বাদাম শরীরের জন্য একটি উপকারী খাবার। বাদামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দেয়, শরীরে ক্ষতিকর টক্সিনের পরিমাণ কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বাদাম হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। এছাড়া বাদামে বিদ্যমান প্রোটিন শরীরের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে পলিফেনোলিক নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি হৃদরোগ, কোলন ক্যান্সার, স্ট্রোক, ভাইরাস ও ফাঙ্গাস ঘটিত রোগ প্রতিরোধ করে। বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। বাদাম শরীরের ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
বাদামের প্রকারভেদ:
1. Pecan (পিক্যান বাদাম)
2. Peanut (চিনাবাদাম)
3. Hazelnut (হ্যাজেল নাট)
4. Walnut (আখরোট)
5. Almond (কাগজি বাদাম)
6. Brazil nut (ব্রাজিল বাদাম)
7. Chestnut (বাদাম)
8. Cashew (কাজু)
9. Pistachio (পেস্তা বাদাম)
10. Kola nut (কোলা বাদাম)
11. Pine nut (পাইন বাদাম)
এইসব বাদামের উপকারিতা-
চিনাবামাদের উপকারিতা -
১। চিনাবাদাম চিনা বাদামে অনেক প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ভিটামিন-এ, বি, সি ইত্যাদি রয়েছে। চিনাবাদাম এর উপকারিতা
ভোরবেলা খালি পেটে চিনাবাদাম খেলে শরীরে বাড়তি শক্তি পাওয়া যায়।
২। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে।
৩। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আখরোট বাদাম এ বাদামে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম রয়েছে।
আখরোট বাদামের উপকারিতা -
১. এই বাদাম শরীরের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
২. এই বাদাম ব্রেনে পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে।
পেস্তা বাদাম এর উপকারিতা -
১. পেস্তা বাদাম পেস্তা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার,ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন রয়েছে। পেস্তা বাদাম শরীরের রক্ত শুদ্ধ করে থাকে।
২. পেস্তা বাদাম লিভার ও কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে। কাজু বাদাম এবাদামে রয়েছে-আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন-এ।
কাজু বাদাম এর উপকারিতা -
১. এ বাদাম অ্যানিমিয়া ভালো করে।
২. ইহা ত্বক উজ্জ্বল করে।
৩. এ বাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
আমন্ড বাদামের উপকারিতা -
১. আমন্ড বাদাম এ বাদামে রয়েছে-ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড ও ভিটামিন ই। শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের নানা সমস্যায় খুব উপকারি। সব বাদামের মধ্যে আমন্ডে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে।
২. নিয়মিত চার-পাঁচটি আমন্ড খেলে এলডিএল কোলেস্টেরল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না।
৩.কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
৪. এই বাদাম ডায়বেটিসের জন্য বেশ উপকারী।
তবে বাদামের অনেক উপকারী পুষ্টিগুই থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে বাদাম বেশি খেলে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বাদাম একটি আঁশ জাতীয় খাবার-তাই বাদাম বেশি খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা, পেট খারাপ হতে পারে। বাদাম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং বাঙালি হিসাবে আমরা মাছ, মাংস ও ডালের সাথে প্রোটিন গ্রহণ করে থাকি। তাই বেশি প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনি রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা অনেক ওষুধের কার্যক্রমে বাধা দেয়। বাদাম খেলে অনেকের আবার এলার্জির সমস্যা হতে পারে। পরিমিত বাদাম গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই বেশি করে একবারের না খেয়ে নিজের হাতের এক মুঠ পরিমাণ বিকালের নাস্তা হিসেবে বা মধ্য দুপুরে খাওয়া যেতে পারে।
ইন্টারনেটের নানান সোর্স থেকে ডেটা নেওয়া হয়েছে।