Career Development Centre (CDC) > Be a Leader

গৃহহীন থেকে কোটিপতি

(1/1)

Golam Kibria:

তুরস্কে ছন্নছাড়া জীবন ছিল হুসেইন ওজারের। মা-বাবার বিচ্ছেদের পর হয়ে পড়েন গৃহহীন। কিছুদিন ঠাঁই নিয়েছেন গণশৌচাগারে। সেখান থেকেই ছোটখাটো কাজ শুরু। একসময় ভাগ্য অন্বেষণে পাড়ি জমান লন্ডনে। কঠোর পরিশ্রমে তিনি আজ সফল একজন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী। কপর্দকহীন থেকে কোটিপতি।
কেবল লন্ডনেই ওজারের এখন ওজার ও সোফরা নামে চার-চারটি রেস্তোরাঁ। বিখ্যাত রেস্তোরাঁর তালিকা প্রস্তুতকারী মিশেলিন গাইডেও উঠেছে তাঁর নাম। সর্বশেষ সেরা উদ্যোক্তা হিসেবে এ বছরের ওয়ার্ল্ড ফুড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ওজার। ওজারের মুখেই শুনুন তাঁর সেই জীবনের সেই গল্প।
‘সবার অনাদরের পাত্র ছিলাম আমি। খুব ছোট থাকতেই মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। তাঁরা আবার বিয়ে করায় আমার যাওয়ার কোনো জায়গা থাকল না। তাই দাদা-দাদির কাছে কেটেছে আমার ছোটবেলাটা।’ বললেন ওজার।
এর পরের কয়েকটি বছর ওজার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় খুঁজেছেন। কিন্তু ১১ বছর বয়সে একেবারেই গৃহহীন হয়ে পড়েন। তখন গণশৌচাগার ছাড়া আরও কোথাও আশ্রয় নেওয়ার জায়গা ছিল না তার। ওজার বললেন, ‘সেখানে থেকেই আমি ফেরি করে কিছু জিনিস বিক্রি করতাম। এতে সামান্য রুটি কিনতে পারলেও প্রায় সময়ই না খেয়ে থাকতাম। এরপর একটি পানশালায় কাজ নিই। সেখানে সিগারেটের ছাইদানি পরিষ্কার করা এবং তাদের জন্য খাবার এনে দেওয়াই ছিল আমার কাজ। এর বিনিময়ে তারা আমাকে খাবার দিত। তখন ভাবতাম আমি তো ধনী হয়ে গেছি। ওই কয়েকটি বছর ছিল আমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ।’
এর পরের কয়েকটি বছর রেস্তোরাঁয় কাজ করেছেন ওজার। দিনে কাজ আর রাতে ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করতেন। একপর্যায়ে নতুন জীবনের আশায় পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যে। প্রথম দিকের কয়েক বছর একটি কাবাবের দোকানে কাজ করে কাটিয়েছেন। কিছু টাকা জমিয়ে সেখানে প্রথম একটি রেস্তোরাঁ চালু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তিনি এখন কোটিপতি রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী।
জীবনের শুরুতে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হলেও অতীত নিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত নন ওজার। নতুন এ পুরস্কারকে তিনি তাঁর মায়ের নামে উত্সর্গ করেছেন। শ্রদ্ধাভরে মাকে স্মরণ করে ওজার বলেন, ‘আমার মনে হয়, স্বর্গবাসী মা সবকিছু দেখছেন এবং আমার জন্য তিনি গর্ববোধ করছেন।’
ওজার রেস্তোরাঁর রিজেন্ট স্ট্রিট শাখাটি দেখাশোনা করেন তাঁর সত্ভাই ডেভিড। তিনি বলেন, ‘তিনি (ওজার) খুবই কঠিন চরিত্রের একজন মানুষ। তিনি সব কিছুই নিখুঁত চান। খাবার হতে হবে ভালো। আর ক্রেতাকেও রাখতে হবে সন্তুষ্ট। অন্যথায় বিপদে পড়তে হয়।’ ডেভিড বললেন, ‘প্রতিটি খাবারের টেবিলে ওজারের মোবাইল ফোন নম্বর লেখা আছে। কোনো ক্রেতা খাবার কিংবা সেবায় অসন্তুষ্ট হলে তিনি সরাসরি ওজারকে ফোন করতে পারেন। আর এতে বিপদ নিশ্চিত।’ রয়টার্স।

Source : http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-08/news/192138

sethy:
If anyone have self-willingness then he/she can prosper his life.

nature:
Its possible just for his hard work, and man can do any thing.

Navigation

[0] Message Index

Go to full version