ডিএসইর কৌশলগত অংশীদারিত্ব: চীনা কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন বিএসইসির

Author Topic: ডিএসইর কৌশলগত অংশীদারিত্ব: চীনা কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন বিএসইসির  (Read 985 times)

Offline nafees_research

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 344
  • Servant of ALLAH
    • View Profile
ডিএসইর কৌশলগত অংশীদারিত্ব: চীনা কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন বিএসইসির

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের চীনা কনসোর্টিয়ামই হতে যাচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার। গতকাল কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়ামকে বাছাইসংক্রান্ত ডিএসইর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি কমিশন সভায় তিনটি শর্ত পরিপালনসাপেক্ষে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

কমিশন সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান জানান, কৌশলগত অংশীদার হিসেবে শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৪৫ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ১২৫টি শেয়ার ২১ টাকা দরে বিক্রির জন্য ডিএসইর প্রস্তাবিত শেয়ার ক্রয় চুক্তিপত্র (এসপিএ) অনুমোদন করেছে বিএসইসি। তবে এজন্য তিনটি শর্ত পরিপালন করতে হবে ডিএসইকে।

প্রথম শর্ত হলো, কৌশলগত অংশীদারসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সিকিউরিটিজ আইন ও দেশের প্রযোজ্য অন্যান্য আইনসহ এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন ও ডিএসইর ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম অনুসারে পরিচালনা করতে হবে। দ্বিতীয়ত. এসপিএ স্বাক্ষরের এক বছরের মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শেষ করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তৃতীয়ত. কমিশনের অনুমোদন ছাড়া চুক্তির শর্ত ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় পরিবর্তন করা যাবে না।

কৌশলগত অংশীদার হিসেবে শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে ডিএসইর ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৪৫ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ১২৫টি শেয়ার ২২ টাকা দরে বিক্রির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। সে হিসাবে ডিএসইর এক-চতুর্থাংশ শেয়ারের জন্য মোট ৯৯২ কোটি ৭ লাখ ৭০ হাজার ৭৫০ টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয় চীনা কনসোর্টিয়ামটি। ডিএসইর ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্যের (এনএভিপিএস) ভিত্তিতে এ বিনিয়োগ প্রস্তাব দেয় কনসোর্টিয়ামটি। এক্ষেত্রে শর্ত দেয়া হয়, ডিএসই যদি এর পরের বছর অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে, তবে লভ্যাংশের আনুপাতিক হারে শেয়ারপ্রতি বিনিয়োগ প্রস্তাবও সমন্বয় করা হবে। গত বছর ডিএসই শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ফলে শর্তানুসারে শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাবিত শেয়ারপ্রতি ২২ টাকা দর সমন্বয় হয়ে ২১ টাকায় নেমে আসে। এতে কনসোর্টিয়ামটির বর্তমান বিনিয়োগ প্রস্তাব দাঁড়িয়েছে ৯৪৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৬ হাজার ৪২৫ টাকায়।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিএসইর কৌশলগত অংশীদার করার প্রস্তাবে কমিশন অনুমোদন দিয়েছে। এটি দেশের পুঁজিবাজার ও স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য একটি মাইলফলক। ঐতিহাসিক এ সিদ্ধান্তের জন্য আমরা ডিএসইর পক্ষ থেকে কমিশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এখন আমরা চীনা কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য কাজ করছি। অর্থমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়াসাপেক্ষে এ মাসের ১৪ তারিখেই চুক্তিটি স্বাক্ষর করতে চাইছি।

উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি কৌশলগত অংশীদারদের প্রস্তাবসংবলিত টেন্ডার বাক্স উন্মোচন করে ডিএসই। দরপত্র প্রক্রিয়ায় কৌশলগত অংশীদারের জন্য সংরক্ষিত ডিএসইর ১৮০ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ শেয়ারের এক-চতুর্থাংশ কিনতে দুটি কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব জমা হয়। এর মধ্যে শেনঝেন-সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের চীনা কনসোর্টিয়াম ডিএসইর প্রতি শেয়ারের জন্য ২২ টাকা হারে ৯৯২ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব করে। এর বাইরে তারা ডিএসইকে বিনামূল্যে বিভিন্ন কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তার  প্রতিশ্রুতি দেয়, যার মূল্য উল্লেখ করা হয় ৩০৮ কোটি টাকা।

অন্যদিকে ভারতীয় ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) সাবসিডিয়ারি এনএসই স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম ডিএসইর একই শেয়ারের জন্য ১৫ টাকা হারে ৬৭৬ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব করে। সেখানে ইকুইটি পার্টনার হিসেবে ছিল ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স পরিচালিত প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ড ফ্রন্টিয়ার ফান্ড বাংলাদেশ এলএলপি আর টেকনোলজিক্যাল পার্টনার হিসেবে ছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সচেঞ্জ জায়ান্ট নাসডাক।

বিনিয়োগ প্রস্তাবের পাশাপাশি কারিগরি সুবিধাসহ প্রস্তাবের অন্য বেশকিছু দিক পর‌্যালোচনা করে শেষ পর্যন্ত চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবটিই গ্রহণ করে ডিএসইর পর্ষদ। কৌশলগত অংশীদার বাছাইয়ের প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির কাছে জমা দেয় ডিএসই। কমিশনের পক্ষ থেকে ডিএসইর প্রস্তাব পর‌্যালোচনার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি প্রস্তাবের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে। কমিটির পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ডিএসইকে পাঁচটি শর্ত পরিপালনসাপেক্ষে সংশোধিত প্রস্তাব জমা দেয়ার সুযোগ দেয় কমিশন। সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) সংশোধিত প্রস্তাবে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিয়ে বিএসইসির কাছে জমা দেয় ডিএসইর পর্ষদ।

Source: http://bonikbarta.net/bangla/news/2018-05-04/156589/%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0/
Nafees Imtiaz Islam
Deputy Director, IQAC, DIU and
Ph.D. Candidate in International Trade
University of Dhaka

Tel.:  65324 (DSC-IP)
e-mail address:
nafees-research@daffodilvarsity.edu.bd  and
iqac-office@daffodilvarsity.edu.bd