আঙুলের চোট পুরোপুরি সেরে ওঠার আগেই ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন লঙ্কান পেসার সুরাঙ্গা লাকমল। তার ষষ্ঠ বলটি লাফিয়ে উঠলে পুল করার চেষ্টা করেন তামিম। বল গিয়ে লাগে তামিমের বাঁ হাতের আঙুলে। এশিয়া কাপের ক্যাম্প চলাকালীন ফিল্ডিং করতে গিয়ে যে আঙুলে ব্যথা পেয়েছিলেন তামিম।
পরে ক্যাম্পে তাকে অনুশীলনের বাইরে রাখা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ব্যথা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে যান তামিম। তাকে দুবাইয়ের স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক্স-রেও করা হয়। হাতের কব্জিতে চিড় ধরা পড়ে। তখন মনে করা হচ্ছিল এশিয়া কাপেই আর খেলতে পারবেন না তিনি। পরে টিভিতেও দেখা যায় হাতে ব্যান্ডেজ এবং গলায় সেই হাত ঝুলিয়ে রেখেছেন তিনি। শুরুতেই ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের ব্যাটিং হাল ধরার আগেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ২ রান করা তামিমকে। পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন তামিম। ভাঙা হাতেই ব্যাট করেন এক হাতে। বাঁহাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে ডানহাতকে শক্তিতে রূপান্তরিত করেন তামিম। ব্যথায় ককিয়ে উঠলেও মুখ বুজে সহ্য করেন সব জ্বালা। এটাই হয়তো তামিমের দেশপ্রেম। ইনিংস শেষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা মুশফিকও কথা বলেন তামিমকে নিয়ে। জানান তিনিও মাঠে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তামিমের এমন কাণ্ডে।
ম্যাচের ৪৭তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান মোস্তাফিজুর রহমান। দলের রান ২২৯, তখনও বাকি ১৯টি বল। হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে কোনো রকমে গ্লাভস পড়ে মাঠে নামেন তামিম। এমন পরিস্থিতিতে পেসার সুরাঙ্গা লাকমালকে আবারো প্রতিহত করেন তামিম। এক হাত দিয়ে বল মোকাবেলা করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। বাকি সময়টা দারুণ ভাবে কাজে লাগান মুশফিক, অন্য প্রান্তে তামিম তাকে সঙ্গ দেন। ৪৯.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৬১ রানের মাথায়। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে মুশফিক করেন ১৪৪ রান। আর তামিম অপরাজিত থাকেন ২ রানে।