IT Help Desk > IT Forum
IT News
Golam Kibria:
স্টিভের শেষ দিনগুলো
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনি জেনে যান-এই সুন্দর পৃথিবীতে তিনি আর বেশিদিন নেই। ২০০৪ সালে শরীরে বাসা বাধা ক্যানসার আর পোষ মানছে না। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা, আধুনিক সময়ের প্রযুক্তি শিল্পী স্টিভ জবস শুরু করে দেন বিদায়ের প্রস্তুতি। খুব কাছের কিছু মানুষকে ডেকেও তিনি জানিয়ে দেন বিদায় সম্ভাষনের জন্যও প্রস্তত তিনি।
কোনো দীর্ঘ সফরে যাওয়ার আগে মানুষ যেমন গোছ-গাছ শুরু করে, প্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম সেরে নেয়, ঠিক তেমনি স্টিভ জবস প্রস্থানের প্রস্তুতি শুরু করেন। অ্যাপলের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে জেনে নেন, ভবিষ্যত্ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তাঁর প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান কতটা প্রস্তুত। ধীরে ধীরে সবাই জেনে যান, স্টিভ জবসের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা। জেনে যান, এই প্রযুক্তি মহীয়ানের শেষ সময় সন্নিকটে।
আগস্টে ছেড়ে দেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহীর পদ। জীবনের শেষ কয়েকটি দিন ছিলেন অ্যাপলের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান হিসেবে। তবে নামেই প্রধান। শরীরের ক্রমাবনতির কারণে সক্রিয়ভাবে কোনো কিছুতেই অংশ নিতে পারেননি। তবে জেনেছেন আইফোন-৪এস কিংবা আইফোন-৫ নিয়ে অ্যাপলের ভবিষ্যত্ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার কথা।
জীবনের শেষ কয়েকটি সপ্তাহ শারীরীকভাবে প্রচণ্ড দুর্বল ছিলেন তিনি। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালো-অ্যাল্টোর আবাসিক এলাকায় অবস্থিত জবসের সুপরিসর বাড়িটি ঘিরে থাকত ভক্ত-বন্ধু, শুভানুধ্যায়ীদের ভিড়। সবাই একটিবারের জন্য দেখা করতে চান জবসের সঙ্গে। জবসের স্ত্রী লর্নি সবিনয়ে তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতেন। ভক্তদের ভিড় সামলাতে গিয়ে তিনি হয়ে পড়তেন ক্লান্ত।
পুরো জীবনে ব্যক্তিগত জীবনটা ‘ব্যক্তিগত’ ভাবেই কাটাতে পছন্দ করতেন স্টিভ জবস। জীবনের শেষ কয়েকটি দিনও নিজেই নির্ধারণ করেছিলেন কার কার সঙ্গে তিনি বিদায়ী সাক্ষাত্ করবেন। জীবনের শেষ দিনগুলোতে স্টিভ জবস স্ত্রী লার্নি ছাড়াও অ্যাপলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বিল ক্যাম্পবেল, ব্যক্তিগত চিকিত্সক ডিন অরনিশ, ওয়াল্ট ডিজনির প্রধান নির্বাহী রবার্ট এ ল্যাগের ও ব্যবসায়ী জন ডোয়ের সময় কাটিয়েছেন স্টিভ জবসের সঙ্গে। এদের পাশাপাশি ছিলেন জবসের আত্মজৈবনিক ওয়াল্টার ইসাকসন।
প্রচণ্ড জীবনবাদী ছিলেন স্টিভ জবস। জীবনের শেষ দিনগুলোতেও বেঁচে থাকার বাসনা তাঁর অটুট ছিল। প্রত্যাশা ছিল, হয়ত একটি নতুন ওষুধ, কিংবা নতুন কোনো চিকিত্সা পদ্ধতি তাঁকে আরও কয়েক বছর বেঁচে থাকার শক্তি জোগাবে।
সম্প্রতি চিকিত্সকেরা তাঁর জন্য একটি নতুন ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দিয়েছিলেন। জবসও দারুণ আশাবাদী ছিলেন এই নতুন ওষুধ তাঁকে নতুন জীবন দেবে। ব্যাপারটি তিনি বলেছিলেন আত্মজীবনী লেখক ইসাকসনকেও ।
