখতে অনেক সুন্দর হলেও  শরীরের জন্য এমন জুস কতটা উপকারি, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

পুষ্টির ঘাটতি থাকে:

প্যাকে বিক্রি হওয়া ফলের রস বানানোর সময় অনেক ক্ষেত্রেই ফলের বেশিরভাগ অংশ ফেলে দেওয়া হয়। ফলে জুসের গুণাগুণ অনেকটা কমে যায়। যেমন আঙুরের কথাই ধরুন না। বাড়িতে আঙুরের জুস বানানোর সময় আমরা পুরো আঙুরটাই দিয়ে দেই। ফলে ফলটির খোসায় থাকা একাধিক উপাকারি উপাদান আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। কিন্তু সেই একই আঙুরের রস যখন প্য়াকেটে পাওয়া যায়, তাতে কিন্তু সেই গুণ থাকে না।

ভিটামিন এবং মিনারেল হারিয়ে যায়:

বেশিরভাগ প্যাকেটজাত ফলের জুসই বানানোর পরে ফোটানো হয়। যাতে তার মধ্যে কোনও ব্যাকটেরিয়া থাকতে না পারে। এমনটা করাতে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে ঠিকই, কিন্তু সেই সঙ্গে ফলের রসের ভেতরে থাকা অনেক ভিটামিন এবং মিনারেলও নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে বাড়িতে বানানো ফলের রস ফোটানোর দরকার পরে না পরে পুষ্টি ঠিক থাকে।

ছেঁকে ফেলা হয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট:

শরীরের ভেতরে থাকা টক্সিক উপাদানকে বের করে দেওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে । আর এই উপাদানটি বেশি মাত্রায় থাকে ফলের রসে। তাই তো প্রতিদিন এক গ্লাস করে ফলের রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে এক্ষেত্রে একটা জিনিস জেনে রাখা প্রয়োজন যে প্যাকেটজাত ফলের জুস বানানোর সময় রসটাকে এত মাত্রায় ফিল্টার করা হয় যে, তার শরীর থেকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রায় সব বেরিয়ে যায়।

তাই শরীরকে যদি সুস্থ রাখতে চান , তাহলে প্যাকেটজাত জুস বাদ দিয়ে বাড়িতে বানানো ফলের জুস খান।

Ref: http://www.deshebideshe.com

anwar.swe:
Thank you for sharing

Navigation

[0] Message Index

Go to full version