আমেরিকায় চাকরির বাজার চাঙা, বাড়ছে না মানুষের আয়

Author Topic: আমেরিকায় চাকরির বাজার চাঙা, বাড়ছে না মানুষের আয়  (Read 2042 times)

Offline Md. Neamat Ullah

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 183
    • View Profile
আমেরিকায় চাকরি বাজারে এখন বেশ চাঙাভাব। নিকট অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এখন জনশক্তির বেশ চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ছোট বড় কোম্পানি কাজের জন্য জনশক্তি পাচ্ছে না। দক্ষ-অদক্ষ সব ক্ষেত্রেই কর্মীর অভাব। হোটেল-রেস্তোরাঁ, ট্যাক্সিক্যাবের চালক থেকে শুরু করে উচ্চ বেতনের চাকরিতে লোকবল সংকট দেখা দিয়েছে। কর্মী সংকটকে অর্থনৈতিক চাঞ্চল্যে বেশ বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে কম বেতনের কাজে যেমন কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে, তেমনি দক্ষ কর্মীরও সংকট দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী নীতির কারণে এইচ-ওয়ান ভিসার মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় আসা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠেছে। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো শিগগিরই এই কর্মী সংকট মোকাবিলার তাগিদ অনুভব করছে।
এ মুহূর্তে আমেরিকায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৬৬ লাখের বেশি খালি পদ পড়ে আছে। নিউইয়র্ক নগরে ট্যাক্সিক্যাব চালানোর লোক পাওয়া যাচ্ছে না। পেশাদার চালকের অভাবে হাজার হাজার বাণিজ্যিক ট্যাক্সি খালি পড়ে আছে। খুচরা বিক্রেতাসহ নির্মাণকাজ, পরিচ্ছন্ন কর্মীর সংকট দেখা দিয়েছে। লোকবলের অভিযোগ, চাকরিদাতারা মজুরি বৃদ্ধি করছে না। তাই চাকরি বাড়লেও মানুষের আয় বাড়ছে না।
আমেরিকায় বেকারত্বের সংখ্যা গত ১৮ বছরের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন। সর্বশেষ ২০০০ সালে কর্মসংস্থান লোকের পরিমাণ যতটা ছিল, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কর্মবাজারে সেই রেকর্ডে ফিরে এসেছে। বেকারত্বের সংখ্যা এখন প্রতি ১০০ জনে মাত্র ৩ দশমিক ৯ জন। বিগত এপ্রিলে ১৬ হাজার ৪০০ নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