মৃত্যুর পর স্টিভ জবস রেখে গেছেন ৬০০ কোটি ডলারেরও বেশি সম্পত্তি। নিজের সন্তানদের প্রচণ্ড ভালোবাসতেন স্টিভ জবস। ব্যক্তিগত চিকিত্সক ডিন অরনিশ বলেছেন, একবার জবসকে তাঁর সন্তানদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে সন্তানেরা কেমন? উত্তরে জবস বলেছিলেন, জীবনে তাঁর যতো সাফল্য তারচেয়েও বড় সাফল্য সন্তানদের পিতা হওয়া। আইফোন কিংবা আইপ্যাডের ব্যবসায়িক সফলতার পর তিনি যে ধরনের আনন্দ পেয়েছিলেন, তার ১০ হাজার গুণ বেশি আনন্দ তিনি পেয়েছেন সন্তানের পিতা হয়ে। স্টিভ জবস ছিলেন এমনই।
গতকাল পৃথিবী থেকে চলে গেছেন স্টিভ জবস। আর ক’দিন পরেই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। ইসাকসন একবার জবসকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনকে সন্তর্পণে বাইরের জগত থেকে আলাদা করে রেখেছিলেন যে মানুষটি, তিনি কেন হঠাত্ করেই আত্মজীবনীর ব্যাপারে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, তিনি আত্মজীবনীটা দ্রুত প্রকাশ করতে চান, কারণ তিনি চান এই আত্মজীবনীর মাধ্যমে তাঁর সন্তানেরা তাঁকে জানুক।
আগেই বলা হয়েছে মৃত্যুর পূর্বে প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের সম্পদ রেখে গেছেন স্টিভ জবস। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ধনকুবেরদের নিজেদের সম্পত্তির একটি বড় অংশ দাতব্যকর্মে দান করার হিড়িক পড়ে গেছে। কিন্তু নিভৃতচারী জবস কখনোই কাউকে বলেননি, তিনি তাঁর এই বিপুল সম্পদ এমন কোনো উদ্দেশ্যে ব্যয় করবেন কী-না।
মাইক্রোসফট করপোরেশনের মালিক বিল গেটস কিছুদিন আগেই দাতব্যকর্মে স্টিভ জবসকে তাঁর সম্পত্তির একটি অংশ দান করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। একই অনুরোধ করেছিলেন আরেক ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট। কিন্তু জবস সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ব্যাপারটি নিয়ে কিছুটা সমালোচনা ও নিন্দুকদের ফিসফিসানির কারণ হলেও তাঁকে যারা ব্যক্তিগতভাবে জানতেন তারা বলেছেন, কেবলমাত্র ব্যক্তিগত তথ্য বাইরের মানুষের কাছ থেকে দূরে রাখার জন্যই তিনি এই কার্যক্রমে অংশ নেননি। তিনি মনে করেছিলেন, সম্পদ দান করে দেওয়ার ঘোষণা দিলে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়টিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা পুরো জীবনই দারুণভাবে রক্ষা করে গেছেন তিনি।
জীবনবাদী স্টিভ জবসের মনের গভীর থেকে উথলে ওঠা বেঁচে থাকার আকুতি দেখেছেন তার বোন মোনা সিম্পসন। তাঁর গলার অস্ফুট স্বরে ফুটে উঠত সবাইকে ছেড়ে চলে যাওয়ার দুঃখ। তিনি ভাবতেন, এই সুন্দর পৃথিবী, এই অ্যাপল, তাঁর রেখে যাওয়া সব উদ্ভাবন, স্ত্রী, চার সন্তান, আত্মীয়-স্বজন বন্ধুরা সবাই থাকবে কেবল তিনি থাকবেন না!
মৃত্যুর আগে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটাতে চাইতেন জবস। পারতপক্ষে কোনো দাওয়াত গ্রহণ করতেন না। কিছুদিন আগেই, তার অনেকদিনের পরিচিত একজন বন্ধু তাঁর কাছে এসে একটি উপহারের প্যাকেট দিয়ে বলেছিলেন, ‘বন্ধুত্বের জন্য ধন্যবাদ স্টিভ।’ প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন জবস। সেই বন্ধুকে বলেছিলেন, ‘বাকি দিনগুলো তোমার চেহারা যেন না দেখি।
কাল চলে গেলেন তিনি। প্যালো-অ্যাল্টোর বিশাল বাড়ির লনটি ভরে উঠল ফুলে ফুলে। এমন মানুষেরা এসে ফুল দিলেন, বিদায় জানালেন, যাদের চেহারাও কোনোদিন দেখেননি জবস, পরিচয়তো অনেক দূরের ব্যাপার। স্টিভ জবসদের বিদায়টা হয় এরকমই মহিমান্বিত। নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে ।
Source : http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-07/news/191960
Golam Kibria:
ভারত দর্শনেই স্টিভের অ্যাপল সৃষ্টি!
