Employability > Career

২০২৭ সাল নাগাদ ৫০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান

(1/1)

nafees_research:
২০২৭ সাল নাগাদ ৫০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান
প্রযুক্তির উত্থান গত শতকের শেষার্ধে। একুশ শতকের শুরুর দিকে তা উত্কর্ষ লাভ করে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় খাতটি এখন ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি খাত এখন সাইবার নিরাপত্তা, ক্লাউড সার্ভিস, ডাটা অ্যানালিটিকস প্রভৃতি উপখাতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এসব উপখাতে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন পেশাজীবীদের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আর এ বাড়তি চাহিদার কারণেই ২০২৭ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে ৫০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রযুক্তি খাতের বাজার বিশ্লেষক ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) সাম্প্রতিক একটি জরিপে এমনটি জানানো হয়েছে। খবর পিটিআই।

শীর্ষস্থানীয় আইটি ও নেটওয়ার্কিং কোম্পানি সিসকোর পৃষ্ঠপোষকতায় জরিপটি পরিচালনা করে আইডিসি। এর ফলাফলে বলা হয়েছে, প্রযুক্তির উপখাতগুলোর বেশির ভাগ পদেই বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীর অভাব রয়েছে। সুতরাং যেসব আইটি পেশাজীবীর সুনির্দিষ্ট দক্ষতা বা সনদ রয়েছে, তাদের জন্য আগামীতে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তির যেসব উপখাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আইডিসির জরিপে বলা হয়েছে, সেগুলো হলো— ডাটা ম্যানেজমেন্ট ও অ্যানালিটিকস, সাইবার নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো, সফটওয়্যার ও অ্যাপলিকেশনস ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজিটাল রূপান্তর।

আইডিসির জরিপে ২০২৭ সাল নাগাদ যে ৫০ লাখ কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে, তার বেশির ভাগই তৈরি হবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। আইডিসির হিসাব বলছে, আগামী এক দশকে এ অঞ্চলে বিশেষ দক্ষতাভিত্তিক কর্মসংস্থান হবে ২৯ লাখ। উত্তর ও লাতিন আমেরিকার ক্ষেত্রে সংখ্যাটি যথাক্রমে ১২ ও ৬ লাখ।

আইডিসির প্রোগ্রাম ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশিং অ্যান্ডারসনের ভাষায়, ‘বর্তমানে প্রযুক্তি খাত অগ্রসর হচ্ছে ডিজিটাল রূপান্তরের ওপর ভর করে। এর ফলে নতুন কর্মসংস্থানের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। যারা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তাদের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে চান বা নতুন ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য সামনে খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু প্রযুক্তির সব উপখাতেই তো আর সমান কর্মসংস্থান হবে না। কোন খাতে এরই মধ্যে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে আর কোন খাতে ভবিষ্যতে হবে, তা জানার জন্য আমাদের এ জরিপ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।’

প্রযুক্তির উত্কর্ষের কারণে উৎপাদন খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার প্রচলন বাড়ছে। এর ফলে খাতটিতে মানবসম্পদের ব্যবহার ও কর্মসংস্থান ধীরে ধীরে কমছে। তবে প্রযুক্তি যে শুধু মানুষের জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে তা নয়। বরং ধরন পাল্টে নতুন নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি করছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেমন প্রযুক্তির কয়েকটি উপখাতের গুরুত্ব বাড়ছে, ঠিক তেমনই এসব উপখাতে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীর চাহিদাও বাড়ছে।

নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে ভালো কথা। কিন্তু এসব কাজে কি দক্ষ কর্মী পাওয়া যাবে? আইডিসির জরিপ বলছে, কিছু পদ রয়েছে, যেগুলো পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে— নেটওয়ার্ক ও সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, সোস্যাল মিডিয়া ম্যানেজার বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, ওয়েব ডেভেলপার, মোবাইল অ্যাপলিকেশন ডেভেলপার, ডাটাবেজ আর্কিটেক্ট, সিস্টেম অ্যানালিস্ট, ডাটা ইঞ্জিনিয়ার ও বিজনেস ইন্টেলিজেন্স আর্কিটেক্ট ডেভেলপার।

তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীদের এসব পদের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। এক্ষেত্রে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব খাতে কর্মী চায়, সেসব খাতে তাদের দক্ষতার সনদ অর্জন করতে হবে। আইডিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ১০টি প্রতিষ্ঠানের সাতটিই কর্মী নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে আইটি সার্টিফিকেশনসকে প্রাধান্য দেয়।

Source: http://bonikbarta.net/bangla/news/2018-05-29/159256/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%AD-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A7%AB%E0%A7%A6-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8/

Navigation

[0] Message Index

Go to full version