Faculty of Engineering > EEE

রোবটেরও কি মানুষের মত অধিকার থাকা উচিত নয়?

(1/2) > >>

Nahid_EEE:
সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় প্রায়ই দেখে থাকি, রোবট নিজ থেকে চিন্তা করতে পারছে এবং বুদ্ধি খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। যদি এমন হয় যে, বাস্তব জগতেও রোবট এভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে পারে, নিজেই নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাহলে কেমন জটিলতার জন্ম হবে? সাধারণ রোবটে কোনো কারিগরি ত্রুটি থাকলে সেটার দায়ভার সেই রোবটির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উপর বর্তায়। কিন্তু যেসব রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন, আশেপাশের পরিবেশ-পরিস্থিতি থেকে তথ্য নিয়ে নিজে সেটার সাথে মানিয়ে চলতে পারে বা পরিস্থিতি মোতাবেক নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে পারে; তাদের দ্বারা কোনো ক্ষতি হলে সেটার দায় কে নেবে?

ইতিমধ্যে গত বছর ইউরেপিয়ান পার্লামেন্টে এই বিষয়ে সভা বসেছিল। সেখানে রোবটের ব্যাপারে আইনি ধারা প্রণয়নের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যে আইনের সাহায্যে বুদ্ধিদীপ্ত রোবট বা “ইলেকট্রনিক ব্যক্তি”কে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। যত দিন যাচ্ছে রোবটগুলো উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। এগুলো এখন আর স্রেফ একটি যন্ত্র বা মেশিন নয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন হওয়া সাধারণ যন্ত্রের চেয়েও উপরের কাতারে উঠে এসেছে রোবট। শুধু প্রোগ্রামিং সফটওয়্যারের উপর দোষ চাপানো যাবে না। কারণ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণে প্রোগ্রামিং এখন দুর্বোদ্ধ ও জটিল রূপ ধারণ করেছে। যেখানে একটি রোবট নিজে বুদ্ধি খাটিয়ে ত্রুটিপূর্ণ বা ক্ষতিকর কিছু করে বসছে সেখানে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে দোষারোপ করা অন্যায়।

আর ঠিক এখানেই রোবটকে শুধুই একটি যন্ত্র হিসেবে না ভেবে ‘ইলেকট্রনিক ব্যক্তি’ হিসেবে বিচার করার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। যেখানে রোবটের এরকম কার্যকলাপের জন্য দায়ী থাকবে রোবটটির মালিক ও রোবট নিজে। ইতিমধ্যে এমন কিছু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে যেগুলো ভিডিও ফাইলে নিজ থেকে শব্দ সংযোজন করতে পারে এবং সেই শব্দ এতটাই নিখুঁত ও বাস্তবসম্মত হয় যে যেকোনো মানুষ বোকা বনে যেতে বাধ্য।

একটি রোবট তৈরি হয়েছে যেটা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ক্যাপচা সমাধান করতে পারে নিমিষেই। আরেকটি রোবট আছে যেটা মানুষের হাতের লেখা হুবহু নকল করতে পারে। পোকার খেলায় পৃথিবীর কয়েকজন সেরা খেলোয়াড়কে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এরকম রোবটও আছে। সামনে রোবটগুলোকে এমনভাবে প্রোগ্রামিং করা হবে যেগুলো ব্যথা, বেদনা পর্যন্ত অনুভব করতে পারবে। আর এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে রোবটকে নিছকই যন্ত্র হিসেবে গণণা করা যে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে, সেটা বলাই বাহুল্য। দক্ষিণ কোরিয়ার পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউই-সুয়েন বলেছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ মানুষ রোবটের দুনিয়ার বাস করতে শুরু করবে। জাপানের অর্থমন্ত্রানালয় ইতিমধ্যে রোবট পরিচালনার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে নীতিমালা প্রণয়ণ করে ফেলেছে।

এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, রোবটকে যদি যন্ত্র হিসেবে না ধরা হয় তাহলে কি ব্যক্তি হিসেবে ধরা হবে? রাষ্ট্রে তাদের পদমর্যাদা কী হবে? রোবট যদি সত্যিকার অর্থেই মানুষের মতো বুদ্ধিদীপ্ত ও সাবলীল হয়ে ‘ইলেকট্রনিক ব্যক্তি’ হিসেবে গড়ে ওঠে সেক্ষেত্রে হয়তো তারা মানুষের মতো বিভিন্ন অধিকার পাবে। যেমন, অর্থ উপার্জন করা, নিজের খুশিমতো চাকরি নেয়া ও ছেড়ে দেয়া, ট্যাক্স দেয়া, কর্মঘণ্টা অনুযায়ী কাজ করা, আইনি সহায়তা পাওয়া ইত্যাদি। এ ব্যাপারে ইউরেপিয়ান পার্লামেন্টে ভোট অনুষ্ঠিত হবার কথা। ভোটের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, অদূর ভবিষ্যতে এরকম রোবোটাধিকারের ফলে সমগ্র আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ইন্স্যুরেন্স পলিসিতেও প্রচুর জটিলতা সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।

তথ্যসূত্র

https://theconversation.com/robot-rights-at-what-point-should-an-intelligent-machine-be-considered-a-person-72410

abdussatter:
Is that?

S. M. Enamul Hoque Yousuf:
 ???

parvez.te:
Good information.

mdashraful.eee:
informative

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version