মহাবিশ্বের নিয়মে প্রতিদিনই প্রকৃতিতে সূর্যোদয় হবে। আবার সূর্য অস্তও যাবে। শুধু থাকবে না এ পৃথিবীর ‘সূর্যশক্তি’ স্টিভ জবস। সূর্যের মতো স্টিভও পুরো বিশ্বকে তাঁর উদ্ভাবনী শক্তিতে নতুন প্রাণসঞ্চার আর কর্মস্পৃহা যুগিয়েছেন আমৃত্যু।
স্টিভ যেন কোনো সাধারণ মানুষ ছিলেন না। সদাই হাস্যোজ্জ্বল এ ব্যক্তিটির মধ্যে কোথায় যেন লুকিয়ে ছিল এক আধ্যাত্মিক শক্তি। চোখেমুখে এর দীপ্তি দেখতে পেয়েছিলেন অনেকেই। তবে গল্প মনে হলেও এ দীপ্তি তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন ভারতবর্ষে।
আজ থেকে ৩৫ বছর আগে। স্টিভ এসেছিলেন ভারতে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সে সময়ের প্রিয় বন্ধু ড্যান কটকি। স্টিভের বয়স তখন ২১ হবে। সময়টা ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬ এর মধ্যে। সব মিলিয়ে ১ বছর ৩ মাসের এক নাটকীয় ভারত সফরে বদলে যায় স্টিভের দিকদর্শন।
জন্ম নেয় আধ্যাত্মিক স্টিভ। কর্মই সাফল্য। আর নিজের আত্মার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার মধ্যেই লুকিয়ে আছে অসামান্য হয়ে উঠার দৈবশক্তি তা স্টিভ খুব অল্প সময়েই উপলব্ধি করেছিলেন।
উত্তর ভারতের এসে নিজের অচেনা মায়ের সন্ধানে নেমেছিলেন স্টিভ। গোয়েন্দাগিরিও করেছেন খানিকটা সময়। তবে দেখা মেলেনি তাঁর সন্ধানের। কিন্তু পেয়েছিলেন সমাজ পরিবর্তনের দৈবমন্ত্র। সময়টা ছিল বেশ উত্তাল। চাকরি আর অর্থহীন এক অস্থির যুবক কিছু একটা প্রাপ্তীর নেশায় মত্ত। কিন্তু কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না এ থেকে পরিত্রাণের উপায়।
বন্ধু ড্যানের ভাষ্যমতে, স্টিভ ভারতে আসার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। অনেকটা মাথায় ভূত চেপে যাওয়ার মতো অবস্থা। বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ভবঘুরে হলে গেলাম স্টিভ আর আমি। কিন্তু ঠিক কি খুঁজছিল স্টিভ তা আজও তাঁর কাছে অস্পষ্টই রয়ে গেছে। মূলত বিজ্ঞানের কিছু অমিমাংশিত তত্ত্বের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা খুঁজে পেতেই স্টিভ ভারতে এসেছিল। সঙ্গে তার ব্যক্তিউদ্দেশ্যও ছিল।
পরে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যকে ছেড়ে স্টিভ সমাজব্যবস্থার নানামুখী পরিবর্তনে আগ্রহী হয়ে উঠেন। যেমন ভাবদর্শন, আধ্যাত্মিকতা এবং জীবনের মৌলিক তত্ত্ব। এ জন্য কখনও কাটিয়েছেন রাস্তায়। কখনও আশ্রমে। আবার কখনও অতি দরিদ্র মানুষের সঙ্গে থেকেছেন দিনরাত।
এ সবই গল্প মনে হলেও এটা স্টিভের জীবনের অপ্রকাশিত সত্য। সাফল্যের এভারেস্টে পৌঁছে যিনি বিশ্বকে দিয়েছেন একের পর এক উদ্ভাবনী চমক। তাঁর অতীত জীবনের এমন ঘটনাপ্রবাহ সত্যিই অবিশ্বাস্য। কিন্তু ভারতের এ ভবঘুরে জীবন ছিল স্টিভের জীবনের সবচে মূল্যবান অভিজ্ঞতা।
এরপর নয়াদিল্লি। এখানেও স্টিভ দলে দলে ভিক্ষুকদের সঙ্গে বহুরাত কাটিয়েছেন। হয়ত নিজের প্রকৃত অচেনা মাকে খুঁজে পেতেই এমন বিচ্ছিন্ন জীবনে পা বাড়িয়েছিলেন স্টিভ। এমনকি ব্যক্তিগত গোয়েন্দাও নিয়োগ দিয়েছিলেন অচেনা মায়ের সন্ধান পেতে।
এ খোঁজে ভারতের কাঞ্চি নামক স্থানে তিনি এক আধ্যাত্মিক নিম বাবার দর্শন পান। হয়ে উঠেন তাঁর ভক্তশ্রেষ্ঠ। পরিকল্পনা করেন একটি আলোকিত দর্শনের জন্য ধর্মাশ্রম তৈরি করবেন। কাজও শুরু করেন। কিন্তু এরই মধ্যে নিম বাবার প্রতারণাচক্রের কথা জানতে পারেন স্টিভ। আশ্রম নির্মাণের ইতি এখানেই।
