Health Tips > Food and Nutrition Science

সহজে রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে চান?

(1/1)

710001658:

অনিদ্রা ও সময়মতো খাবার না খাওয়া রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এতে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। সেই সঙ্গে বাড়ে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও।
তবে সহজ কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে আনা সম্ভব। সম্প্রতি জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এমনই ১০ খাবারের নাম...
১. বাদাম
আখরোট ও কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা  কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে। তবে বেশি মাত্রায় বাদাম খাওয়া যাবে না। এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই অল্প অল্প করে বাদাম খাওয়াই শ্রেয়।
২. মাছ
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত মাছ খাওয়া শুরু করলে শরীরে উপকারি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৩. ওটস
খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে ওটসের কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত ওটস খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে।
৪. ধনিয়ার বীজ
কোলেস্টেরল কমাতে ধনিয়ার বীজ অত্যন্ত উপকারি। এক্ষেত্রে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ধনিয়া বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে একটু গরম করে নিন। তারপর মিশ্রণটি পান করুন। দিনে দুবার এই পানি খেলে শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।
৫. আমলা
এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ আমলা পাউডার মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পান করুন। দেখবেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শরীরের কোলেস্টেরল একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
৬. কমলা লেবুর রস
কমলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ফ্লেবোনয়েড উপস্থিত। যা শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই প্রতিদিন কম করে দুই থেকে তিন বার কমলা লেবুর রস খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৭. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটি মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। দিনে দুবার এই পানীয় খেলে দেখবেন অল্প সময়ের মধ্য়েই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে।
৮. সয়াবিন
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ২৫ গ্রাম করে সয়া প্রোটিন খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ হারে কমতে শুরু করে। এতে হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
৯. বিনস
ফাইবার সমৃদ্ধ এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে যদি প্রতিদিন ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না। কারণ ফাইবার হল খারাপ কোলেস্টেরলের প্রতিষেধক।
১০. মধু ও পেঁয়াজের রস
এক চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একবার করে এই মিশ্রন খান। টানা কয়েক মাস খেলেই দেখবেন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করেছে।

Abdus Sattar:
উপকারি পোষ্ট।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version