ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাাহী ও ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটির (ডিআইআইটি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমবিএ ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করার পর মানব সম্পদ উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে শিক্ষাখাতে ক্যারিয়ার গড়েন। দীর্ঘ পঁচিশ বছরের গৌরবময় বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন শিক্ষা ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক উন্নয়নে। এজন্য তিনি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি একাডেমি ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেতু বন্ন রচনার চেষ্টা করেছেন। এই চেষ্টার ফলস্বরূপ দীর্ঘ কর্মজীবনে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বেশ কিছু শিক্ষা ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টেকসই ও কার্যকর অংশীদারীত্বমূলক সম্পর্ক নির্মাণ করতে সফল হয়েছেন।
ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বহুমুখী কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকেন। তিনি শিক্ষা বিভাগের নীতিনির্ধারণসহ সকল বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা, গবেষণা ও উন্নয়ন পরিচালনা, প্রশিক্ষণ পরিচালনা ও প্রশিক্ষকদের পরিচালনা, নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা, কর্পোরেট প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে মৈত্রী স্থাপন, প্রকল্প তত্ত্বাবধান, পাঠ্যক্রম সমন্বয় ইত্যাদি কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।
মোহাম্মদ নূরুজ্জামান একজন দক্ষ প্রযুক্তিবান্ধব মানুষ। তার উদ্যোগে বাংলাদেশে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার কোয়ালিফিকেশন টেস্টার সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারন্যাশনাল সফটওয়্যার টেস্টিং কোয়ালিফিকেশন্স বোর্ড’ (আইএসটিকিউবি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহের সহায়তায় দেশে এবং বিদেশে সফটওয়্যার শিল্পের গুণগত মান নিশ্চিত ও বিকাশে অবদান রেখে চলেছেন।
তিনি ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, হংকং, কোরিয়া, চীন, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, তুরসড়, অস্ট্রেলিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপানসহ বিশ্বের প্রায় চল্লিশটি দেশ ভ্রমণ করেছেন।
ড্যাফোডিল পরিবারের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মোহাম্মদ নূরুজ্জামান এ গ্রুপের ক্রমাগত ও টেকসই অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন। তার পেশাদারীত্ব, দূরদর্শিতা, লক্ষ্যভেদী সিদ্ধান্ত, নীতিনির্ধারণ, কৌশলপত্র প্রণয়ন, রাজস্ব লক্ষ্য নির্ধারণ, মুনাফা সংযোজন এবং ইতিবাচক নেতৃত্বের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তিনি নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন এবং ড্যাফোডিল পরিবারের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপকদের স্বপ্ন পূরণে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।
শুধু নিজেকেই নেতৃত্বের উচ্চতর আসনে নিয়ে যাননি মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, বরং অনেক সুযোগ্য নেতাও তৈরি করেছেন, যারা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। এমনকি নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই উদ্যোক্তা তৈরিতেও তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
মোহাম্মদ নূরুজ্জামান ব্রিটিশ কম্পিউটার সোসাইটি, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতি, বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেস্টিং কোয়ালিফিকেশন্স বোর্ড, ইন্টারন্যাশনাল সফটওয়্যার টেস্টিং কোয়ালিফিকেশন্স বোর্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত সদস্য। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব এমআইএস প্রফেশনালসের অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতা।
এসবের বাইরেও মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। তিনি উত্তরণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব, অ্যাফোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, অ্যালাইটের প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-সভাপতি এবং মেঘনা উপজেলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আসন্ন বেসিস নির্বাচনে পরিচালক পদে অংশ নিয়েছেন।
বেসিস নির্বাচনে এবার প্যানেল ঘোষণা করেছেন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা। লুনা শামসুদ্দোহা বাংলাদেশ উইমেন ইন আইটির (বিডাব্লিউআইটি)-এর সভাপতি। দেশের খ্যাতনামা সফটওয়্যার কোম্পানি দোহাটেক নিউ মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।
সম্প্রতি এই প্যানেল ঘোষণা করেন তিনি। প্যানেলের নাম ‘উইন্ড অব চেইঞ্জ’। তবে বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটির ৯টি পদের বিপরীতে ৮ জন প্রার্থী নিয়ে এই প্যানেল গঠন করা হয়েছে। প্যানেল প্রধান লুনা ছাড়াও উইন্ড অব চেইঞ্জে রয়েছেন, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ডিভাইন আইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ফকরুল হাসান, এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড সিইউ আবুল দাউদ খান, স্টার কম্পিউটার সিস্টেম লিমিটেডের ডিরেক্টর ও সিওও রেজওয়ানা খান, ইনোভেশন ইনফরমেশন সিস্টেম লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ সানোয়রুল ইসলাম, রাইট ব্রেইন সল্যুশন লিমিটেডের সিইও নূর মাহমুদ খান এবং এআর কমিনিকেশনস প্রধান নিবার্হী এম আসিফ রহমান।