Ñ সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে দুই পুঁজিবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সোমবার লেনদেন শুরুর পর সাধারণ সূচক ওঠানামা করতে থাকে। দুপুর সাড়ে ১১টায় সূচক ১৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট নেমে যাবার পরে পৌনে ১২টা নাগাদ তা ১২ পয়েন্ট উঠে আসে। তবে এর কিছুক্ষণ পর আবার সূচক কমতে থাকে। দিনের বাকি সময় সূচকের এই পতন অব্যাহত ছিল।
দিনশেষে ডিএসইতে ১৩৭ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে সাধারণ সূচক দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৬৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট। সূচক কমেছে ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অপরদিকে ডিএসআই সূচক ১১২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।।
এ সময়ে ১৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের দর বাড়লেও কমেছে ২৩৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টির। মোট লেনদেন হয়েছে ৩২২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে রোববার সপ্তাহের প্রথমদিনের লেনদেনে সাধারণ সূচক ৮ পয়েন্ট কমলেও লেনদেন হয়েছিল ৪২৭ কোটি টাকার শেয়ার।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক ৩১১ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট কমে দাঁিড়য়েছে ১৬ হাজার ৩৩২ দশমিক ১৭ পয়েন্ট। বাছাই সূচক ২০৩ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৬১ দশমিক ০৮ পয়েন্ট। মোট লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
সোমবার লেনদেন হওয়া ১৭৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, কমেছে ১৫৯টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ভিত্তিতে প্রধান ১০টি কো¤পানির মধ্যে রয়েছে সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো লি., বেক্সিমকো সিনথেটিকস্, মালেক স্পিনিং, তিতাস গ্যাস লিমিটেড, এমআই সিমেন্ট, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, গ্রামীণ ফোন ও বিডি থাই।
দর বাড়ার শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, শমরিতা হাসপাতাল, এমবি ফার্মা, রহিমা ফুড, এসিআই জিরো কূপন বন্ড, ৪র্থ আইসিবি, ৬ষ্ঠ আইসিবি, মুন্নু স্টাফলার, বিডি অটোকারস্ ও ইমাম বাটন।
অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্র্যাক সেকেন্ড বন্ড, সন্ধানী ইন্সুরেন্স, গ্রামীন ১, সলভো কেমিক্যাল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, সমতা লেদার, প্রিমিয়ার লিজিং, কাশেম ড্রাইসেল, মেঘনা সিমেন্ট ও মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স।
নানা উদ্যোগের পর গত সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন বাড়ে ডিএসইতে। গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই সাধারণ সূচক ২৫৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয় ৫ হাজার ৯১০ দশমিক ২০ পয়েন্ট।
তার আগের সপ্তাহে ডিএসই সাধারণ সূচক ৩১৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ কমেছিল।
গত সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৪১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার। তার আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছিল ৩৪৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার।
গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে এবং মার্জিন ঋণ নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে 'বাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল' নামে একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
এ ছাড়া গত সপ্তাহে সংশোধিত বুক বিল্ডিং পদ্ধতি নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
Source:
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=172820&cid=54