Faculty of Science and Information Technology > Science and Information

ইলোন মাস্কের নতুন পরিকল্পনা

(1/1)

safayet:
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যুতের ঘাটতি কমাতে ইলোন মাস্কের নতুন পরিকল্পনাটিও চমকপ্রদ। ২৫০ মেগাওয়াটের ‘ভার্চুয়াল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ তৈরি করবেন তিনি। কিন্তু একে ভার্চুয়াল বা অদৃশ্য কেন বলা হচ্ছে?

কারণ এই পরিকল্পনা অনুযায়ী দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ৫০ হাজার বাড়িকে সংযুক্ত করা হবে। পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ১,২০০টি বাড়িতে স্থাপন করা হচ্ছে একটি করে ৫ কিলোওয়াট সোলার প্যানেল সিস্টেম এবং ১৩.৫ কিলোওয়াট-আওয়ার টেসলা পাওয়ারওয়াল ব্যাটারি। সোলার প্যানেলের সৃষ্ট বিদ্যুৎ এই ব্যাটারিতে জমা থাকবে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প অনুযায়ী কাজ চলবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায় শেষে মোট ৫০ হাজার বাড়িতে এই সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারি স্থাপন করা হবে।

ইলোন মাস্কের ধারণাটি এমন-প্রতিটি বাড়িই নিজের প্রয়োজনের একটা বড় অংশের বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। বাকি বিদ্যুৎ ন্যাশনাল গ্রিড থেকে নিতে পারবে। যদি সেই বাড়ির প্রয়োজনের অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে সোলার প্যানেলটি, তাহলে তা ন্যাশনাল গ্রিডে যোগ হবে। ফলে দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে অবদান রাখতে পারবে প্রতিটি বাড়ি। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি বাড়িই একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অংশ হিসেবে কাজ করবে, তাই একে বলা হচ্ছে অদৃশ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা ভার্চুয়াল পাওয়ার প্ল্যান্ট।

প্রকল্পের শেষে এই ৫০ হাজার বাড়ি নিজেদের প্রয়োজনের চাইতেও ৫০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার জন্য বাড়ির মালিককে কোনো ফি প্রদান করতে হবে না। বরং তাদের বাড়ির সোলার প্যানেলের উৎপন্ন বিদ্যুৎ দিয়েই এই প্রকল্পের খরচ মিটিয়ে নেওয়া হবে। এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ না করলেও বাড়ির মালিকরা নিজের খরচে টেসলার সোলার প্যানেল এবং পাওয়ারওয়েল ব্যাটারি ক্রয় করতে পারবে।

ইউরোপের কনসাল্টিং ফার্ম ফ্রন্টিয়ার ইকোনমিকসের এক হিসাব বলছে, টেসলার এই ভার্চুয়াল পাওয়ার প্ল্যান্ট ব্যবহারে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যুৎ খরচ কমে যাবে ৩০ শতাংশ।

প্রকল্পটি আসলেই উপকারী হবে কি না তা সময়ই বলবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের থেকে এত বড় একটি কনট্রাক্ট পাওয়াটা টেসলার জন্য যথেষ্টই লাভজনক।

munira.ete:
Nice post.

Navigation

[0] Message Index

Go to full version