জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স!

Author Topic: জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স!  (Read 1158 times)

Offline Faruq Hushain

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 86
  • Test
    • View Profile
৩৪ বছর বয়সে বিশ্বকাপের এক বছর আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিচ্ছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। আজ জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক। নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে ৬৯ ও ৬ রানের ইনিংস দুটিই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডি ভিলিয়ার্সের সর্বশেষ অবদান হয়ে থাকল।

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ৯৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার দিয়েছেন এবি। সেখানেই নিজের বিদায়ের কারণটা জানিয়েছে, ‘ক্লান্তি’। এ ছাড়া নিজের সিদ্ধান্তটা ব্যাখ্যা করেছেন সবার সুবিধার্থে। বিদায় বেলায় যা বলেছেন ডি ভিলিয়ার্স—

‘আমি সব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই মুহূর্ত থেকেই। ১১৪ টেস্ট, ২২৮ ওয়ানডে ও ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলার পর অন্যদের সময় এসেছে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার। আমি আমার কাজটা করেছি, সত্যি কথা বলতে আমি ক্লান্ত।

‘এটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত। আমি অনেক দীর্ঘ সময় নিয়ে এ নিয়ে ভেবেছি এবং ভালো ফর্মে থাকা অবস্থাতেই বিদায় নিতে চাচ্ছি। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ দুটি সিরিজ জয়ের পর, আমার মনে হচ্ছে সরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়।

‘দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে নির্দিষ্ট কোনো ফরম্যাট বেছে নেওয়া কিংবা বেছে বেছে নির্দিষ্ট কোনো সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হতো না। যদি সবুজ-সোনালির হয়ে খেলতেই হয়, তবে সব খেলব, নয় তো একদম কিছু না। এত বছর ধরে আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকান বোর্ডের কোচ ও স্টাফদের কাছে কৃতজ্ঞ। ক্যারিয়ারজুড়ে যত সতীর্থ পেয়েছি, তাদের সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ। এতগুলো বছর যে সমর্থন পেয়েছি, সেটা না থাকলে আমি অর্ধেক (বর্তমান পর্যায়ের) ক্রিকেটারও হতে পারতাম না।

‘এটা অন্য কোথাও অর্থ উপার্জনের বিষয় নয়, এটা হলো ক্লান্তির ব্যাপার। এ ছাড়া আমার মনে হচ্ছে, এটাই সঠিক সময় সরে যাওয়ার। সবকিছুই একসময় না একসময় শেষ হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বিশ্বের সব ক্রিকেট ভক্তদের বলছি, আপনাদের দয়া ও ঔদার্যের জন্য ধন্যবাদ। আর আজ আমার ব্যাপারটা বোঝার জন্য ধন্যবাদ।

‘আমার দেশের বাইরে খেলার কোনো ইচ্ছা নেই। সত্য হলো, আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে টাইটানসের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চাই। ফাফ ডু প্লেসি ও প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় সমর্থক হয়েই থাকব আমি।’