বর্তমানে ইন্টারনেটে উপার্জন একটি জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই ইন্টারনেটে উপার্জনকে ফ্রিল্যান্সিং বলেন। কিন্তু না, ইন্টারনেটে উপার্জন আর ফ্রিল্যান্সিং এক বিষয় নয়। দুটোর মধ্যে আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। আমি এই আর্টিকেলে আপনাদের ইন্টারনেটে উপার্জনের পথ সমূহের সম্বদ্ধে আলোচনা করব। চলুন আগে জেনে নিই ইন্টারনেটে উপার্জন আসলে কী?
ইন্টারনেটে উপার্জন বলতে বোঝায় ইন্টারনেটকে মাধ্যম হিসেবে ধরে টাকা আয় করা। এখানে ইন্টারনেট আমাদের টাকা দেবে না। এখানে ইন্টারনেট শুধুমাত্র টাকা উপার্জনের মাধ্যম। ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে টাকা উপার্জন করা হয়। ইন্টারনেটে উপার্জনকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা:
১. পিটিসি বা টাস্ক কমপ্লিট করে আয়
২. মাইক্রো ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন
৩. ইন্টারনেটে ব্যাবসা করে উপার্জন
৪. ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন
১. পিটিসি বা টাস্ক কমপ্লিট করে আয় কী? কেমন কাজ পাওয়া যায়?
পিটিসি অর্থ Paid to click অর্থাৎ ক্লিক করে অর্থ উপার্জন। এখানে পিটিসি সাইট প্রতিদিন কিছু সংখ্যক অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেবে। প্রতিটি বিজ্ঞাপন ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড বা তার অধিক হতে পারে। প্রতিটি বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ করলে সামান্য পরিমাণ ডলার প্রদান করা হয়। পিটিসিতে আয় খুবই সীমিত। সারা দিন ক্লিক করেও ১ ডলার উপার্জন হবে না এবং পিটিসি সাইট খুব কম সংখ্যক বিজ্ঞাপন প্রতিদিন প্রদান করে। কিন্তু রেফারেল থাকলে আয় বেশিও হতে পারে।
২. মাইক্রো ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন কী এবং কেমন কাজ পাওয়া যায়?
ছোট ছোট কাজ করে উপার্জন করাকে মাইক্রো ফ্রিল্যান্সিং বলে। মাইক্রো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রতিদিন ছোট ছোট কাজ দেয়া হয় তা সম্পূর্ণ করলে তারা কিছু পরিমাণ ডলার প্রদান করে। সারা দিনে কাজ করলে ১-৩ ডলার উপার্জন হবে এবং প্রতিদিন সীমিত কাজ পাওয়া যায়।
৩. ইন্টারনেটে ব্যবসা কাকে বলে ও কী কী?
ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে আমরা যেসব ব্যবসা করতে পারি সেগুলোই ইন্টারনেটে ব্যবসা। আসুন দেখে নিই ইন্টারনেটে কী কী ব্যবসা করা যায়।
· ব্লগিং
· ইউটিউব
· ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয়
· কোর্স বিক্রয়
· ই-কমার্স
· অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং
৪. ফ্রিল্যান্সিং কী ও কী কী কাজ করা যায়?
ফ্রিল্যান্সিং অর্থ হলো মুক্তপেশা। কোনো কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাময়িক চুক্তি করে তাদের কাজ সম্পূর্ণ করে দেয়াকে ফ্রিল্যন্সিং বলে। আর যে ব্যক্তি কাজ সম্পূর্ণ করে তাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। অর্থাৎ কাজ শেষ তো চুক্তি শেষ। অনেক সময় চুক্তি দীর্ঘস্থায়ীও হয়।
যে সকল কাজ আপনি কম্পিউটার দিয়ে সম্পন্ন করতে পারবেন, সে সকল কাজ করে ফ্রিল্যন্সিং করা যায় এবার দেখা হোক কী কী কাজ বেশি করা হয়।
· ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট
· গ্রাফিক ডিজাইন
· ডিজিটাল মার্কেটিং
· সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
· অ্যান্ড্রয়েড আপস ডেভেলপমেন্ট
· আই ও এস আপস ডেভেলপমেন্ট
· ভিডিও এডিটিং
· থ্রিডি অ্যান্ড এ্যানিমেশন।
এর মধ্যে যেকোনো একটি কাজে দক্ষ হতে পারলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন।
[Source-https://www.priyo.com/articles/-201805111856]