Entertainment & Discussions > Life Style

ইউরিক এসিড ও ডায়েট

(1/1)

Mafruha Akter:
বাতের ব্যথায় ভুগছেন? হাঁটু, কনুইসহ শরীরের গাঁটেগাঁটে ব্যথা? ডাক্তারের টেস্ট রেজাল্ট বলছে আপনার শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেশি। এখন তবে কী করা?
শরীরে ইউরিক এসিডের সমস্যা থাকলে দেখে-বেছে খেতে হয়। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ আসফিয়া আজিম।

কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে দেহে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। জেনে নিন খাবারগুলোর নাম।

- গরু বা মুরগির কলিজা, বুকের মাংস, মগজ এসবে ইউরিক এসিডের পরিমাণ অনেক বেশি। বাতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন যারা, খিরি-কাবাব, গুর্দা কাবাব, কলিজা বা মগজভুনা থেকে দূরে থাকুন। সামনে কোরবানির ঈদ তাই সাবধান থাকাটা জরুরি।

- চিংড়ি’র মালাইকারি কিংবা চিংড়িভুনা কার না প্রিয়! তবে ব্যথায় কষ্ট পাওয়ার চাইতে এগুলো এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

- আজকাল বাজারে টুনা, স্যামন, সার্ডিন ইত্যাদি নানান ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ইউরিক এসিডের রোগীদের জন্য এ মাছগুলো নয়।

- মুসুরডাল, ছোলারডাল, চানাডাল ও কিডনি বিন ছাড়া অন্য কোনো ডাল খাওয়া যেতে পারে।

সবজি বা ফলমূলে ইউরিক এসিডের পরিমাণ মাছ, মাংসের ইউরিক এসিডের মতো অত বেশি না। তবে নীচের খাবারগুলো প্রতিদিনের মেন্যুতে না থাকাই ভালো। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিনের বেশি খেলে ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

- মটরশুঁটি সিদ্ধ, শিমের দানাভর্তা, কুমড়ার দানাভাজা ইত্যাদি।

- মাশরুম, ব্রোকোলি, ফুলকপি, গাজর, পালংশাক এড়ানোই ভালো।

- ইস্ট দেওয়া খাবারও ইউরিক এসিডের রোগীদের জন্য ভালো নয়। পাউরুটি’র বদলে আটারুটি খাওয়ার অভ্যেস করুন। নানরুটি, কেক এসব কম পরিমাণে খান।

- আপেল, খেজুর, ডুমুরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ অন্যান্য ফলের থেকে বেশি।

কী খাবেন

খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যেমন ইউরিক এসিডের আধিক্য কমানো সম্ভব। পাশাপাশি বিশেষ কিছু খাবার প্রতিদিনের তালিকাতে যোগ করলে শরীর ভালো থাকবে। 

সাদাভাতের বদলে লালচালের ভাত বা রুটি, আলু, কলা, টমেটো, কমলা, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার রক্তে ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করে।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version