দুই লাখ মানুষ, চাকরির বাজার ছেড়েছে, বিপরীতে ঢুকেছে ১ লাখ ৬৪ হাজার। সে হিসেবে নতুন কাজের বাজারে ঢোকা মানুষের সংখ্যাই বেশি। এই হিসেবে টানা আট বছর ধরে আমেরিকার অর্থনীতি চাঙাভাব ধরে রেখেছে, যেটা আরও বেড়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে। এসব তথ্য দিয়েছে সিবিএস নিউজ।
এই পরিসংখ্যান দেখেও যাঁরা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না, তারা একদিক দিয়ে ঠিকই আছেন। কেননা চাকরির সংখ্যা বাড়লেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত ধনীদের ট্যাক্স কর্তনের ফলে বলা চলে সার্বিক বেতন কারওর-ই বাড়েনি। বাজেটে আয়কর কর্তনের বিপরীতে বলা হয়েছিল, জনপ্রতি বার্ষিক আয় বাড়বে প্রায় ৪ হাজার ডলার। সেখানে, সর্ব সাকল্যে বছরে বেতন বেড়েছে ২৩১ ডলার। আর অর্থনীতির সাধারণ তত্ত্ব অনুযায়ী যখন অধিক মানুষ কর্মবাজারে প্রবেশ করে, তখন শ্রমিকের শ্রমের মূল্য স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। তবে আমেরিকায় চিত্রটি উল্টো। বছরে ২ দশমিক ৬ ভাগ হারে বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিপরীতে সন্তোষজনক নয় বলে বলছেন অর্থনীতির বিশ্লেষকেরা।
তাহলে ফারাকটি কোথায়? ফারাক হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে সার্বিক চাকরি বাড়লেও, উচ্চ বেতনের চাকরি বাড়েনি। বুশের আমলে অর্থনৈতিক যে মন্দা শুরু হয়েছিল, সেটা কাটিয়ে উঠতে শুরু করে ২০১২ সাল থেকে। তখন, হাসপাতাল, কমিউনিটি সার্ভিসসহ অনন্য খাতে সরকারি নানা প্রণোদনায় স্বল্প বেতনে প্রচুর চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। সে ধরনের স্বল্প বেতনের চাকরির বাজার এখনো সম্প্রসারিত হচ্ছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান আমাজনের গড় বেতন এখনো বার্ষিক ২৮ হাজার ডলার, যার অর্থ কোনো রকমে খেয়ে-পরে জীবন ধারণ করছে মানুষ। আর চাকরির বাজার বেড়েছে বলা হলেও, আরেকটি হিসাব আছে। একেবারে চাকরির বাজারে নেই, আবার চাকরি খোঁজ করছেন না—এমন মানুষের সংখ্যা এখন ১৯৮০ সালের পর সর্বোচ্চ। তার অর্থ, ওই বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী মনে করছে, তাদের কাজের মূল্যায়ন হওয়ার মতো যোগ্য চাকরির বাজার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জোসেফ লা ভরগানা নামের একজন ব্যাংকার অর্থনীতিবিদ অবশ্য মনে করেন, শ্রম বাজারে দক্ষ মানুষের ঘাটতি আছে বলেই তাদের মজুরি বাড়ছে না। ‘প্রতিটি কোম্পানি বছরের চার ভাগের এক ভাগ সময়কে একেকটি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সেই লক্ষ্যমাত্রার সাফল্যের ওপর নির্ভর করে তার বাকি বছরের পরিকল্পনা। সেখানে যদি কোনো উদ্যোক্তা দেখেন, কাজের পরিধি বাড়ছে, মান সম্মত উৎপাদন বা সেবা বিস্তার করা যাচ্ছে—তার ওপর নির্ভর করেই তিনি পরবর্তী ঝুঁকি নেন। সেখানে দক্ষ শ্রমিকেরাই বেশি বেতনের সুযোগ নিতে পারে। তিনি বলেন, ‘এই চিত্র নির্মাণ, উৎপাদন ও অ্যাভিয়েশন শিল্পে বেশি প্রযোজ্য। আশার কথা হলো, আমাদের উৎপাদন শিল্পে কাজের পরিমাণ কমছে না।’
অবশ্য বিশ্লেষকেরা এই শ্রমবাজার তত্ত্বের সরলীকরণ টানতে আরও সময় দরকার বলে মনে করেন। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের ট্যাক্স কাটছাঁটের সুবিধা শ্রমিক পর্যন্ত যেতে আরও অন্তত ছয় মাস সময় দরকার বলেই মনে করেন তাঁরা। কেননা, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা পরবর্তী ছয় মাসের খরচ ও শ্রম মজুরি বিষয়ে নীতিমালা আগেই নির্ধারণ করে রাখেন। সে হিসেবে বাজেটের সুবিধা বাজারে আসতে আরও সময় লাগতে পারে। দেখা যাক, কাজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমমূল্য বৃদ্ধির গতি আসতে কত সময় লাগে।

Source: www.prothomalo.com/northamerica/article/
Md. Neamat Ullah
Administrative Officer
Daffodil International University
Cell: 01811458868, 01675341465
E-mail: neamat@daffodilvarsity.edu.bd
neamat@daffodil.com.bd

Offline sanjida.dhaka

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 228
    • View Profile

Offline Farhadalam

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 105
  • Test
    • View Profile