Faculty of Allied Health Sciences > Nutrition and Food Engineering

ভাতের মাড়ের যে গুণের কথা শুনলে আপনি আর কখনই মাড় ফেলবেন না !

(1/1)

deanoffice-fahs:
আমরা অনেকেই জানিনা যে, ভাত রান্নার পরে যে পানিটুকু আমরা ফেলে দেই তা খুবই পুষ্টিকর। ভাত যখন রান্না করা হয় তখন এর অধিকাংশ পুষ্টি উপাদান পানিতে চলে যায়, তাই এই মাড় ফেলে দেয়া উচিৎ নয়। ভাতের মাড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতার পাশাপাশি সৌন্দর্য চর্চায় ও প্রচুর অবদান রাখতে পারে।

জাপানিজ মহিলাদের সৌন্দর্যের গোপন রহস্যের মুল উপাদান হচ্ছে ভাতের মাড়। তাদের নিখুঁত ও উজ্জ্বল ত্বক আমাদের সকলেরই আরাধ্য। শুষ্ক, তৈলাক্ত বা স্বাভাবিক যে কোন ধরণের ত্বকেই ভাতের মাড় ব্যবহার করা যায়। আসুন আজ আমরা যেনে নেই স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও প্রয়োগ পদ্ধতি গুলো।

স্বাস্থ্য উপকারিতা:

১। এনার্জি বৃদ্ধি করে

ভাতের মাড় এনার্জি লেভেল বাড়ায়। এতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট আছে যা শক্তির চমৎকার উৎস। আমাদের শরীর কার্বোহাইড্রেট ভেঙ্গে এনার্জি উৎপন্ন করতে পারে। সকালে এক গ্লাস ভাতের মাড় খেলে আপনি এনার্জি কমের কারণে দুর্বলতা বা মাথা ঘুরানো ভাব অনুভব করবেন না। ঠিক যেমন আমাদের দেশের কৃষক সারাদিন হার ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও ক্লান্ত হন না কারণ তাঁরা সকালে ভাতের মার খেয়ে থাকেন।

২। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে

ভাতের মাড়ে প্রচুর ফাইবার থাকে। এছাড়াও স্টার্চ পাকস্থলির উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে পেটের বর্জ্য নিষ্কাশনকে সহজতর করে।

৩। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

ভাতের মাড় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রীষ্মের তাপদাহ প্রতিরোধ করার জন্য ভাতের মাড় পান করার পরামর্শ দেয়া হয়।

৪। ভাইরাস ইনফেকশন প্রতিকারে

জ্বরে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে এবং বমি বন্ধ করতে ভাতের মাড় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পুষ্টির ঘাটতি পূরণে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে ভাতের মাড়।
এছাড়াও ডায়রিয়া ও পানিশূন্যতা দূর করে, এক্সিমা ভালো করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, আলঝেইমার্স প্রতিরোধ করে। ভাতের মাড়ে ‘অরিজানল’ থাকে যা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ভাতের মাড় পান করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে ৮টি গুরুত্ব পূর্ণ অ্যামাইনো এসিড আছে যা পেশীর পুনর্গঠনে সহায়তা করে।

সৌন্দর্যচর্চায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা:

১। নিখুঁত চেহারা

আপনার মুখ ধুয়ে একটি সুতি কাপড়ের টুকরা মাড়ে ভিজিয়ে সারা মুখে লাগান। ভাতের মাড় চমৎকার স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে। মাড়ে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যাকে ‘ইনসিটল’ বলে প্রচুর পরিমাণে থাকে যা কোষের বৃদ্ধিকে প্রমোট করে, এজিং প্রসেসকে ধীর করে এবং রক্ত প্রবাহকে উদ্দীপিত করে যার ফলে ত্বক মসৃণ ও দীপ্তিময় হয়। এছাড়াও ভাতের মাড়ে ময়েশ্চারাইজিং, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও আলট্রা ভায়োলেট রে শোষণকারী উপাদান আছে। মাড় স্কিনে উৎপন্ন কপারকে আবদ্ধ করে যার ফলে মেলানিনের গঠন এবং এইজ স্পট বাঁধাপ্রাপ্ত হয়।

২। হেয়ার মাস্ক হিসেবে

লম্বা, সিল্কি ও চকচকে উজ্জ্বল চুলের জন্য ভাতের মাড় চমৎকার ভাবে কাজ করে।আপনার চুলে ও মাথার তালুতে ভালো করে মাড় লাগান, ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন তারপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
এছাড়া শ্যাম্পু করার পরে মাড় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। মাড়ের প্রোটিন চুলকে শক্তিশালী করে ও মসৃণ করে।
সতর্কতা: গরম মাড় ব্যবহার করবেন না, এতে ত্বকে র‍্যাশ হতে পারে এবং পুরে যেতে পারে।

http://www.medicaladvicebd.com/details/5801

Mashud:
Nice post

Navigation

[0] Message Index

Go to full version