রমজানে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়!
আমোরা অনেকেই আছি, রমযানে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগি। যার ফলে আমাদের রোজা রাখতে অনেক সমস্যার মুখে পরতে হয়। অবশ্য এই সমস্যাটির মূল কারন পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা। সাধারণত অভুক্ত অবস্থায় পাকস্থলীতে অ্যাসিড এবং পেপটিক রস কম নিঃসৃত হয়, কিন্তু খাবারের গন্ধ বা খাদ্যচিন্তা এগুলোর নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। তবে রমজান মাসে খাদ্য গ্রহণের সময়সূচির আকস্মিক পরিবর্তন, ঘুমের ব্যাঘাত, পানি না খাওয়া ও অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার আপনার বুক জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে এর থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে একটু বাড়তি সচেতন হতে হবে।
বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু সচেতনতা-
১. ইফতার ও সেহিরতে ফল খাবেন। বিশেষ করে কলা ও খেজুর অত্যন্ত উপকারী। তবে ফলের রস বুক জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে।
২. চর্বিবিহীন মাংস উপকারী।
৩. ধূমপান, অ্যালকোহল পরিত্যাগ করার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়।
৪. আঁশযুক্ত শর্করা যেমন লাল আটা, ঢেঁকি ছাঁটা চাল, শাকসবজি খান, তবে সঙ্গে প্রচুর পানি খাবেন নতুবা অন্ত্রে বায়ু তৈরির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
৫. চিড়া, দই, ছোলা, আলু উপকারী।
৬. ডুবো তেলে ভাজা যেকোনো খাবার আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে।
৭. পানিশূন্যতা এড়াতে ইফতার থেকে রাতে শোয়ার আগ পর্যন্ত ১০-১২ গ্লাস ও সেহিরতে দু-তিন গ্লাস পানি পান করুন। পাশাপাশি বিভিন্ন শরবত খেতে পারেন। চা-কফি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে। তাই এগুলো কম পান করুন, বিশেষ করে সেহিরতে তো নয়ই।
৮. ব্যথার ওষুধ এড়িয়ে চলুন।
৯. ওজন যেন না বেড়ে যায়।
১০. কোনো খাবার একসঙ্গে বেশি খাবেন না। সেহিরর পরিমাণ হবে আপনার দুপুরের খাবারের পরিমাণ, রাতের খাবারের পরিমাণ একই থাকবে। ইফতার বা সেহির খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না বা ব্যায়াম করবেন না।
উপরোক্ত সতর্কতাগুলো সঠিক ভাবে মেনে চলুন। এর মাধ্যমেই আপনি রমজানে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। যদি সমস্যাটি প্রকট হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।