Faculty of Engineering > Textile Engineering
Development in different perspective.
(1/1)
Reza.:
স্পস্ট মনে পড়ে এই ঢাকাতেই ছোটবেলায় আমাদের খাওয়ার পানির জগ ভরা হত রান্না ঘরের ট্যাপের পানিতে। আমরাও রান্না ঘরের ট্যাপের পানি গ্লাসে নিয়ে খেতাম। কখনোই কোন অসুখ বিশুখ হত না। আরেকটি মনে আছে আমরা ও আমাদের কাছের কিছু আত্মীয় স্বজন মিলে চিড়িয়াখানায় ঘুরে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কিছু পথ শিশু চিড়িয়াখানায় জগে করে পানি বিক্রি করত। আমরা নিশ্চিন্তে সেই পানি পান করেছিলাম। অনেক আগের এই অতি স্বাভাবিক ঘটনা গুলো আমরা এখন কল্পনাও করতে পারি না। এখন ফিল্টার বা পানি বয়েল করা ছাড়া পানি খাওয়া অসম্ভব একটি ব্যাপার।
আরেকটি হল আমি স্কুলের প্রথম দিনে আমার বোনের সাথে স্কুলে গিয়েছিলাম। তখন এই ঢাকাতে বড় কারো সাথে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ত না। স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই খেলাধুলা করার সময়ই আমরা আমাদের স্কুলের পথ চিনে যেতাম। ফিরতামও একা একাই।
ক্লাস ফাইভ - সিক্সে পড়ার সময় ভোর বেলা একা মেইন রোডে গিয়ে স্কুল বাসে উঠতাম। আবার স্কুল শেষে একাই বাসে করে বাসায় ফিরতাম। স্কুল বাসে অর্ধেকের বেশী ঢাকা ঘুরে বাসায় ফিরতে আমার সময় লাগতো মাত্র ৪৫ মিনিট।
ঢাকা এখন উন্নত না দিনে দিনে তার অবনতি হচ্ছে তা কে নিশ্চিত করে বলবে? নিশ্চিন্তে খাওয়ার পানির নিশ্চয়তা কে দিবে? শিশুদের তথা সামগ্রিক নিরাপত্তার কি অবস্থা এখন এই শহরের?
আমরা যদি বলি আমরা ওই জায়গায় হেটেই পাঁচ মিনিটে চলে যেতাম। এর মানে আমাদের কাছে উন্নয়ন নয়। আমাদের কাছে উন্নয়ন হল ওই পাঁচ মিনিটের পথ এখন গাড়িতে করে আধা ঘণ্টায়ও পৌছাতে না পারা। পথ পার হওয়া উন্নয়ন নয়। উন্নয়ন হওয়ার জন্য শহরে গাড়ি লাগবে। আপনি শহরের যে কোন জায়গায় পানি পান করতে পারেন। এইটা উন্নয়ন নয়। আপনি যখন বোতলজাত পানি পান করবেন তখন আপনি উন্নত। স্বাভাবিক নিরাপত্তা থাকা উন্নয়ন নয়। শহরকে যখন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখতে হয় - এইটা উন্নয়ন। সে সুখে আছে এইটা কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার না। সে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে কত দূরে থাকে এইটাই এখন উন্নয়নের মাপকাঠি।
(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া।)
Kazi Rezwan Hossain:
Thanks for sharing
Reza.:
Thank you for your comment.
Navigation
[0] Message Index
Go to full version