প্রতিদিন ২টি কলা খাওয়ার উপকারিতা :
কলা খাওয়া মানেই শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়তে থাকা। আর পটাশিয়াম বাড়তে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের গাঁয়ে তার আঁচ লাগে। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব অ্যালাবামার গবেষকদের করা এক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য। গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিন কলার মতো আরও সব পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল খেলে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। চিকিৎসকদের মতে, শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে হার্টে রক্ত সরবরাহকারি শিরা-ধমনিগুলি স্ফীত হতে শুরু করে। সেই কারণেই তো হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতে চিকিৎসকেরা নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
১. ওজন কমায়
কলার শরীরে পটাশিয়াম ছাড়াও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। আর কম খেলে যে ওজনও কমে।
২. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে কলার অন্দরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। আজ থেকেই নিয়মিত কলা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।
৩. পুষ্টির ঘাটতি দূর করে
শরীরের সচলতা বজায় রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন পরে শরীরের। আর এইসব উপাদানের যোগান শরীর পায় খাবারের মাধ্যমে। পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার কারণে নানাবিধ রোগ এসে বাসা বাঁধে শরীরে। এমন পরিস্থিতি কলা কিন্তু দারুন কাজে আসতে পারে। কলাতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এবং মিনারেল। সেই সঙ্গে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফলেটের মতো উপাদান, যা শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে ঠিক সময় খাবার খাওয়ার সুযোগ না পেলেও দিনে ২টি কলা খেতে পারেন।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে নিয়মিত কলা খেলে দেহে লবণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।
৫. রক্তাল্পতা দূর করে
কলায় রয়েছে বিপুল পরিমাণে আয়রন, যা শরীরে লহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা এমন রোগে ভুগছেন, তারা আয়রন ট্যাবলেটের পাশাপাশি নিয়ম করে কলা খেতে পারেন।