জীবন বাঁচাতে জেনে নিন স্ট্রোকের ৫টি লক্ষণ!
নিজেদের চিন্তা, আবেগ, ভাষা, কর্মক্ষমতা, শ্বাস প্রশ্বাস, পরিপাক সব কিছুর নিয়ন্ত্রন করে মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কের জন্য ২০% অক্সিজেনের একান্ত প্রয়োজন। ধমনির মাধ্যমে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছায় ফলে মস্তিস্ক সতেজ ও সবল থাকে।
কিন্তু যদি কোন কারণে রক্তপ্রবাহে বাধা পড়ে, অক্সিজেন অভাবে মস্তিষ্কের কোষগুলো বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। রক্তচাপের অভাবেও কোষগুলো বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। স্ট্রোকের কারণে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা লোপ, দীর্ঘ সময়ের পঙ্গুত্ব এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। বর্তমানে অধিকাংশ লোক স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুকে বরণ করে নিচ্ছে।
তাহলে আসুন জেনে নিন জীবন বাঁচাতে স্ট্রোকের ৫টি লক্ষণ —
১. কথা জড়িয়ে যাওয়াঃ
অথা বলতে বলতে আপনার সামনের মানুষটির কি কথা জড়িয়ে যাচ্ছে বা হঠাত করেই অসংলগ্ন, দূর্বোধ্য ভাবে কথা বলছেন, বুঝতে পারছেন কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে তার। দেরী না করে তাকে একটি সহজ সাধারণ কথা কয়েকবার বলতে বলুন। যেমন, “আকাশ অনেক নীল”। তিনি যদি তা না পারেন তবে নিশ্চিত স্ট্রোকের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২. কারণ ছাড়াই প্রচন্ড মাথা ব্যাথাঃ
যদি কোন কারণ ছাড়াই প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় দাঁড়িয়ে না থাকতে পারেন, এছাড়া হাঁটায় সমস্যা, অপ্রাসঙ্গিক কোন কথা বলা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে বাকী লক্ষণগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন ও দেরী না করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মনে রাখবেন, স্ট্রোকের ক্ষেত্রে প্রতিটি মিনিটই মূল্যবান। যত দ্রুত আপনি চিহ্নিত করতে পারবেন, ততই রোগীর বড় ধরনের কোন শারীরিক ক্ষতি হবার আশঙ্কা কমে আসবে। আপনার একটু সচেতনতায় বেঁচে উঠুক একজন মৃত্যু পথযাত্রী। ভালো থাকুন।
৩. হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়াঃ
যদি দেখেন আপনার সামনের মানুষটির মুখের একটি অংশ হঠাৎ করে বেঁকে যাচ্ছে বা ঝুলে যাচ্ছে তবে তা স্ট্রোকের অন্যতম একটি লক্ষণ। এক্ষেত্রে তাকে হাসতে বলুন। তিনি যদি সে অবস্থায় হাসতে পারেন তবে বুঝবেন ভয়ের কিছু নেই কিন্তু হাসতে সমস্যা হলে তিনি স্ট্রোকের খুব কাছাকাছি আছেন।
৪. হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখাঃ
আপনার সামনে মানুষটি যদি আপনাকে বলেন যে হঠাৎই তিনি এক বা দু চোখে ঝাপসা দেখছেন, তবে এটই স্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে উপরের বাকী তিনটি লক্ষণ মিলিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।
৫. এক দিকের হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়াঃ
এক্ষেত্রে স্ট্রোকের আগে ব্যক্তির শরীরের একটি দিক অবশ হতে থাকে। যদি আপনার মনে হয় তার একদিনের বাহু ঝুলে যাচ্ছে না নুয়ে যাচ্ছে। তবে দেরী না করে তাকে দু হাত উপরে তুলতে বলুন। স্ট্রোকের কাছাকাছি থাকলে তিনি দু হাত কখনোই একসাথে উপরে তুলতে পারবেন না।