পরে স্টিভ ড্যানকে বলেছিলেন, দূরে, জনশূণ্য এবং কোলাহল মুক্ত কোনো পরিবেশে তারা (স্টিভ আর নিম বাবা) আশ্রম তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেখানে মাসখানেক থেকে আলোকিত জীবনের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন।
এ নির্বাসিত জীবনের মাধ্যমে স্টিভ থমাস এডিসনের অনেক অমীমাংসিত তত্ত্বকে বিশ্লেষণ করতে চেয়েছিলেন। সমাজব্যবস্থায় কার্ল মার্কসের দর্শনের সঙ্গে নিম বাবাব ভাবদর্শনের প্রতিফলন খুঁজতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু এ আশায় গুড়েবালি। ভাগ্য তখন স্টিভের কপালে সাফল্যের পালক তুলে দিতে মরিয়া। স্বপ্ন আর ঘোর ভাঙ্গতেই কিছু একটা করার অদম্য তাগিদে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন স্টিভ। তখনও ‘অ্যাপল’ সৃষ্টির অপেক্ষায়।
যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবার আগে ভারতে গ্রীষ্মের দাবদাহে স্টিভ এবং ড্যান দুজনেই ডায়রিয়া পরবর্তী অবসাদে ভোগেন। কঠিন এ রোগে পড়ে দু বন্ধুই শ্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করেন তারা আরোগ্য হলে ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করবেন। জনমানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।
এরপর স্টিভ আগের কর্মস্থল আটারিতে যোগ দেন। তখন তিনি ছিলেন পুরোপুরি ‘বুদ্ধিষ্ট’। এখানে তিনি কাজে একান্ত মনোযোগে নিরলস পরিশ্রম করতে থাকেন। এদিকে স্কুলবন্ধু স্টিভ ওজনিয়াকের সঙ্গে আবারও সুসম্পর্ক তৈরি হয় স্টিভের। ওজনিয়াক ওই সময় এইচপির কারিগরি বিভাগে কাজ করেন।
দীর্ঘদিন পর কাছের বন্ধুকে পেয়ে এবং ওজনিয়াকের কাজ দেখে স্টিভ মুদ্ধ হন। এরই মধ্যে ভারতদর্শনে পাওয়া ‘অ্যাপল’ সৃষ্টির কর্মযজ্ঞ তাকে অস্থ্রি করে তোলে। অবশেষে বন্ধুকে রাজি করিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আজকের বিশ্ব কাঁপানো ‘অ্যাপল’ প্রতিষ্ঠান।
ওজনিয়াকের কারিগরি দক্ষতা আর স্টিভের ভবিষ্যৎ ভাবনায় দ্রুতই পরিচিতি পেতে থাকে ‘অ্যাপল’। এরপর শুধুই চড়াই-উতরাই। আর সাফল্যের সৌভাগ্য দুয়ার যখন খুলল তখন আর পেছনে ফিরে আর তাকাতে হয়নি অ্যাপলকে।
ক্যালিফোর্নিয়ার পল অ্যাটলো শহরে অবস্থিত একটি ছোট্ট গাড়ির মেরামতখানা থেকেই এখনকার ৩৫ হাজার কোটি (৩৫০ বিলিয়ন) ডলার মূল্যমানের ‘অ্যাপল’ সৃষ্টি। অ্যাপল জন্মের অর্থই যেন শুধুই সৃষ্টি।
গত এক দশকে অ্যাপল শুধুই এগিয়েছে। পেছনে ফেলেছেন বন্ধু বিল গেটসের মাইক্রোসফটকেও। হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আর এ অকল্পনীয় সাফল্য আর বিশ্ব পরিচিতির সঙ্গে জুড়ে আছে ভারতে পাওয়া স্টিভের আধ্যাত্মিক সব দর্শন তত্ত্ব আর অলৌকিক ভবিষ্যৎ ভাবনার ক্ষমতা।
Source : http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=59056fc9607a289311e7db149d539700&nttl=2011100706000861644&toppos=1
goodboy:
স্টিভ জবসের মৃত্যু থামিয়ে দিয়েছে ‘স্মার্ট ফোন যুদ্ধ’
গুগল এরই মধ্যে অবমুক্ত করতে চেয়েছিল নিজেদের তৈরি স্মার্ট ফোন। কিন্তু অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের মৃত্যু তাদের সেই উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করেছে। স্টিভ জবসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এখনই কোনো স্মার্ট ফোন নিয়ে বাজারে আসছে না গুগল।
