Faculty of Allied Health Sciences > Public Health

চুল দেখে বুঝুন আপনার স্বাস্থ্য ভালো আছে না খারাপ

(1/1)

saima rhemu:
বেশিরভাগ মানুষ চুলকে তার শরীর থেকে আলাদা একটি অংশ মনে করে। কিন্তু নখের মতোই চুল ও আমাদের শরীরের বর্ধিত অংশ। যা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সংকেত প্রদান করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে আপনার চুলের পরিবর্তন যেমন- চুলের গঠনে বা ঘনত্বে কোন ধরণের পরিবর্তন অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ করে। চলুন তাহলে জেনে নিই চুলের এমনই কিছু বৈশিষ্ট্যের বা পরিবর্তনের কথা যা দেখে স্বাস্থ্যসমস্যার বিষয়ে আঁচ করা যায়।

১। চুল পড়া

আপনি যদি দিনে ১০০ টির বেশি চুল হারান তাহলে বুঝতে হবে যে আপনি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল হারাচ্ছেন। আপনার এই চুল কমে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে স্ট্রেস। যদি অনেক বেশি চুল পরতে থাকে তাহলে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন গ্রহণ করছেননা। ডায়াবেটিসের কারণেও চুল কমে যেতে পারে।

২। শুষ্ক, পাতলা ও ভঙ্গুর চুল

যদি আপনার চুল শুষ্ক ও পাতলা হয় তাহলে আপনি সম্ভবত হাইপোথাইরয়ডিজমে ভুগছেন। যা অতিসক্রিয় থাইরয়েডের কারণে হয়। হাইপোথাইরয়ডিজমের আরো কিছু লক্ষণ হচ্ছে ওজন বেড়ে যাওয়া, সব সময় ঠান্ডা অনুভব করা ও অবসাদগ্রস্থতা। তাই এই উপসর্গগুলোর সাথে সাথে যদি চুল কমে যেতে থাকে তাহলে একজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।

৩। চুল পাতলা হয়ে যাওয়া

চুলের ভিত্তি মজবুত করার জন্য প্রোটিন অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। যদি আপনি সঠিক পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ না করেন তাহলে আপনার চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে। তাই দিনে অন্তত একবার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।

৪। পাকা চুল

প্রাথমিকভাবে জেনেটিক কারণে চুল পাকলেও স্ট্রেসের কারণেও চুল সাদা হতে পারে। স্ট্রেস মেলানিনের কাজে হস্তক্ষেপ করে। মেলানিন নামক রঞ্জক চুলের রঙের জন্য দায়ী। ক্যালিফোর্নিয়ার ভালেজোর দ্যা পার্মানেন্ট মেডিক্যাল গ্রুপের এমডি ও ডারমাটোলজিস্ট পেরাডি মিরমিরানি বলেন, “অক্সিডেটিভ স্ট্রেস রঞ্জক উৎপাদক কোষের উপর প্রভাব ফেলতে পারে”। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ট্রমা বা মানসিক আঘাত ও স্ট্রেসের ফলে কেন চুল বিবর্ণ হয়ে যায় তার সঠিক কারণ ডারমাটোলজিস্টরা জানেন না। ডা. পেরাডি মিরমিরানির মতে জিনের কারণে এমন হতে পারে।

৫। খুশকি

মাথার তালু ও চুলে হলুদাভ আঁশ এর উপস্থিতি হতে পারে অনেক জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা স্যাবোরহেইক ডারমাটাইটিসের কারণে। এটি দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহজনিত সমস্যা যা মাথার তালুতে স্তরের সৃষ্টি করে।

৬। ছোট বৃত্তাকার প্যাচের মত চুল পড়া

যদি আপনার চুল ছোট ও বৃত্তাকার কুণ্ডলীর মত উঠে আসে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনি হয়ত অ্যালোপেসিয়া অ্যারিয়াটা নামক সমস্যায় ভুগছেন। অ্যালোপেসিয়া অ্যারিয়াটা হলে ভ্রু ও চোখের পাপড়ি পর্যন্ত পরে যেতে থাকে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস হলেও এই ধরণের চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে।

৭। টাক পড়া

মাথার মাঝামাঝি স্থান থেকে যদি চুল পড়া শুরু হয় তাহলে আপনার টেস্টোসস্টেরনের ক্ষরণ বেশি হচ্ছে। উচ্চমাত্রার টেস্টোসস্টেরনের কারণে মাথার উপরিভাগের চুল পড়া শুরু হয় এবং হেয়ার ফলিকলগুলো ছোট হতে থাকে। তাই পুনরায় চুল গজানোর সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

তাছাড়া উচ্চমাত্রার মার্কারির কারণে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। কিছু মাছে উচ্চমাত্রার মার্কারি থাকে। চিনি যেভাবে বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যসমস্যার জন্য দায়ী তেমনি চুলের জন্যও খারাপ। যে সমস্ত খাবার দ্রুত ভেঙ্গে চিনিতে পরিণত হয় তারা চুল ও নখের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। চিনি এন্ড্রোজেনের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে। যার কারণে চুলের ফলিকল সংকুচিত হয়ে যায়। সাদা পাউরুটি, পাস্তা, কেক ইত্যাদি খাবার শরীরে এই ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখায়। যার কারণে চুল পাতলা হতে পারে। যেসব খাবারের গ্লিসামিক ইনডেক্স বেশি সেগুলো খেলে এন্ড্রোজেনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়।

710001113:
thanks

saima rhemu:
Welcome Sir  :)

Navigation

[0] Message Index

Go to full version