এদিকে অ্যাপলের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ‘মোবাইল আনপ্যাকড’ নামের একটি সম্মেলন স্থগিত করেছে। আগামী সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ায় এ সম্মেলনটি হওয়ার কথা ছিল। ওয়ারল্যাস টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির ওপর এ সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়েছিল। এ সম্মেলনে স্যামসাংয়ের সঙ্গে গুগলেরও অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
স্যামসাং তাদের অফিসিয়াল ব্লগে জানিয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে দুই প্রতিষ্ঠানই সম্মেলনটি স্থগিত করতে সম্মত হয়েছে।’ স্যামসাং জানিয়েছে, ‘এ সম্মেলনের জন্য বর্তমান সময় একেবারেই সঠিক ছিল না।’
স্টিভ জবসের মৃত্যুর কারণে অ্যাপলের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাং ‘গ্যালাক্সি নেক্সাস’ নামের একটি নতুন স্মার্ট ফোনও এ মুহূর্তে বাজারে আনছে না। আইফোনের নতুন সংস্করণ বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এই নতুন স্মার্ট ফোনটি অবমুক্ত করার কথা ছিল। গ্যালাক্সি নেক্সাস অ্যান্ড্রয়েডের একটি আনকোরা সংস্করণে তৈরি—যা এখন পর্যন্ত বাজারে অবমুক্ত হয়নি।
আনুষ্ঠানিকভাবে না বললেও গুগল ও স্যামসাং প্রযুক্তিগুরু স্টিভ জবসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তা ছাড়া এ মুহূর্তে ব্যবসায়িকভাবেও আইফোনের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো স্মার্ট ফোন অবমুক্ত করা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না বলেও চিন্তা করেছেন তারা।
source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-08/news/192147
goodboy:
এক সফটওয়্যারে অনেক কাজ
ভাইরাসের কারণে কম্পিউটারে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। ‘অটোরান কিলার’ নামের একটি সফটওয়্যারের সাহায্যে ভাইরাস-সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এ সফটওয়্যারটি অটোরানসহ কম্পিউটার থেকে ৩৫ রকমের ভাইরাস নির্মূল করতে সক্ষম। মাত্র ৫৪০ কিলোবাইটের ছোট্ট এই সফটওয়্যারটি http://mediafire.com/?ql3aijekas7e9s5 ঠিকানা থেকে নামিয়ে নিন। এরপর জিপ ফাইলটি খুলুন। এখন সফটওয়্যারটি ইনস্টল করুন। সফটওয়্যারটি পিসিতে ইনস্টল করলে নিচে টাস্কবারের ডানে একটি সবুজ আইকন আসবে। ওই সবুজ আইকনে ডান ক্লিক করে Show main menu অপশনে ক্লিক করুন। যদি কম্পিউটার স্ক্যান করতে চান, তাহলে Scan and clean অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে অটোরান-সম্পর্কিত সব ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। যদি ভাইরাসের কারণে আপনার উইন্ডোজের টাস্ক ম্যানেজার, রেজিস্ট্রি এডিটর, কমান্ড অপশন, ফোল্ডার অপশন প্রভৃতি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তাহলে অটোরান কিলার দ্বারা স্ক্যান করলেই ওই ইউটিলিটিগুলো আবার সক্রিয় হবে। সাধারণত ইউএসবি ডিভাইস থেকেই অধিকাংশ সময় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে পিসিতে। এই সফটওয়্যারের সাহায্যে আপনি পিসিতে ইউএসবি ডিভাইসের ব্যবহার বন্ধ করে রাখতে পারেন। এ জন্য Show main menu থেকে Tools অপশনে যান এবং Block USB Port অপশনে টিক চিহ্ন দিন। তাহলেই পিসিতে কোনো ইউএসবি ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না। ইউএসবির ব্যবহার আবার চালু করতে একই উপায়ে Block USB Port অপশন থেকে টিক চিহ্ন তুলে নিন।
source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-08/news/191975
Golam Kibria:
১২ ঘণ্টায় ২ লাখ আইফোন বিক্রি!
অ্যাপল এখন স্টিভশূন্য। তবে থেমে নেই স্টিভের স্বপ্নসাফল্য। আইফোনের নতুন চমক ‘৪এস’ প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি পেয়েছে ৪ অক্টোবর। আর অনলাইনে বাণিজ্যিক বিপণন শুরু হওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে ২ লাখ আইফোন। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন বিক্রেতা এটিঅ্যান্ডটি সূত্র মতে, অনলাইনে প্রিঅর্ডার চালু হওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ২ লাখ আইফোন ৪এস বিক্রি হয়ে গেছে। ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এসব আইফোনের বাণিজ্যিক বিপণন।
এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের মাত্র ৬টি দেশে আইফোন ৪এস বিক্রির ছাড়পত্র পেয়েছে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া অনলাইন প্রিঅর্ডার সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে এটিঅ্যান্ডটি।
আইফোন ৪এস বিক্রির অনুমোদন পাওয়া অপর দু`প্রতিষ্ঠান হচ্ছে স্প্রিন্ট এবং ভেরিজন। এ দুই অনলাইন বিক্রেতাও শুক্রবার থেকে প্রিঅর্ডার নিতে শুরু করেছে। তবে সেবামানের গুণে চাপটা এটিঅ্যান্ডটির ওপরই বেশি পড়েছে।
ডিজিটাল পণ্য বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, আইফোন ৪এস মডেলে তেমন কোনো নতুনত্ব আসেনি। তবে অবয়বে খানিকটা পরিবর্তন এসেছে। বেড়েছে স্টোরেজ সামর্থ্য। বলতে গেলে অনেকটা আইফোন৪ এর মতোই এসেছে নতুন এ সংস্করণ।
তবে আইফোন ৪এস মডেলের সবচে আকর্ষণীয় ফিচার হচ্ছে ভয়েস কমান্ড সিস্টেম। ‘সিরি’ নামের এ ভয়েস ফিচারের মাধ্যমে কণ্ঠবার্তা শুনেই কাজ করবে আইফোন ৪এস। এ ফিচারটি নবীন-প্রবীণ সবার জন্যই গুরুত্ব বহন করে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, স্টিভের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেও অনেকে এ পণ্যটি কিনছেন। আইফোন ‘৪এস’ মডেলই হচ্ছে স্টিভের জীবিত থাকা অবস্থায় মুক্তি পাওয়া সবশেষ অ্যাপল পণ্য। ৫৬ বছর বয়সে জটিল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে স্টিভ গত ৫ অক্টোবর মারা যান।
এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ন্যূনতম ১৯৯ ডলারে ১৬জিবি এবং সর্বোচ্চ ৩৯৯ ডলারে ৬৪জিবি মডেলের আইফোন ৪এস পাওয়া যাচ্ছে। একে স্টিভের শেষ সময়ের পণ্য বলেও সম্মান জানাচ্ছেন ভক্তরা।
Source : http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=51d15344f3fa8922900c2cf4cb70bc44&nttl=2011100905300061958&toppos=1
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version